Skip to main content

একেশ্বরবাদী সাদৃশ্য

"সর্ব্ব প্রথমে অন্ধকারের দ্বারা অন্ধকার আবৃত ছিল। সমস্তই চিহ্নব্বর্জিত ও চতুর্দ্দিকে জলময় ছিল (সৃষ্টির পূর্ব্বের এই অবস্থার বর্ণনা অতিশয় গভীর ও ভয়াবহ)..." (ঋগ্বেদ, দশম মণ্ডল, ১২৯ নং সূক্ত, তৃতীয় মন্ত্র/অনুবাদ: শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত)

"দ্যুলোক ও ভূলোক ইঁহারাই শেষ নহেন, ইহাদিগের উপর আরো এক আছে। তিনি প্রজা সৃষ্টিকর্ত্তা, তিনি দ্যুলোক ও ভূলোক ধারণ করেন..." (ঋগ্বেদ দশম মণ্ডল, ৩১ নং সূক্ত, অষ্টম মন্ত্র/অনুবাদ: শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত)

ঋগ্বেদ ১০:৩১:৮ মন্ত্রের ওপর সায়নাচার্যের টীকা:

"যিনি দ্যুলোক ও ভূলোকেরও উপর আছেন, যিনি দ্যুলোক ও ভূলোক ধারণ করেন, যিনি অন্নের প্রভূ ও প্রজার সৃষ্টিকর্ত্তা, যিনি সূর্য্যের আকাশ পরিক্রমের পূর্ব্ব হইতে আছেন এবং যিনি স্বয়ম্ভু, তিনি কে? আমি অনুমান করি ঋষি-সকল দেবগণের উপরস্থ, সকল দেবগণের পূর্ব্বস্থ, এক পরমেশ্বরের অনুভব করিতে সক্ষম হইয়াছেন।" (ঋগ্বেদ সংহিতা: সপ্তম অষ্টক/অধ্যায় ৭/টীকা নং ২/অনুবাদ: শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত/মুদ্রণ সন: ১৮৮৬)
.
.
Now look at this
👇🏾👇🏾👇🏾👇🏾
"....একমাত্র আল্লাহই ছিলেন, আর তিনি ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না। তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে..." (সহীহ বুখারী (তাওহীদ) ৩১৯১/হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih))

"আর তিনিই নভঃমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে ছয়টি (দীর্ঘ) দিবসে সৃষ্টি করেছেন। ইতোপূর্বে তাঁর (সৃষ্ট) আরশ ছিল পানির উপর (পানির প্রকৃতি অজানা)। (সৃষ্টি করেছেন) তোমাদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে যে, তোমাদের মধ্যে কর্মের ক্ষেত্রে কারা শ্রেষ্ঠ। তুমি যদি বল, ‘‘মৃত্যুর পর তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই আবার উঠানো হবে, তাহলে সত্য প্রত্যাখানকারীরা অবশ্যই বলবে যে, এতো সুস্পষ্ট যাদু।" (আল-কোরআন ১১:৭)
.
.
কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। মানুষের পৌত্তলিক আচার ও দর্শন বেছে নেওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ত ধর্মের নামে আনন্দ ফূর্তি করা আর স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। বাস্তবে ভ্রান্ত উপাস্যগুলোর সৃষ্টি করার ও নিজেদের ভাল-মন্দেরও কোনো ক্ষমতা নেই!

قُلْ أَرَءَيْتُمْ شُرَكَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَرُونِى مَاذَا خَلَقُوا۟ مِنَ ٱلْأَرْضِ أَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ أَمْ ءَاتَيْنَٰهُمْ كِتَٰبًا فَهُمْ عَلَىٰ بَيِّنَتٍ مِّنْهُۚ بَلْ إِن يَعِدُ ٱلظَّٰلِمُونَ بَعْضُهُم بَعْضًا إِلَّا غُرُورًا

"বলঃ তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক সেসব দেবদেবীর কথা ভেবে দেখেছ কি? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে থাকলে আমাকে দেখাও; অথবা আকাশমন্ডলী সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশ আছে কি? না কি আমি তাদেরকে এমন কোন কিতাব দিয়েছি যার প্রমাণের উপর এরা নির্ভর করে? বস্তুতঃ যালিমরা একে অপরকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে।" (আল-কোরআন ৩৫:৪০)

Comments

Popular posts from this blog

মানহাজ ও মাযাহাব নিয়ে যত দ্বন্দ্বের জবাব....

[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...

কৃষ্ণ কি আল্লাহর নবী ছিল?

এই প্রশ্নটা আমাকেও করা হয়েছে সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা বড়ই জটিল। কারণ এর কোনো যথাযথ উত্তর আমাদের জানা নেই। যদি কৃষ্ণের গোপীদের সাথে লীলার কাজকে সত্য বলে...

ভগবতগীতার বর্ণভেদ নিয়ে ভক্তদের ভণ্ডামির জবাব

============================ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ৷ তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্৷৷১৩ অর্থ:  "প্রকৃতির তিনটি গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণ...