"...আর্য-পূর্ব ভারতে প্রাচীন কাল থেকেই এক উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। সেই সভ্যতা সিন্ধুসভ্যতা বা মহেঞ্জোদড়ো-হরপ্পা সভ্যতা নামে পরিচিত। তখনকার লোকেরা প্রকৃতি-পূজারী ছিলেন....
...আর্যরা ভারতে এসে মূলনিবাসী ভারতীয়দের সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়। তাঁদের সম্পত্তি দখল করে নেয়। ন্যায়-নৈতিকতা ও সাম্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সনাতনধর্মকে তছনছ করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের সূত্রপাত করে। ওই সময় ব্রাহ্মণ্যধর্মের ধর্মগ্রন্থ বেদ রচনা করা হয়। এই জন্য ওই ধর্মকে বৈদিকধর্মও বলা হয়। সেই ধর্মে উচ্চ-নীচ ক্রমানুসারে বর্ণবিভাগ করে সমাজে চতুর্বর্ণের সৃষ্টি করা হয়। বর্ণগুলি হল যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। শূদ্রদের মধ্যে আবার বহু জাতপাতের সৃষ্টি করা হয়। অনেককে অস্পৃশ্যও করা হয়। সকল বর্ণ ও জাতের মধ্যে কর্মবিভাগ করে বিভিন্ন অধিকার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। শূদ্র ও অস্পৃশ্যদের সম্পত্তি, শিক্ষা ও অন্যান্য সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ফলে তাঁরা অমানবিকতার শিকার হয়ে মনুষ্যেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় হন।
গৌতমবুদ্ধের ধর্মমত “বৌদ্ধধম্ম” প্রচারিত হলে ওই ধর্মের ন্যায়-নৈতিকতা, সাম্য-মৈত্রী স্বাধীনতার উদারতা দেখে অধিকাংশ ভারতবাসী মুগ্ধ হন। ভারতের বিভিন্ন রাজবংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হলে অধিকাংশ ভারতবাসী বৌদ্ধধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। সর্বশ্রেষ্ঠ ভারতসম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে ওই ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। ফলে ব্রাহ্মণদের একচেটিয়া ক্ষমতা ও অধিকার ভোগের সমাপ্তি ঘটে এবং দেশে আবার ন্যায়-নৈতিকতা ও সামাজিক সাম্য ফিরে আসে।
সম্রাট অশোকের শাসনকালে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা হলে ব্রাহ্মণদের সমাজে সর্বোচ্চ আসনে থাকা ও একচেটিয়া অধিকার ভোগ করার সুবিধা না থাকায় ব্রাহ্মণ্যধর্মও অবদমিত অবস্থায় থাকে। ফলে ব্রাহ্মণেরা রাগে ফুঁসতে থাকে। কিন্তু রাজশক্তির ভয়ে তাদের কিছু করার ছিল না। অবশেষে সম্রাট অশোকের বংশধর বৃহদ্রথকে হত্যা করে ব্রাহ্মণ সেনানায়ক পুষ্যমিত্র মগধের সিংহাসন দখল করলে বহুদিন মাথা নত করে থাকা ব্রাহ্মণ্যধর্ম আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রাজ্যলাভের পর পুষ্যমিত্র বৌদ্ধধর্মের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড এবং উৎকট নির্যাতনের অভিযান চালায়। দেশে বৌদ্ধধর্ম পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এজন্য সে সমস্ত বৌদ্ধভিক্কুদের হত্যা করার আদেশ দেয় এবং প্রতিটি বৌদ্ধভিক্কুর মাথার বিনিময়ে একশো স্বর্ণমূদ্রা ঘোষণা করে। ফলে বহু বৌদ্ধভিক্কু মারা পড়েন এবং বাকিরা নেপাল, ভুটান ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যান। এভাবেই ভারতে বৌদ্ধধর্মের পতন হয়।
পুষ্যমিত্রের রাজ্যলাভের পর ব্রাহ্মণ্যধর্ম পুনরায় আরও কঠোর অবস্থান নিয়ে ফিরে আসে। ওই সময় পুষ্যমিত্রের আদেশে সুমতি ভার্গব নামক এক ব্রাহ্মণ কর্তৃক নতুন করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের সংবিধান কুখ্যাত মনুসংহিতা বা মনুস্মৃতি লেখা হয়। চতুর্বর্ণ ও জাতপাত প্রথা আরও কঠোর অবস্থানে ফিরে আসে। পুনরায় মুষ্টিমেয় ব্রাহ্মণেরা সবার উপরে থেকে সমস্ত অধিকার ভোগ করতে থাকে এবং সমাজের অধিকাংশ লোক শূদ্র এবং কিয়দংশ অস্পৃশ্য হয়ে অধিকারহীন অবস্থায় দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে থাকেন।
ভারতবর্ষের সর্বত্র বৌদ্ধধর্মের পতন ঘটলেও একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল বঙ্গদেশ বা বাংলা। পালরাজাদের শাসনকাল পর্যন্ত সেখানে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব অটুট ছিল। কেননা পালরাজারা নিজেরাই ছিলেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। পালরাজাদের যুদ্ধে হারিয়ে কর্ণাটকের ব্রাহ্মণ রাজা বিজয় সেন বঙ্গদেশ দখল করলে সেখানেও ব্রাহ্মণ্যধর্মের বিস্তার শুরু হয়। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে ব্রাহ্মণ্যধর্মের পৃষ্ঠপোষক গুপ্তবংশীয় সম্রাটদের সহায়তায় বাংলায় সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়। আর্যাবর্তের ব্রাহ্মণদের বঙ্গদেশে এনে ভূমি দিয়ে, বৃত্তি দিয়ে বসানো হত, যাতে তারা আর্যবর্জিত বঙ্গদেশে বৈদিক ও পৌরাণিক ব্রাহ্মণ্যধর্ম প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ধীরে ধীরে তাদের সে প্রচেষ্টা সফলতা লাভ করে। রাজা বিজয় সেনের আমলে সমগ্র বঙ্গদেশে ব্রাহ্মণ্যধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
ব্রাহ্মণ্যধর্ম বা বৈদিকধর্মই বর্তমানে হিন্দুধর্ম বলে পরিচিত। বৈদিকধর্মের কোনো ধর্মগ্রন্থেই অবশ্য ‘হিন্দু’ শব্দের উল্লেখ নেই। তবু বৈদিকধর্মের সমস্ত লোকেরা বর্তমানে নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দেয়। ‘হিন্দু’ একটি পারসিক শব্দ। এর অর্থ কালো, চাকর, দাস, দস্যু, পরাজিত ইত্যাদি। বিদেশী গ্রিক ও মুসলমান শাসকেরাই ভারতবর্ষের লোকদের হিন্দু নামে অভিহিত করে। ভারতীয় শাসকদের পরাজিত করে যখন এ দেশ দখল করে, তখন তারা এ দেশীয়দের কালো, পরাজিত বা চাকর অর্থে হিন্দু নামকরণ করে। সেই অর্থে সকল ভারতীয়েরাই হিন্দু এবং ভারতবর্ষের নাম হিন্দুস্থান হয়। বর্তমানে হিন্দু বলতে শুধুমাত্র বৈদিকধর্মের লোকদেরই বুঝায়।
বৈদিকধর্মের লোকেরা বিদেশীদের দ্বারা হিন্দু নামে অভিহিত হলেও বিদেশাগত আর্য-ব্রাহ্মণেরা নিজেদেরকে প্রথমে হিন্দু বলতে রাজি ছিল না। এদেশীয় বৈদিকধর্মী লোকদের হিন্দু বলে মেনে নিয়ে নিজেদেরকে তারা আর্য-ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিত। তারা নিজেরাই দাবি করত, তারও বিদেশাগত এবং ভারতীয়দের জয় করে এদেশের দখল নিয়েছে। এমনকি সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও তার প্রচলিত হিন্দুদের জন্য দেয় জিজিয়া করও তারা দিত না। কিন্তু পরবর্তীকালে আর্য-ব্রাহ্মণেরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবার ভয়ে অন্যান্য হিন্দুদের সঙ্গে তারাও নিজেদেরকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতে শুরু করে।
বঙ্গদেশের নমঃজাতির ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে যতদূর জানা যায় তা হল, নমঃজাতির লোকেরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ছিলেন। তাঁরা সমস্ত কার্যে পারদর্শী এবং শৌর্যবীর্যে অত্যন্ত উচ্চস্থানে ছিলেন। রাজকার্যে, সেনাবাহিনী ইত্যাদির বীরত্বপূর্ণ পদে তাঁরা অধিষ্ঠিত ছিলেন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পালরাজারও নমঃজাতির লোক ছিলেন।
পালরাজাদের রাজ্যচ্যুত হওয়া ও কট্টর ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসক বিজয় সেনের শাসনকালেই নমঃজাতির অধঃপতন শুরু হয় এবং বল্লাল সেনের আমলে তা চূড়ান্তপর্যায় পৌঁছায়। সেনরাজারাই রাষ্ট্রীয় শক্তির বলে যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতিকে বঙ্গদেশ থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সঙ্গে মুছে দিয়েছিল। বল্লাল সেন ঘোষণা করেছিল বাংলার সমস্ত বৌদ্ধরা হয় ব্রাহ্মণ্যধর্ম গ্রহণ করবে, নয়তো মৃত্যুকেই বরণ করবে। যারা বৌদ্ধধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের আশ্রয় নিয়েছিল, তারা শূদ্রবর্ণে ঠাঁই পেয়েছিল। পরবর্তীকালে তারা বৃত্তি অনুযায়ী কায়স্থ, বৈদ্য, রাজবংশী, মাহিষ্য, পৌণ্ড্র, কৈবর্ত, কপালি, তেলি, মালি, ভুঁইমালি ইত্যাদি নামে চিহ্নিত হয়। কিন্তু নমঃজাতির লোকেরা ব্রাহ্মণ্যধর্ম অর্থাৎ বৈদিকধর্ম গ্রহণ করতে রাজি না হয়ে রাজশক্তির ভয়ে পালিয়ে নদীনালা, খালবিল, জল-জঙ্গলপূর্ণ দুর্গম অঞ্চলে আশ্রয় নেন। বর্তমান কালের যশোহর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ইত্যাদি জেলা ওই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। নতুন পুনর্বসিত ব্রাহ্মণেরা আগেই তাঁদের বৈদিকিকরণ করতে না পেরে চণ্ডাল গালি দিয়ে অস্পৃশ্য করে রেখেছিল। রাজা বল্লাল সেন ক্রোধভরে তাঁদের চণ্ডাল নামকরণ পাকাপাকি করে চিরস্থায়ী ভাবে অস্পৃশ্য করে রাখার বন্দোবস্ত করে।
চণ্ডাল নামকরণের ফলে নমঃজাতির লোকেরা অন্যান্য সকল জাতির লোকের কাছে অস্পৃশ্য ও ঘৃণিত হয়ে পড়েন। তাঁরা রাজশক্তির ভয়ে নিজেদের ধর্ম (বৌদ্ধধর্ম) পালনেও অক্ষম ছিলেন। শিক্ষা ও ধর্মীয় অধিকারসহ সমস্ত মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তাঁরা ধর্মহীন হয়ে পড়েন। এজন্য তাঁদেরকে পতিত বলা হত। বহুদিন পর্যন্ত ধর্মীয় আচার পালন না করার ফলে তাঁরা বৌদ্ধধর্মকে ভুলে যান এবং ধীরে ধীরে নিজেদেরকে হিন্দু ভাবতে শুরু করেন।
পরবর্তীকলে ব্রাহ্মণদের প্ররোচনায় আস্তে আস্তে কয়েক পুরুষ পরে তাঁরা হিন্দুদের অনুসরণ করে পূজাপার্বণ, শ্রাদ্ধক্রিয়া ইত্যাদি বৈদিক ক্রিয়ায় অংশ নিতে শুরু করলেও তাঁদের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠানগুলি কিছু কিছু থেকেই গিয়েছিল। এইজন্য অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁদের অনেক আচার-অনুষ্ঠানে অমিল দেখা যায়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বৈদিকধর্ম অনুসারী নিম্নবর্ণের এবং নমঃজাতির লোকদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। গোষ্ঠীগত জনসংখ্যার নিরিখে তাঁরাই সর্বাধিক সংখ্যায় ছিলেন। বৈদিকধর্মী উচ্চবর্ণীয়দের দ্বারা বিভিন্নভাবে শোষিত হয়ে তাঁরা মানুষ হয়েও মনুষ্যেতর ভাবে জীবনযাপন করছিলেন। শিক্ষার অধিকার না থাকায় তাঁরা অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে ছিলেন। ব্যবসাবাণিজ্য ও ভূ-সম্পত্তির স্বল্পতার কারণে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থেকে চিকিৎসার অভাবে তাঁদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তাঁরা সমাজে মর্যাদাহীন হয়ে পতিত শ্রেণি হিসাবে বসবাস করছিলেন। এ ছাড়া নিম্নবর্ণের অন্যান্য শিক্ষাহীন পিছিয়ে পড়া মানু্ষেরা যেমন— তেলি, মালি, কামার, কুমার, জেলে, কপালি, রাজবংশী, পৌণ্ড্র ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক মর্যাদাও বিশেষ ভালো ছিল না। তদুপরি প্রজাদের উপর উচ্চবর্ণীয় জমিদারদের শোষণ ও অত্যাচার ছিল অত্যন্ত নির্মম..."
(গ্রন্থ: হরিচাঁদ ঠাকুর ও মতুয়াধর্ম/প্রথম পরিচ্ছেদ/লেখক: সুধীর রঞ্জন হালদার)
.
.
"...In ancient time, before the arrival of Aryans, there was a noble civilized society in India. The people of that time used to worship of nature...
...The Aryans had come to India about 1500- 1800 BC. After arriving they destroyed the ancient civilization of India. They occupied the properties of the Indian people. They introduced a Brahmnical Religion with Varna system instead of truth, morality and equality which were in the Sanatan Dharma. At that time their religious book, the Vedas were written and for this, it is called the Vedic religion also. In the Varna system, there are four Varnas namely the Brahmana, the Kshatriya, the Vaishya and the Shudra.The Brahmana is the highest Varna in the society, then the Kshatriya, next the Vaishya and the lowest Varna is the Shudra. The Shudras are divided into many castes (more than six thousand), some of them were untouchables. There was no equality in the society. The Brahmins were on the top most place of the society. It was also decided then that the particular jobs were to be done by the particular Varna and Caste. No one Varna or Caste could do the jobs of another Varna or Caste. The Shudras and the Untouchables had no right to keep properties and education. They were deprived of all human rights. So, they were to live as non-human beings.
When the ‘Bauddha Dhamma’ was introduced by Gautam Buddha, most of the people of India were attracted by its nobleness, uprightness, equality and liberty. After conversion to the Buddhism many Kings of India, most of the people were also converted to the Buddhism. After conversion to the Buddhism, the best of all Emperors, Ashoka was preaching the Buddhism throughout the country. As a result, monopoly of the Brahmins was ended and returned uprightness, equality and liberty in the societies of whole country and the Brahmanism was repressed. Although, the Brahmins were growled suppressedly in anger, but they had nothing to do against the government.
At last, after many years, a brahmin army commander namelyPushyamitra, had killedBrihadratha, the descendant of the Emperor Ashoka and ascended the throne of Magadha and consequently, the repressed Brahmanism rose in revolt again. Pushyamitra had oppressed severely with possible greatest expedition against the Buddhism. He prohibited to observe the religious rites and practices of the Budddhism in the country. He ordered to kill all the Bhikkus and announced to give reward of one hundred gold coins per Bhikku’s head. As a result, many Bhikkus were killed and others went to Nepal, Bhutan and to hilly areas of the country where they could not easily access. For this reason, the Buddhism had declined in India.
At the time of Pushyamitra government, the Brahmanism returned with cruelty and heartlessness position. This time, the costitution of the Brahmanya Religion (or the Hindu Religion),‘Manusanghita’ or ‘Manusmriti’ was written by a brahmin namely Sumati Bhargava under the direction of Pushayamitra. The Varna system and the Caste system were followed very strictly. Again the Brahmins, who were small in numbers, were enjoying all the rights staying on top of the society and the largest number of people, the Shudras and the Untuchables were living with unbearable lives.
If it was true that, the Buddhism declined in all over India, but Bengal was exception. There were unbroken power of the Buddhism up to the period of the Palraj (the Pal-kingdom), because the Pal kings themselves were Buddhists. But when the brahmin King Bijoy Sen from Karnataka, captured the throne of Bengal after defeating Pal King by an war, the Brahmanya religion also extended there. In the fifth century, the Brahmins from northern India were rehabilited with land and money first in Bengal by the Gupta Emperors to establish the Brahmanya religion there. At the time of Bijoy Sen, the Brahmanya religion was spreaded in all the areas of Bengal.
Since in the ancient time, there lived a very large populated race namely Namas or Nomo in Bengal who are now known as Namashudra. Originally, they were not the Shudras in the Varna sytem in the Vedic religion, because, they were Buddhists by religion. They were very strong and courageous in nature. They used various type of works with the valorous government service as army etc. Buddhist Pal-Kings were also in this community.
The Namas community’s degradation had begun from the Sen’s ruling period after the dispossession of the Palraj and possession of Bijoy Sen, it reached in extreme position at the time of Ballal Sen, son of Bijay Sen. All Buddhists were wiped out from Bengal with severe cruelty. Ballal Sen announced publicly that, all the Buddhists would be either converted to the Brahmanya religion or be killed. They, who were converted to the Brahmanism i.e. the Hinduism, were placed in the Shudra Varna and later they were known as the Kayastha,the Baidya,the Rajbanshi, the Mahishya, the Paundra or the Pod, the Kaibarta, the Kapali, the Teli, the Mali, the Bhuimali etc. as per their profession. But, the Namas community were not agreed to be converted to the Hinduism. So, they had taken shelter in wild, rain-water and muddy areas, where difficult to access. At present, those areas are under the districts of Barishal, Faridpur, Dhaka, Mymensing, Jessore, Khulna etc. The rehabilated Brahmins in Bengal, abused them as ‘Chandala’ and made them untouchable being failed to convert them to the Hinduism. Ballal Sen had angrily settled the name as Chandala finally and kept them as untouchable.
In course of discussion, it is true that, the Namas were never in the Shudra Varna in the Hinduism because, in fact, they were not converted to the Hinduism from the Bauddha religion. So, it is not a question for them to be the Shudra.
That is why, the Namas were hated by the all communities and castes of the society. They were not able to observe their religious rites and practices by the fear of the administrative power. So, they were living as irreligious lives. For this reason, they were called as ‘Patit’. After a long time, gradually they had forgottentheir original religion, the Buddhism and thought themselves as Hindu and started to use the Vedic cultures such as Puja, Shraddhakriya etc. by the inducement of the brahmin priests.
In the first part of the Nineteenth century, the situation of the Namas were very woeful. They had been extorted in all respects from the Higher Varnas, specially from the Zeminders. They were fully ignorant because they had no right to educate themselves. They had no sufficient land properties or no any business. So, their financial condition was also very miserable. They were living in the society without any prestige as they had no any particular religion. Their superstitious lives were unbearable for poverty, lack of education, want of medical treatment etc. The Shudras of the Vedic religion of Bengal such as the Teli, the Mali, the Kamar, the Kumar, the Mahishya, the Rajbanshi, the Kapali, the Paundra etc. were almost the same condition as the Namas. Besides these, the oppresion and extortion of the Zeminders were very merciless..."
(HARICHAND THAKUR AND THE MATUYA RELIGION(ENGLISH)/Chapter One/Writer: Sudhir Ranjan Halder)
.
--------------------------------------------------
আরও পড়ুন:
আর্যরা যে মূলে ভারতীয় নয়, তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
visit - https://bit.ly/2TYXT11
Comments
Post a Comment