[ধর্মহীন প্রবৃত্তিপূজারী নাস্তিক ও সংশয়বাদীদের দাঁতভাঙা জবাব]
বিঃদ্রঃ অনুগ্রহপূর্বক সম্পূর্ণ লেখা না পড়ে মন্তব্য করবেন না।
.
.
মনে করুন, একজন দরিদ্র ব্যক্তির সংসারে অভাব অনটন চলে। সে প্রায়ই চিন্তা করে, "আহা! যদি আমি কোটিপতি হতে পারতাম! তাহলে সমস্ত অভাব দূর হয়ে যেত। সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মিটে যেত আমাদের।" এবার কয়েক বছরের মধ্যে দেখা গেল ভাগ্যের মোড় ঘুরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে তার বাড়ি-গাড়িও হয়ে গেল। এবার আপনার কী মনে হয়? সেই ব্যক্তি কি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে? উত্তর হল "না"! সে তখন আরও কিছু উপার্জন করার চিন্তা করতে থাকবে, যেমন কীভাবে ব্যাংক ব্যালেন্স আরও বাড়ানো যায়, কীভাবে আরও একটা ফ্ল্যাট কেনা যায়, কীভাবে আরও একটা গাড়ি কেনা যায়, কীভাবে সিকিউরিটি গার্ড আনা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। সে যদি তার দেশের সবচেয়ে বড় ধনী ব্যক্তিও হয়ে যায়, তাহলে হয়ত চিন্তা করবে কীভাবে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনী ব্যক্তি হতে পারবে ইত্যাদি ইত্যাদি!
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যদি আদম সন্তানের স্বর্ণে পরিপূর্ণ একটা উপত্যকা থাকে, তথাপি সে তার জন্য দুটি উপত্যকার কামনা করবে।" (সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ৫৯৯৬/হাদিসের মান: সহিহ)
এরূপে পার্থিব কামনা (worldly desire) এমনই একটি বিষয় যা পূরণ হলে সন্তুষ্টি আসে না, বরং তা আরও অধিক পরিমাণে বেড়ে গিয়ে পুনরায় ফিরে আসে। এথেকেই জন্ম নেয় লোভ (Greed) এর। যতই পার্থিব কামনা মিটানো হবে, ততই ব্যক্তির মধ্যে লোভ জন্ম নেবে। আর যদি এই পার্থিব কামনা না মেটানো হয়, তবে ব্যক্তির মধ্যে ক্রোধ (anger) বা রাগের উদ্ভব ঘটবে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন, আপনি আপনার পছন্দের একটা খাবার কিনে আনলেন বাজার থেকে। ধরা যাক সেটা হল এক প্যাকেট বিরিয়ানি। এবার সেটাকে আপনি বাড়িতে এনে খাওয়ার টেবিলে রেখে বাইরে গেলেন কিছুক্ষণের জন্য। এবার ঘরে ফিরে এসে দেখলেন টেবিলে সেটা আর নেই। আপনি আপনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন খাবারটা কোথায়? আপনার স্ত্রী আপনাকে বলল, "তোমার কোলেস্টেরল বেড়ে গেছে, ফ্যাট জমে গেছে অনেক, তাই এটা তোমার জন্য খাওয়া ভাল নয়। আর আমিও এই খাবারটা খাব না। তাই এটা আমি ফেলে দিয়েছি ডাস্টবিনে"।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আপনার মধ্যে ক্রোধ জন্ম নেবে এবং তার মুখ্য কারণ হল, আপনার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এখানে মেটে নি।
এভাবে এই পার্থিব কামনা থেকে দুটি বিষয় জন্ম লাভ করে - ১) লোভ (Greed) এবং ২) ক্রোধ বা রাগ (Anger)।
যখন এই কামনা পূরণ হতে থাকে, তখন জন্ম নেয় লোভ এবং এই কামনা বাধাগ্রস্ত হলে জন্ম নেয় ক্রোধ।
এখন তাহলে প্রশ্ন জাগে, এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? এর জন্য আমাদের দেখতে হবে এগুলোর আসল গোড়াটা কোথায়? অর্থাৎ এই কামনা কেন আসে?
ব্যাপারটি বুঝতে আবারও একটি উদাহরণ পেশ করছি।
ধরুন, আপনি খুবই তৃষ্ণার্ত। তৃষ্ণায় আপনি ছটফট করছেন। এখন আপনার সামনে এক ব্যক্তি রঙিন ঠাণ্ডা শরবত নিয়ে এসে বলল, "স্যার, এটা আপনার জন্য, নিন।" এবার আপনি সেটা খেতে যাবেন, সেই মুহূর্তে আপনার এক বন্ধু দূর থেকে চেঁচিয়ে বলে উঠল, "থাম! জানিস না, এই শরবতে কেউ বিষ মিশিয়ে দিয়েছে!" এখন আপনি আপনার বন্ধুর কথায় বিশ্বাস করে সেটি খাওয়া থেকে বিরত হলেন।
এই ঘটনা থেকে আমি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আপনি যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন, তখন শরবত দেখার পর সেটি উপভোগের জন্য আপনার মন (নাফস) ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল। তবে এই উপভোগের জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করছিল আপনার বুদ্ধি (intellect); অন্যভাবে বললে, মন আসলে যার অধীনে থাকে, সেটা হল বুদ্ধি বা intellect যেমনভাবে মহান আল্লাহ বলেন,
أَمْ تَأْمُرُهُمْ أَحْلَٰمُهُم بِهَٰذَآۚ أَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ
"তাদের বুদ্ধি কি তাদেরকে এ নির্দেশ দেয়, নাকি তারা এক সীমালঙ্ঘনকারী জাতি?" (আল-কোরআন ৫২:৩২)
অর্থাৎ যখন আপনি শরবত দেখলেন, তখন আপনার মন উপভোগের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। তখন আপনার বুদ্ধি আপনাকে বলল যে, "ঠিক আছে শরবতটা খাও"; তখন আপনি শরবত খেতে গেলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে যখনই আপনি জানতে পারলেন যে, শরবতে বিষ আছে, আপনার বুদ্ধি আপনার মনকে নির্দেশ দিল, "থাম! কিছু সমস্যা হয়েছে। এই শরবত খেতে পারবে না!" ফলে মন তখনই উপভোগ হতে বিরত হয়ে পড়ল। এবার আপনার বুদ্ধিকে পরীক্ষা করে দেখুন। সে আপনাকে উপভোগ করতে দেবে না। যেমন কেউ যদি অফার দেয় এই বলে যে, "স্যার আপনাকে এক কোটি টাকা দেব। বিষ মেশানো শরবতটা দয়া করে খেয়ে নিন!" আপনার বুদ্ধি আপনাকে বলবে, "একজন মরা মানুষ এক কোটি টাকা দিয়ে কী করবে!" তখন আপনি সেই শরবত আর উপভোগ করবেন না!
এথেকে বোঝা যায় যে, আমাদের মন বা mind বা নাফস সর্বদা উপভোগ করতে চায় আর আমাদের বুদ্ধি বা intellect সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত দেয় এবং মন থাকে এই বুদ্ধির অধীনে।
এখানে লক্ষ্য করুন যে, আপনার মনে শরবতের প্রতি আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল শরবতের সাথে আপনার মন জুড়ে যাওয়ার কারণে, বা অন্যভাবে বললে, শরবতের সাথে আপনার বন্ধন বা attachment হওয়ার কারণে। আর এই বন্ধন বা attachment এর কারণেই শরবতের প্রতি আপনার কামনা তৈরি হয়েছিল। যখনই আপনি জানলেন যে, শরবতে বিষ আছে, আপনার বুদ্ধির অধীনে থাকা মন, বুদ্ধির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শরবত থেকে তার বন্ধনকে সরিয়ে নিল আর শরবত থেকে বন্ধনমুক্ত বা detached হওয়ার কারণে শরবতের প্রতি আপনার কামনা আর থাকল না।
তাই সহজ কথায় বললে, (পার্থিব) কামনা (desire) এর কারণ হল পার্থিব কোনো বিষয়ের সঙ্গে মনের সংযোগ বা attachment আর তাই এই attachment যদি না হয়, তবে কামনারও উদ্ভব ঘটবে না। এখন এই বন্ধন বা attachment কেন আসে? এর উত্তর হল বার বার চিন্তার উদয়ের ফলে অথবা, ক্রমাগত আবর্তনশীল চিন্তার কারণে যাকে বলা যেতে পারে contemplation. ব্যাপারটা আরেকটু ভেঙে বলার চেষ্টা করি। ধরুন, কোনো এক ছেলে বা মেয়ে সবেমাত্র কলেজে উঠেছে। এখন সে দেখল যে, তার কিছু সহপাঠী বা classmates সিগারেট ও মদ খায়। এবার সে এটি দেখে কৌতুহলী হয়ে তাদের সংস্পর্শে গেল এবং সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ দিয়ে বোঝাল যে, এই মদ, গাঁজা, সিগারেটেই হল আসল মজা। এসব হল আধুনিকতার পরিচয়। এগুলোতে যদি অভ্যস্ত হতে পারো, তাহলে বুঝবে আসল প্রশান্তি কাকে বলে!! এরকম কথাবার্তায় সদ্য কলেজে ওঠা সেই ছেলেটি বা সেই মেয়েটি দারুণ প্রভাবিত হয়ে সেও মদ ও সিগারেট খাওয়া শুরু করল। প্রথমে সেগুলো সে খেতে পারত না, কিন্তু বার বার সে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে তারপর সেগুলো খেতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেল। আর তারপর দেখা গেল যে, সেই নেশা জাতীয় দ্রব্য ছাড়া সে আর চলতে পারছে না। নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি সেবন না করলে তার মধ্যে এক নিদারুণ যন্ত্রণা শুরু হতে থাকল!
লক্ষ্য করুন, এখানে সে কেন সহপাঠীদের কথায় এই নেশাতে অভ্যস্ত হল? তার আসল কারণ হল, তার বুদ্ধি তার মনকে বুঝিয়েছে যে, এই নেশাতেই হল আসল শান্তি। ফলে সে এই নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের দিকে পা বাড়াল। আর যখন সে এই নেশাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ল, তখন "নেশাতেই আসল শান্তি" - এই চিন্তা তার মনে বদ্ধমূল হয়ে গেল এবং ক্রমাগত এই চিন্তা তার মধ্যে আবির্ভূত হতে থাকল এমনভাবে যে, সে এই চিন্তাকে তার মন থেকে সরাতে পারল না। এভাবে তার মনে যখনই এই চিন্তা আসতে থাকল (contemplation), তখনই তার মনের সঙ্গে সিগারেট, মদ, গাঁজার বন্ধন (attachment) তৈরি হতে থাকল, আর যখনই এই বন্ধন (attachment) তৈরি হল, তার থেকে জন্ম নিল নেশার প্রতি কামনা (desire) এবং এক পর্যায়ে সেই নেশার প্রতি কামনা মিটাতে মিটাতে ব্যক্তির মধ্যে জন্ম নেয় লোভ। অন্যদিকে এই কামনা না মিটলে ব্যক্তির মধ্যে উদ্ভূত হয় ক্রোধ।
এতকিছু বলার পর এবার আমরা এসে গেছি আসল জায়গাটিতে। আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, মানুষের ক্রমাগত আবর্তনশীল চিন্তা বা contemplation থেকে বন্ধন (attachment), বন্ধন (attachment) থেকে কামনা (desire) এবং কামনা (desire) থেকে জন্ম নেয় লোভ (Greed) এর। এই লোভের পিছনে ছুটতে থাকলে ব্যক্তির কামনার পরিতৃপ্তি ঘটে না, বরং কামনা আরও অধিক হারে বাড়তে থাকে এবং এর ফলে ব্যক্তির মনে সন্তুষ্টি না আসায় সে ক্রমাগত যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হতে থাকে।
এই বিষয়টি নিয়ে এগোনোর পূর্বে বলে রাখি, উপরের এই আলোচনা থেকে অন্তত এটা পাঠকদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, ধর্মহীন প্রবৃত্তিপূজারী যেসকল নাস্তিক ও সংশয়বাদী আজকাল বস্তুবাদী সুখের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছে, তারা নিজেরাই আসলে কতখানি গোপন মানসিক যন্ত্রণায় লিপ্ত!!
এখন উপরের আলোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে, Anger, Greed, Desire, Attachment ইত্যাদির মূলে আসলে যেটা রয়েছে সেটা হল contemplation অর্থাৎ ক্রমাগত মনে আবির্ভূত হওয়া চিন্তা। এখন এই contemplation এর কারণ কী? এর কারণ হল এই যে, এটা আমাদের ফিতরাত (inherent nature) এর অংশ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এমনভাবেই সৃষ্টি করেছেন যাতে আমাদের রূহ (soul) সর্বদা সন্তুষ্টি খুঁজতে থাকে এবং এই সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিভিন্ন বিষয়ের চিন্তা আমাদের মনে জায়গা করে নিতে থাকে। আজকালকার নাস্তিকগণ আবার রূহ (soul) যে আছে, এটা নাকি অনেকে মানতে চায় না! কিন্তু অবাক করা বিষয় যে, তারা মনস্তত্ত্ববিদ্যা অর্থাৎ সাইকোলজি (psychology) অনুসারে মন (mind) এর অস্তিত্ব যে আছে, এটাও অস্বীকার করতে পারে না। এসকল প্রবৃত্তিপূজারীদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি যে, মন (mind) আর কিছুই না, বরং রূহ বা আত্মা (soul) এর এক বিশেষ projection (অভিক্ষেপ) বা প্রকাশ। আর এই রূহ যখন সন্তুষ্টি খুঁজতে থাকে, তখন পার্থিব বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশের মাধ্যমে বস্তুবাদী বিষয়ের সুখকে সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় বলে ভাবতে শুরু করে। অথচ আমরা উপরের আলোচনায় দেখিয়েছি যে, কীভাবে বস্তুবাদী সুখের পিছনে ছুটতে ছুটতে মনের মধ্যে শুরু হয় অতৃপ্তির যন্ত্রণা!
আর এখানেই জড়বাদী নাস্তিক ও সংশয়বাদীদের জবাব দিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করছেন,
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ ٱللَّهِۗ أَلَا بِذِكْرِ ٱللَّهِ تَطْمَئِنُّ ٱلْقُلُوبُ
"যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়; জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।" (আল-কোরআন ১৩:২৮)
খেয়াল করুন, ক্রমাগত মনে বস্তুবাদী চিন্তার উদয় (contemplation) থেকে জড় বন্ধন (material attachment) এবং জড় বন্ধন হতে পার্থিব কামনা (worldly desire) এবং পার্থিব কামনা পূরণে তৈরি হচ্ছিল লোভ (Greed) এর যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পেতে কামনা না মেটার দরুণ ব্যক্তি নিমজ্জিত হচ্ছিল সীমাহীন যন্ত্রণায়।
এখন রাব্বুল আলামীন এই বস্তুবাদী বিষয়ের মনোনিবেশ থেকে অন্তরকে সরিয়ে আমাদেরকে পথ দেখালেন তাঁর প্রতি মনোনিবেশের জন্য। এতে করে কী হবে? এতে ব্যক্তির অন্তরে ক্রমাগত আবির্ভাব ঘটবে মহান আল্লাহর প্রতি আধ্যাত্মিক চিন্তার (spiritual contemplation)। এই ক্রমাগত চিন্তার উদয় হতে অন্তরে ঘটবে আধ্যাত্মিক বন্ধন (spiritual attachment)। ফলে ব্যক্তির অন্তরে আবির্ভূত হবে আধ্যাত্মিক কামনার (spiritual desire); যা রূপান্তরিত হবে আধ্যাত্মিক লোভ (spiritual greed) এ এবং ব্যক্তির অন্তরে এই আধ্যাত্মিক লোভ যত প্রকাশ পাবে, তত তার অন্তর মহান আল্লাহর ইবাদতে নত হতে থাকবে এবং তত অন্তর বিশুদ্ধ হয়ে সেই অন্তরে প্রশান্তি ও পবিত্রতা বিরাজ করবে! পার্থিব জগতের কোনো বাধা, বিপত্তি, কষ্ট, যন্ত্রণা ইত্যাদি কিছুই তখন ব্যক্তির অন্তরের এই পবিত্রতা ও প্রশান্তিকে বিলুপ্ত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ!
আর তাই প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি যখন প্রতিটি কাজে মহান আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন তার অন্তরে নেমে আসে এক অভূতপূর্ব প্রশান্তি যা কোনো বস্তুবাদী ধর্মহীন প্রবৃত্তিপূজারী নাস্তিকের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়!
একারণে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
"যে ঘরে আল্লাহর যিকির করা হয় এবং যে ঘরে আল্লাহর যিকির করা হয় না, তার দৃষ্টান্ত জীবিত ও মৃতের।" (সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) ১৬৯৬/হাদিসের মান: সহিহ)
.
.
.
- Ahmad Al-Ubaydullaah
Comments
Post a Comment