ভক্তরা সংস্কার আন্দোলন করে সতীদাহ প্রথা বাতিল করেছে। ভক্তরা কোথা থেকে থিওরি এনে এটাকে কুসংস্কার বলে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রামায়ণ মহাভারতে সতীদাহ প্রথার কথা প্রায়ই শোনা যায়। এখানেও ভক্তরা এটা সেটা বলে চালিয়ে দেয়। তাই এবার তাদেরকে শিবপুরাণ থেকে দেখাই যে সেখানেও স্পষ্ট সতীদাহ প্রথার কথা বলা আছে, যেটা প্রমাণ করে সতীদাহ প্রথা কোনো কুসংস্কার না, বরং এটা বৈদিক আচারেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সাথে আমি স্বামী প্রভুপাদের ব্যাখ্যাও যুক্ত করছি।
"ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ইন্দ্র তার বজ্র দিয়ে ভ্রার্তা এর শীর্ষস্থানীয় মস্তক জোরপূর্বক কেটে ফেলল।" (শিবপুরাণ, শতরুদ্র সংহিতা, ২৪:৩১)
"Indra who was well prepared, cut off the peak-like head of Vrtra with the thunderbolt forcefully." (Siva Purana, Satarudra Samhita, 24:31; tr. J.L Shastri)
"সতী রমণী (i.e ভ্রার্তার স্ত্রী) এই কাজ দেবতাদের বুঝতে পেরে প্রচন্ড রেগে গেলেন। মহামুনির ক্ষিপ্ত স্ত্রী সুভর্চা তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করলেন।" (শিবপুরাণ, শতরুদ্র সংহিতা, ২৪:৩৭)
"The chaste lady (i.e wife of Vrtra), on realising that all this was the action of the gods, became angry. The infuriated wife of the excellent sage, Suvarca, cursed them." (Siva Purana, Satarudra Samhita, 24:37; tr. J.L Shastri)
"সতী রমণী ইচ্ছা পোষণ করলেন তার স্বামীর পরকালে যাওয়ার জন্য। পবিত্র কাঠ সংগ্রহ করে তিনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার চিতা প্রস্তুত করলেন।" (শিবপুরাণ, শতরুদ্র সংহিতা, ২৪:৩৭)
"The chaste lady desired to go to the worlds of her husband. With the sacred twigs, the noble lady prepared the funeral pyre." (Siva Purana, Satarudra Samhita, 24:40; tr. J.L Shastri)
"(শিবের) স্বর্গীয় কণ্ঠ বলে উঠল:- হে বিদুষী রমণী, এহেন ক্লেশযুক্ত ক্রিয়া সম্পাদন করো না। আমার গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো শোন। ঋষির সন্তান তোমার গর্ভে লালিত হচ্ছে। তাকে যত্ন সহকারে আরও উন্নত করো। হে সুশীলা রমণী, (সন্তান জন্মানো হয়ে গেলে) এরপর তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো। এটা ব্রহ্মার নির্দেশ যে, একজন গর্ভবতী নারীর নিজেকে অগ্নিদগ্ধ করা উচিৎ নয়।" (শিবপুরাণ, শতরুদ্র সংহিতা, ২৪:৪২-৪৩)
"The Celestial Voice (of Siva) said:- O intelligent lady, do not carry out this calamitous task. Listen to my weighty words. The semen of the sage is in your womb. Develop it carefully. O gentle lady, later on, you may do as you please. It is the command of Brahma that a pregnant woman should not burn herself." (Siva Purana, Satarudra Samhita, 24:42-43; tr. J.L Shastri)
শিবপুরাণের অন্য একটি জায়গায় সতীদাহ এর প্রথা আরও সরাসরি বলা আছে।
"পীড়িত, বিষাদগ্রস্ত সতী রমণী প্রচুর বিলাপ করলেন। তিনি তার স্বামীর হাড়গুলোকে একত্রিত করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার চিতা তৈরি করলেন। ব্রাহ্মণ রমণীটি তার স্বামীকে অনুসরণ করতে সেই চিতায় প্রবেশের ইচ্ছাপূর্বক রাক্ষস রাজাকে অভিশাপ দিলেন। সতী রমণী অগ্নিতে প্রবেশের সময় ঘোষণা দিলেন, "এখন থেকে তুই যদি কোনো নারীর সাথে সহবাসে মিলিত হোস, তবে তুই মৃত্যুবরণ করবি"।" (শিবপুরাণ, কটিরুদ্র সংহিতা, ১০:২২-২৪)
"The distressed, grief-stricker, chaste lady lamented much. She gathered the bones of her husband and lightened a funeral pyre. The Brahmin lady desirous of entering the pyre in order to follow her husband cursed the Raksasa king. The chaste lady entered fire after proclaiming "From now onwards if you become united with any woman in sexual embrace you will die." (Siva Purana, Kotirudra Samhita, 10:22-24; tr. J.L Shastri)
ভক্তরা লাফিয়ে উঠে অন্য ব্যাখ্যা দেওয়ার আগে একবার স্বামী প্রভুপাদের ব্যাখ্যাখানা দেখে নিকঃ
"বৈদিক সংস্কৃতিতে সতী বা সহমরণ বলে একটি প্রথা আছে যাতে একজন নারী তার স্বামীর সাথেই মৃত্যুকে বরণ করে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী, যদি স্বামী মারা যায়, তবে স্ত্রী স্বেচ্ছায় স্বামীর চিতার প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে প্রবেশ করে মৃত্যুবরণ করবে... স্বামী ব্যতীত কোনো নারী মৃতদেহের ন্যায়। তাই বৈদিক সংস্কৃতিতে কোনো বালিকাকে অবশ্যই বিবাহ দিতে হবে.."
(স্বামী প্রভুপাদ কর্তৃক বর্ণিত শ্রীমদ্ভাগবত, ৯:৯:৩২ এর সারমর্ম)
"In the Vedic culture there is a system known as satī or saha-maraṇa, in which a woman dies with her husband. According to this system, if the husband dies, the wife will voluntarily die by falling in the blazing funeral pyre of her husband.... A woman without a husband is like a dead body. Therefore according to Vedic culture a girl must be married..."
(Purport on Srimad Bhagavatam, 9:9:32 by A.C Bhakti Vedanta Swami Prabhupada) source - https://vanisource.org/wiki/SB_9.9.32
আরেকটা মিথ্যা অভিযোগ বৈদিকরা দিয়ে থাকে তাদের ম্লেচ্ছা বিদ্বেষ এর কারণে - সেটা হল মুসলিম শাসকদের ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতেই নাকি সতীদাহ প্রথা চালু হয়েছিল যেটা পুরো ভুয়া কথা! ইন্ডিয়া টুডে নিউজপেপারে সত্য কথাটা বলা হয়েছে যে, প্রথম মুসলিম শাসকরাই এই প্রথাখানা বন্ধ করেছিল৷ কিন্তু বৈদিকরা তা হজম করতে পারে নি!!
"In the 16th century, **Humayun was the first to try a royal agreement against the practice. Akbar was next to issue official orders prohibiting Sati and since then it was done voluntarily by women.** He also issued orders that no woman could commit Sati without a specific permission from his chief police officers"
source: India Today Newspaper
Link: https://www.indiatoday.in/education-today/gk-current-affairs/story/sati-pratha-facts-275586-2015-12-04
=====================
Comments
Post a Comment