đ āĻোāĻ°āĻāĻ¨ āĻেāĻ¨ āĻ¸āĻ°াāĻ¸āĻ°ি āĻŦāĻ˛āĻে āĻ¨া āĻ¯ে, āĻĒৃāĻĨিāĻŦী āĻ¸ূāĻ°্āĻ¯েāĻ° āĻাāĻ°িāĻĻিāĻে āĻোāĻ°ে?
(এই লেখার সাথে যুক্ত ভিডিওটিও দেখুন যাতে বিষয়বস্তু পরিষ্কারভাবে বুঝতে আপনার সুবিধা হয়)
.
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে বিভিন্ন স্থানে সূর্য ও চন্দ্রের গতিশীলতার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে পৃথিবীর গতিশীলতার কথা অনেকে এখানে খুঁজে পায় না বা বুঝতে পারে না বিধায় এভাবে ব্যাখ্যা করে যে, পৃথিবী আসলে স্থির। আর এখানে নাস্তিকরাও এই সুযোগটা নিয়ে বলতে থাকে যে, পৃথিবী স্থির আর সূর্য তার চারিদিকে ঘোরে - কোরআন এমনই কথা বলছে। আর এই বলে বলে তারা ইসলামের নিন্দা করতে থাকে। আসলে এখানে পৃথিবীকে জড় কাঠামো বা frame of reference হিসেবে ধরা হয়েছে। এর বিস্তারিত জবাব এই লেখা থেকে পড়ুন -
.
👉 সূর্য ঘোরে নাকি পৃথিবী ঘোরে? ইসলাম কী বলে?
https://response-to-anti-islam.com/show/সূর্য-ঘোরে-নাকি-পৃথিবী-ঘোরে--ইসলাম-কী-বলে--/189
.
তবে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কোনটা ঘোরে সেটা ব্যাখ্যা করা না। উপরের লেখাটি ভালভাবে পড়ুন, যেখানে ইসলাম অনুযায়ী পৃথিবী ও সূর্যের গতিশীলতাকে দলিলসহ ব্যাখ্যা করে দেখানো হয়েছে যে, এটি আধুনিক বিজ্ঞানের বক্তব্যের সাথেই সামাঞ্জস্যপূর্ণ।
.
কিন্তু এখানে আমি একটি অন্য বিষয় সম্পর্কে ভাবার জন্য বলছি।
.
সূর্য ও চন্দ্রের গতি নিয়ে কোরআনে বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি আয়াত উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হল:
.
ٱللَّهُ ٱلَّذِى رَفَعَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَاۖ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِۖ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَۖ كُلٌّ يَجْرِى لِأَجَلٍ مُّسَمًّىۚ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ يُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُم بِلِقَآءِ رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ
.
"আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উর্ধ্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।" (আল-কোরআন, ১৩:২)
.
এরকম বিভিন্ন আয়াত আপনি আরও পাবেন। তবে আমি যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিতে চাইছি সেটা হল, আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে, আয়াতে কিন্তু বলা হচ্ছে না যে, কোনো গ্রহ কোনো নক্ষত্রকে বা কোনো উপগ্রহ কোনো গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এমনকি মহাকাশের অন্যান্য সকল কিছুই যে ঘুরছে সে বিষয়টিরও কোরআন ইঙ্গিত দিচ্ছে।
.
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلرَّجْعِ
.
"শপথ চক্রশীল আকাশের"
(আল-কোরআন, ৮৬:১১; অনুবাদ: মুহিউদ্দিন খান)
.
কিন্তু কোনো বস্তুকে কেন্দ্র করে কোনোকিছু ঘুরছে কী ঘুরছে না - কোরআনের বর্ণনা থেকে এটা সরাসরি হয়ত আমরা পাই না। কেন কোরআন এরূপভাবে বর্ণনা করছে, একবারও ভেবে দেখেছেন??
.
কোরআনে মহাজাগতিক বস্তুর গতির বর্ণনার এরূপ প্রকৃতি থেকেই বোঝা যায় যে, কোরআন কোনো মানুষের রচনা হতে পারে না। এই বিষয়টিকে বোঝার জন্য আপনাকে আধুনিক বিজ্ঞানের একটি ধারণা বা concept সম্পর্কে জানতে হবে যাকে আজ বলা হয়ে থাকে "ব্যারি-সেন্টার" (barycenter)। সূর্য ও পৃথিবী সৌরজগতে এই ব্যারি-সেন্টারকে ঘিরেই ঘুরতে থাকে। এমনকি একটি গ্যালাক্সির সকল কিছুই গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত কোনো একটি ব্যারি-সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এখন আপনি ভাবছেন যে, এই ব্যারি-সেন্টারটা আবার কী? প্রথমেই বলি যে, এটা কোনো বস্তু না, আবার কোনো শক্তি বা এনার্জিও না। বরং এটি কেবল একটি ধারণা মাত্র যা কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানকে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়।
.
নাসার ওয়েবসাইটের বক্তব্য অনুযায়ী,
.
"আমরা বলে থাকি যে, গ্রহসমূহ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘোরে; তবে এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। গ্রহ ও নক্ষত্রসমূহ প্রকৃতপক্ষে তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্রের চারিদিকে ঘোরে। এই সাধারণ ভরকেন্দ্রকে বলা হয় ব্যারি-সেন্টার..."
"We say that planets orbit stars, but that’s not the whole truth. Planets and stars actually orbit around their common center of mass. This common center of mass is called the barycenter...."
source - https://spaceplace.nasa.gov/barycenter/en/
.
একটু সহজভাবে দেখুন। ছোটোবেলায় আমরা অনেকেই হয়ত কাঠের স্কেলের মাঝে আঙ্গুল রেখে সেটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছি। কেউ কেউ হয়ত আবার ব্যালেন্স করেও নিতাম। এই যে আপনি আমি কাঠের স্কেলের মাঝ বরাবর কোনো একটা জায়গায় আঙ্গুল রেখে এটি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছি যাতে এটা একদিকে পড়ে না যায়, এই ব্যালেন্স করার জায়গাটিকেই বলা হয় ভরকেন্দ্র বা center of mass. তবে স্কেলের বেলায় তো আপনি দিব্যিই এর ব্যালেন্সের জায়গা স্কেলের মাঝ বরাবর খুঁজে নিয়েছেন, কিন্তু সকল বস্তুর বেলায় ব্যালেন্সের জায়গা (বা অন্যভাবে বললে ভরকেন্দ্র বা center of mass) আপনি সেই বস্তুর মাঝ বরাবরই পাবেন, এমন কোনো মানে নেই। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটা হাতুড়িকে ব্যালেন্স করতে গেলে হাতুড়ির মাঝ বরাবর কাঠের হ্যান্ডেলের ওপর কোনো জায়গা ব্যালেন্সের জন্য পাবেন না। আপনাকে নিরুপায় হয়ে হাতুড়ির লোহার অংশের ওপর গিয়েই ভরকেন্দ্র বা center of mass খুঁজতে হবে। একইভাবে সৌরজগতেরও এমন একটা ভরকেন্দ্র বা center of mass আছে যাকে "ব্যারি-সেন্টার" নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই ব্যারি-সেন্টারকে কেন্দ্র করেই গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি সব কিছু ঘুরতে থাকে। এই ব্যারি-সেন্টারের অবস্থান নির্দিষ্ট নয়; বরং গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদির গতির ওপর ভিত্তি করে এটি সময়ে সময়ে পরবর্তিত হতে থাকে। একারণেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন,
.
ٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ
.
"সূর্য ও চন্দ্র আবর্তন করে সুনির্দিষ্ট হিসাব অনুযায়ী।"
(আল-কোরআন, ৫৫:৫; অনুবাদ: তাইসিরুল কুরআন)
.
পৃথিবী ও সূর্যের মাঝের ব্যারি-সেন্টারের অবস্থান সূর্যের খুব নিকটে হওয়ায় আমরা সহজে বলে দিই যে, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। একইভাবে পৃথিবী ও চাঁদের মাঝেও এমন ব্যারি-সেন্টার রয়েছে যাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ও চাঁদ ঘুরতে থাকে। কিন্তু পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার ব্যারি-সেন্টার এর অবস্থান পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ায় আমরা সহজভাবে বলি যে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।
.
এখন যদি আপনি একটু চিন্তা করেন, তবে দেখবেন, ব্যারি-সেন্টারের অবস্থান আর মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্রের গতি যতই জটিল হোক না কেন, গ্রহ ও নক্ষত্র নিজেরা পরস্পরের সাথে গতিপথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না। এটা তো হতেই পারত যে, তারা এহেন জটিল গতিতে চলতে গিয়ে একে অপরের সাথে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয়ে গেল! অথচ তা হয় না, বরং তা সুনির্দিষ্ট নিয়মের অধীনেই সর্বদা চলমান। একারণেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করছেন,
.
لَا ٱلشَّمْسُ يَنۢبَغِى لَهَآ أَن تُدْرِكَ ٱلْقَمَرَ وَلَا ٱلَّيْلُ سَابِقُ ٱلنَّهَارِۚ وَكُلٌّ فِى فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
.
"সূর্যের জন্য সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া, আর রাতের জন্য সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা, আর প্রত্যেকেই কক্ষ পথে ভেসে বেড়ায়।"
(আল-কোরআন, ৩৬:৪০; অনুবাদ: বয়ান ফাউন্ডেশন)
.
সুবহানআল্লাহ!
.
কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন কেয়ামতের মুহূর্ত উপস্থিত হবে এবং তখন সূর্য ও চন্দ্র একত্রিত হয়ে যাবে আল্লাহর হুকুমে।
.
بَلْ يُرِيدُ ٱلْإِنسَٰنُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُۥ
يَسْـَٔلُ أَيَّانَ يَوْمُ ٱلْقِيَٰمَةِ
فَإِذَا بَرِقَ ٱلْبَصَرُ
وَخَسَفَ ٱلْقَمَرُ
وَجُمِعَ ٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ
يَقُولُ ٱلْإِنسَٰنُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ ٱلْمَفَرُّ
.
"বরং মানুষ চায় ভবিষ্যতেও পাপাচার করতে।
সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’?
যখন চক্ষু হতচকিত হবে।
আর চাঁদ কিরণহীন হবে,
আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে।
সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’?"
(আল-কোরআন, ৭৫:৫-১০; অনুবাদ: বয়ান ফাউন্ডেশন)
.
.
আমি আমার লেখাটি শেষ করব কোরআন এর একটি আয়াত দিয়ে যেখানে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করছেন,
.
سَنُرِيهِمْ ءَايَٰتِنَا فِى ٱلْءَافَاقِ وَفِىٓ أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ ٱلْحَقُّۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ
.
"আমি শীঘ্র তাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্বজগতে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে। ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে ওটাই সত্য। এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার রাব্ব সর্ব বিষয়ে অবহিত?"
(আল-কোরআন, ৪১:৫৩; অনুবাদ: মুজিবুর রহমান)
.
.
=============
#আহমাদ_আলি
.
.
.
ভিডিওটি দেখুন এই লিঙ্ক থেকে:
https://youtu.be/VF4A8baiuDw
Comments
Post a Comment