(ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে হিন্দুধর্মীয় মুশরিকি দর্শনের জবাব)
.
হিন্দু দর্শন অনুযায়ী, মানুষের ইচ্ছাশক্তি স্বাধীন নয়। প্রকৃতি আমাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়; আর আমরা প্রকৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মনে করি যে, আমরাই কাজের কর্তা, যেটা আসলে আমাদের অজ্ঞতা। এই প্রসঙ্গে ভগবতগীতা বলছে,
.
"মোহাচ্ছন্ন জীব প্রকৃত অহঙ্কারবশত জড়া প্রকৃতির ত্রিগুণ দ্বারা ক্রিয়মাণ সমস্ত কার্যকে স্বীয় কার্য বলে মনে করে এবং আমি কর্তা- এই রকম অভিমান করে।"
(ভগবতগীতা, ৩:২৭)
.
"জীব যখন অনুভব করেন যে, প্রকৃতির গুণ ব্যতীত কর্মে অন্য কোন কর্তা নেই এবং পরমেশ্বর ভগবান এই সমস্ত গুণের অতীত তখন তিনি আমার পরা-প্রকৃতি জানতে পারেন।"
(ভগবতগীতা, ১৪:১৯)
.
স্বামী বিবেকানন্দের ব্যাখ্যা থেকে আরও কিছুটা বিস্তারিত জানা যায়:
.
"...স্বাধীন ইচ্ছা বলিয়া কিছু থাকিতে পারে না; ঐ শব্দগুলি পরস্পরবিরুদ্ধ, কারণ ইচ্ছা জ্ঞানের অন্তর্গত এবং যাহা কিছু আমরা জানি সে-সবই আমাদের জগতের অন্তর্গত। আবার জগতের অন্তর্গত সব-কিছুই দেশ-কাল-নিমিত্তের ছাঁচে ঢালা। যাহা কিছু আমরা জানি বা যাহা কিছু জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব, সবই কার্য-কারণের অধীন; এবং যাহা কিছু কার্য-কারণ-নিয়মের অধীন, তাহা কখনও স্বাধীন হইতে পারে না। অন্যান্য বস্তু ইহার ওপর ক্রিয়া করে এবং ইহাও আবার অপরের কারণ হয়, এইরূপ চলিতেছে। যাহা পূর্বে 'ইচ্ছা' ছিল না, কিন্তু ইচ্ছারূপে পরিণত হয়, যাহা এই দেশ-কাল-নিমিত্তের ছাঁচে পড়িয়া মানুষের ইচ্ছারূপে পরিণত হইয়াছে, তাহা মুক্তস্বভাব..."
.
[স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলি/১ম খণ্ড/কর্মযোগ/মুক্তি]
.
.
উপরের ব্যাখ্যার একটি অংশ আবার দেখা যাক:
.
///যাহা কিছু আমরা জানি বা যাহা কিছু জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব, সবই কার্য-কারণের অধীন; এবং যাহা কিছু কার্য-কারণ-নিয়মের অধীন, তাহা কখনও স্বাধীন হইতে পারে না।///
.
তাহলে উপরের ব্যাখ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, যেহেতু সব কিছুই কার্য-কারণ-নিয়মের অধীন, তাই অন্যভাবে বলা যায় যে, সৃষ্টির সবকিছুই সেই কার্য-কারণ-নিয়মে পরাধীন। আর তাই প্রকৃতি সেই কার্য-কারণ-নিয়মের অধীন করে সৃষ্টিকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। যেমন: সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবী তার চারদিকে ঘোরে। পৃথিবীর এই কাজটি কার্য-কারণ-নিয়মে আবদ্ধ; আর এখানে সেই কার্য-কারণ-নিয়মটি হিসাবে আমরা মহাকর্ষ বল, সূর্যের কেন্দ্রমুখী বল ইত্যাদিকে বিবেচনা করতে পারি, যেগুলির কারণে পৃথিবী বাধ্য হয় সূর্যের চারদিকে ঘুরতে।
.
কিন্তু প্রশ্ন হল, তাহলে এই কার্য-কারণ-নিয়মগুলো এল কোথা থেকে???
.
হিন্দু দর্শনে এর উত্তর হল, এগুলো এসেছে ঈশ্বরের কাছ থেকে। কিন্তু তবুও এর মধ্যে কিছু জটিলতা আছে। বিষয়টা আরেকটু দেখা যাক।
.
হিন্দু দর্শন অনুযায়ী, ঈশ্বরের নিজের অংশ থেকে এই জগৎ তৈরি হয়েছে।
.
"হে পান্ডব, এইভাবে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে তুমি আর মোহগ্রস্ত হবে না, যখন জানবে **সমস্ত জীবই আমার বিভিন্ন অংশ** এবং তারা সকলেই আমাতে অবস্থিত এবং তারা সকলেই আমার।" (ভগবতগীতা, ৪:৩৫)
.
"এই জগৎ সেই অনন্ত সত্ত্বার এতটুকু অংশ মাত্র, একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালা, দেশ-কাল-নিমিত্তে গঠিত। ঐরূপে ছাঁচে ঢালা অস্তিত্ব-সমষ্টির নামই আমাদের জগৎ।
..............
...সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই সেই অনন্ত পুরুষের একটি কণামাত্র।"
.
[স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলি/১ম খণ্ড/কর্মযোগ/মুক্তি]
.
অর্থাৎ, হিন্দু দর্শন অনুযায়ী ঈশ্বর, যাকে কখনও অনন্ত পুরুষ, পরম পুরুষ ইত্যাদি বলা হয়েছে, তার অংশ থেকে জগৎ প্রকাশ পেয়েছে বা অন্যভাবে বললে, হিন্দু দর্শন অনুযায়ী, ঈশ্বরের শরীরের একটা অংশ রূপান্তরিত হয়ে এই জগৎ তৈরি হয়েছে। আর তাই এই জগতের মধ্যে ক্রিয়াশীল কার্য-কারণ-নিয়মগুলোও ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে এবং তাই ঈশ্বরই প্রকৃতিকে আশ্রয় করে মানুষ, প্রাণী, গ্রহ এবং জগতের সকল কিছুকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। আর তাই আমাদের প্রকৃতপক্ষে কোনো স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি নেই। এ প্রসঙ্গে ভগবতগীতা বলছে,
.
"হে অর্জুন, পরমেশ্বর ভগবান সমস্ত জীবকে দেহরূপ যন্ত্রে আরোহণ করিয়ে মায়ার দ্বারা ভ্রমণ করান।"
(ভগবতগীতা, ১৮:৬১)
.
.
এবার বিবেকানন্দের সেই আগের অংশের বক্তব্যটি আবার লক্ষ্য করা যাক:
.
///যাহা কিছু আমরা জানি বা যাহা কিছু জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব, সবই কার্য-কারণের অধীন; এবং যাহা কিছু কার্য-কারণ-নিয়মের অধীন, তাহা কখনও স্বাধীন হইতে পারে না।///
.
আমরা প্রশ্ন করেছিলাম যে, এই কার্য-কারণ-নিয়মগুলো এল কোথা থেকে। তার জবাবে পেলাম যে, এগুলো ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, যে ঈশ্বর নিজের অংশকে রূপান্তরিত করে জগৎ আর জগতের এই সকল কার্য-কারণ-নিয়মগুলো সৃষ্টি করেছেন।
.
আর ঠিক এখানেই ইসলাম এই মুশরিকি দর্শনকে সংশোধন করেছে!!!
.
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করছেন যে, তিনি তাঁর নিজের অংশ থেকে নয়, বরং একেবারে শুন্য থেকে বা "from nothing" বা "out of nothing" থেকে সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন:
.
أَوَلَا يَذْكُرُ ٱلْإِنسَٰنُ أَنَّا خَلَقْنَٰهُ مِن قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْـًٔا
.
"মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি পূর্বে তাকে (শূন্য থেকে) সৃষ্টি করেছি আর সে তখন কিছুই ছিল না।" (আল-কোরআন, ১৯:৬৭)
.
"But does not man call to mind that We created him before **out of nothing?"** (Al-Quran, 19:67; Yusuf Ali's translation)
.
সুতরাং, যখন এই সৃষ্টি, আল্লাহ তাঁর অংশ থেকে তৈরি করেন নি, তখন ইসলামিক বিচারে হিন্দু দর্শনের উদ্ভাবক ও সেই দর্শনের অনুসারীরা ডাহা মিথ্যাবাদী যারা নিজেদের মনগড়া থিওরি খাড়া করে আল্লাহ তায়ালার প্রতি ক্রমাগত মিথ্যাচার করে চলেছে। আর একারণেই ইসলাম ঘোষণা করছে যে, প্রকৃতির এই কার্য-কারণ-নিয়ম হিন্দু দর্শনের কোনো অনন্ত পুরুষ বা ভগবানের কাছ থেকে আসেনি যে নিজের দেহ রূপান্তরিত করে এই জগতের কার্য-কারণ-নিয়মের সৃষ্টি করেছেন।
.
তাহলে প্রশ্ন হল, এই কার্য-কারণ-নিয়মের প্রকৃত উৎস আসলে কী?
.
সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ এর উত্তর দিচ্ছেন এভাবে:
.
بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ وَإِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ
.
"তিনি আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা এবং যখন তিনি কোন কাজ সম্পাদন করতে ইচ্ছা করেন তখন তার জন্য শুধু বলেন ‘হও’, আর তাতেই তা হয়ে যায়।"
(আল-কোরআন, ২:১১৭)
.
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা হুকুম বা নির্দেশ দেন, আর সেই হুকুম বা নির্দেশ বা commandment রূপান্তরিত হয়ে কার্য-কারণ-নিয়মে পরিণত হয়। তাই কার্য-কারণ-নিয়ম এর প্রকৃত উৎস হল মহান আল্লাহর হুকুম বা নির্দেশ। আর আল্লাহর হুকুমের আওতাধীন হল সমগ্র সৃষ্টিজগৎ। এখানে প্রকৃতির নিজের কোনো ক্ষমতা নেই, কেননা প্রকৃতি ও কার্য-কারণ-নিয়মের একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী হলেন আল্লাহ!
তাই গ্রহ, প্রাণী, গাছপালা ইত্যাদি প্রায় সকল সৃষ্টিই তার নির্দেশের মধ্যে আবদ্ধ এবং একারণে তাদের কোনো স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি নেই।
.
কিন্তু এই হুকুমের আওতাধীন সৃষ্টির মধ্যে দুটি সৃষ্টি - মানুষ ও জ্বিন-কে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ সীমিত পরিমাণে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন, যার ফলে তারা নিজেদের ক্ষমতা আর সীমার মধ্যে আল্লাহর হুকুমকে মেনেও চলতে পারে, আবার নাও মানতে পারে। নিচে এই বিষয়ের কিছু দলিল পেশ করা হল:
.
ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْمَوْتَ وَٱلْحَيَوٰةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًاۚ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْغَفُورُ
.
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।"
(আল-কোরআন, ৬৭:২)
.
.
لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
.
"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি কিংবা বাধ্যবাধকতা নেই। নিশ্চয়ই ভ্রান্তি হতে সুপথ প্রকাশিত হয়েছে। অতএব যে তাগুতকে(মিথ্যা উপাস্যকে) অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে দৃঢ়তর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরলো যা কখনও ছিন্ন হবার নয় এবং আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।"
(আল-কোরআন, ২:২৫৬)
.
.
উপরের দুটি আয়াত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তায়ালা পার্থিব জীবনকে পরীক্ষাস্বরূপ হিসেবে তুলে ধরে সৎ আর অসৎ কাজকে বেছে নেওয়ার অপশন দিচ্ছেন এবং সেক্ষেত্রে কোনো জোর প্রয়োগ করছেন না। আর এই সীমিত পরিমাণ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি যে আল্লাহ তায়ালা কেবল মানুষ আর জ্বিন জাতিকে দিয়েছেন, তার দলিল নিম্নরূপ:
.
"সে দিন না মানুষকে, না জ্বিনকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।
অতএব (হে জ্বিন ও মানুষ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"
(আল-কোরআন, ৫৫:৩৯-৪০)
.
.
উল্লিখিত আয়াত দুটি থেকে আখিরাত বা পরকালে মানুষ ও জ্বিনের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে; আর পাপ বা অপরাধের জন্য দায়ী তখনই করা হয়, যখন কোনো ব্যক্তি নিজের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই অপরাধ করে থাকে।
আবার পরের আয়াতেই মানুষ ও জ্বিনকে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ এর মধ্যে কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার তারা করতে চায় সেই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। এটা মানুষ ও জ্বিনের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকেই ইঙ্গিত করে। আর একারণেই মানুষ ও জ্বিনের এই স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির জন্য তারা নিজেদের কৃতকর্মের দায়ভার বহন করবে এবং তাদের পার্থিব জগতের কাজের প্রেক্ষিতে পরকালে তাদের চিরস্থায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম দেওয়া হবে।
.
"তোমরা সৎ কাজ করলে তা নিজেদেরই জন্য করবে এবং মন্দ কাজ করলে তাও করবে নিজেদের জন্য....."
(আল-কোরআন, ১৭:৭)
.
.
আবার নিমোক্ত আয়াতটিও লক্ষ্যণীয়:
.
وَإِذَآ أَرَدْنَآ أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا۟ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا ٱلْقَوْلُ فَدَمَّرْنَٰهَا تَدْمِيرًا
.
"যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন ওর সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে সৎ কাজ করতে আদেশ করি, কিন্তু তারা সেখানে অসৎ কাজ করে। অতঃপর ওর প্রতি দন্ডাজ্ঞা ন্যায় সঙ্গত হয়ে যায় এবং আমি ওটাকে সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত করি।"
(আল-কোরআন, ১৭:১৬)
.
এই আয়াতে দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহ সৎ কাজের নির্দেশ দিলেও অনেকে অসৎ কাজ করে। এটা থেকে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ইঙ্গিতই বোঝা যায়।
.
.
কিন্তু আগেই বলেছি যে, মানুষ ও জ্বিনের এই ইচ্ছাশক্তি সীমিত, কেননা আল্লাহ তায়ালাই সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক। আর তাই আল্লাহর হুকুমে মানুষ ও জ্বিন ঠিক ততটুকুই স্বাধীনতা পেতে সক্ষম, যতটুকু আল্লাহ চান।
.
আব্দুল আলীম ইবনে কাওসার তাঁর গ্রন্থ "প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা" এর "তাওহীদ সম্পর্কে প্রশ্ন এবং উত্তর" অধ্যায়ে এই বিষয়ে যথার্থই বলেছেন:
.
"মানুষ কি বাধ্যগত জীব নাকি স্বাধীন?
.
এধরনের শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কেননা এ দু’টিই ভুল। কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী প্রমাণিত হয়, মানুষের ইচ্ছাশক্তি রয়েছে এবং সে তার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই আমল করে থাকে। তবে এসবকিছুই আল্লাহ্র ইলম এবং ইচ্ছার অধীন। এরশাদ হচ্ছে,
.
﴿لِمَن شَآءَ مِنكُمۡ أَن يَسۡتَقِيمَ ٢٨ وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٩ ﴾ [التكوير: ٢٨، ٢٩]
.
“(এই উপদেশ) তার জন্য, তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলতে চায়। তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছার বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না” (তাকভীর ২৮-২৯)।"
.
[গ্রন্থ: প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা/অধ্যায়: তাওহীদ সম্পর্কে প্রশ্ন এবং উত্তর; উৎস - http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=1508]
.
.
লেখক: আহমেদ আলি
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment