"বিশ্বাসী (মু’মিন)গণ যেন বিশ্বাসী (মু’মিন)দেরকে ছাড়া অবিশ্বাসী (কাফের)দেরকে অভিভাবক (বা অন্তরঙ্গ বন্ধু)রূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে, তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে ব্যতিক্রম, যদি তোমরা তাদের কাছ থেকে কোন ভয় আশংকা কর (তাহলে আত্মরক্ষার জন্য কৌশল অবলম্বন করতে পার)। আর আল্লাহ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন এবং আল্লাহর দিকেই (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন।" (আল-কোরআন, ৩:২৮)
.
.
অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে, কেন অমুসলিমরা মুসলিমদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হতে পারে না? কেন তারা আমাদের শত্রু? ইসলাম কি তাহলে নির্মম ধর্ম নয়?
.
বিষয়টি বুঝতে একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। মনে করুন, কোনো ব্যক্তি আপনার মাকে ধর্ষণ করল! এবার আপনি কি সেই ধর্ষণকারীকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরবেন??? কখনই না, কারণ সেই ব্যক্তির অন্যায় এমন গুরুতর যে, সে শাস্তির যোগ্য। ইসলামে আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা বা সমকক্ষ স্থির করা ধর্ষণের চেয়েও জঘন্য অপরাধ। তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব যে, আমরা এই ভয়ংকর অপরাধের সমর্থনকারীদের সুরে সুর মেলাবো???
.
ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা, অদ্বৈতবাদের মাধ্যমে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার অংশ বলে দাবি করা সবই চূড়ান্ত পথভ্রষ্টতা যা ব্যক্তিকে সত্য হতে পুরোপুরি দূরে সরিয়ে দেয়। এগুলো সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয়াবহ মিথ্যা অপবাদ!
.
যদি আপনার বাবাকে কেউ চোর বলে মিথ্যা অপবাদ দেয়, আপনার সেটা নিশ্চয়ই সহ্য হবে না; তাহলে যখন সামান্য নিজের বাবার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিলে আপনি সহ্য করতে না পারেন, তাহলে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত সেই সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ এর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিলে সত্য বিশ্বাসী এই মুসলিম জাতি তা কীভাবে সহ্য করবে!!!
.
কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, আমরা নির্বিচারে অমুসলিমদের হত্যা করব! যদি অমুসলিমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়, তবে প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। কোরআন ঘোষণা করছে,
.
وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ٱسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّىٰ يَسْمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُۥۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُونَ
.
"মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে তাকে আশ্রয় দাও যাতে সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়; তারপর তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও। এটা এজন্য করতে হবে যে, এরা এমন এক সম্প্রদায় যারা (ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে) অজ্ঞ।"
(আল-কোরআন, ৯:৬)
.
.
"....অবশ্য (পার্থিব) প্রয়োজন ও সুবিধার দাবীতে তাদের সাথে সন্ধি ও চুক্তি হতে পারে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনও। অনুরূপ যে কাফের মুসলিমদের সাথে শত্রুতা রাখে না, তার সাথে উত্তম ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার করা বৈধ। কারণ, এ সব কার্যকলাপ (বন্ধুত্ব ও ভালবাসা থেকে) ভিন্ন জিনিস।"
.
(তাফসিরে আহসানুল বয়ান, আল-কোরআন ৩:২৮ এর তাফসির হতে বিবৃত)
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment