তার কারণ মানুষের সীমার মধ্যে কিছু স্বাধীনতা রয়েছে।
প্রথম কথা হল, আল্লাহ তাআলা সকল কিছু জানেন কী হবে না হবে। কিন্তু জানা আর জোর প্রয়োগ করা এক বিষয় নয়।
এখানে কিছু বিষয়ে আল্লাহ জোর প্রয়োগ করবেন আর কিছু বিষয়ে আল্লাহ স্বাধীনতা দেবেন। যেমন ধরুন, আপনার ব্রেনের মধ্যে যে ঘিলু আছে, তার মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলবে। এই নিয়মকে নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ আর এই নিয়মের ওপর জোর প্রয়োগ করেছেন আল্লাহ। কিন্তু আপনি এখানে চাইলে বাইরে থেকে আঘাত করে নিজের মাথা ভেঙে ফেলতে পারেন। সেখানে এই ভাঙার সময়ও ভাঙার ক্ষেত্রে বস্তুর মধ্যে আরেকটি নিয়ম কাজ করবে যে নিয়মে সেটি ভাঙবে। সেই নিয়মটাও আপনি নির্ধারণ করেন নি আর তার ওপরও আপনার হাত নেই। আপনার স্বাধীনতা শুধু ওইটুকুই যে, আপনি নিজের মাথায় একখানা আঘাত করতে পারেন। আর এই সীমিত স্বাধীন ইচ্ছার ওপর আপনার বিচার হবে। আপনার ব্রেনের রাসায়নিক বিক্রিয়া কোন নিয়মে চলছে, সেটার জন্য আপনার কোনো দায়ভার নেই।
আবার ধরুন, আপনি যিনা (ব্যভিচার বা adultery)-তে লিপ্ত হয়েছেন। এখন যিনাতে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে শরীরের ভিতর যে হরমোন নিঃসরণ হচ্ছে, যেভাবে রক্তচাপের পরিবর্তন হচ্ছে, সেই নিয়ম আপনি ঠিক করেন নি। আর সেই নিয়মকে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেনও না। তাই সেই নিয়ম কীভাবে চলবে তার জন্য আপনাকে দায়ী করা হবে না। কিন্তু আপনার স্বাধীনতার এতটুকু যে, আপনি নিজের ইচ্ছাতেই যিনাতে লিপ্ত হয়ে শরীরের মধ্যকার সেই নিয়মের অধীনে গেছেন। এখানে তাই আপনার এই স্বাধীনতার ওপর বিচার করা হবে যার ওপর আপনাকে সীমিত পরিমাণ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয়েছে।
مَنۡ کَفَرَ فَعَلَیۡہِ کُفۡرُہٗ ۚ وَ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِاَنۡفُسِہِمۡ یَمۡہَدُوۡنَ ﴿ۙ۴۴﴾
"যে কুফুরী করে সেই তার কুফুরীর শাস্তি ভোগ করবে, আর যারা সৎকর্ম করে তারা নিজেদেরই সুখ সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে।" (আল-কোরআন ৩০:৪৪)
.
----------------------------------------
- আহমাদ আল-উবায়দুল্লাহ
.
.
আরও পড়ুন:
ভাগ্য নিয়ে সকল বিভ্রান্তির সংক্ষিপ্ত জবাব
Comments
Post a Comment