আচ্ছা ভাই একটা সোজাসাপ্টা প্রশ্ন - ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে কার তরিকা সবচেয়ে আগে দেখা জরুরি? চলুন এর উত্তর কোরআন থেকেই দেখি।
.
আল্লাহ বলেন,
.
لَقَدْ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُوا۟ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا۟ مِن قَبْلُ لَفِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ
.
"নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে রাসূল প্রেরণ করেছেন, যে তাদের নিকট তাঁর নিদর্শনাবলী পাঠ করে ও তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত (সুন্নাহ) শিক্ষা দান করে এবং নিশ্চয়ই তারা এর পূর্বে প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।"
(আল-কোরআন, ৩:১৬৪)
.
.
وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
"আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার করো যেন তোমরা করুণা প্রাপ্ত হও।"
(আল-কোরআন, ৩:১৩২)
.
.
وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدْخِلْهُ نَارًا خَٰلِدًا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٌ مُّهِينٌ
.
"আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নাফরমানী করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন, সে তাতে চিরবাসী হবে এবং সে অবমাননাকর শাস্তি ভোগ করবে।"
(আল-কোরআন, ৪:১৪)
.
.
অর্থাৎ ইসলামে তরিকা হবে একমাত্র মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা ও তাঁর নির্দেশিত পথ যার অনুসরণ করার হুকুম আল্লাহ তাআলাই আমাদের দিচ্ছেন।
.
তাহলে এবার এবার চলুন একখানা হাদিস একটু ভালভাবে দেখি।
.
"আবূ কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সোমবার দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,
.
**“ওটি এমন একটি দিন, যেদিন আমার জন্ম হয়েছে,**
.
যেদিন আমি (নবীরূপে) প্রেরিত হয়েছি অথবা ঐ দিনে আমার প্রতি (সর্বপ্রথম) ‘অহী’ অবতীর্ণ করা হয়েছে।”"
.
[রিয়াযুস স্বা-লিহীন/হাদিস নম্বরঃ ১২৬৩;
সহিহ মুসলিম ১১৬২;
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=26170]
.
.
এখানে এই হাদিসে যদি একটি বিষয় লক্ষ্য করা হয়, তবে দেখা যাবে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবারের কথা বলেছেন, কিন্তু তিনি কি কোনো তারিখের উল্লেখ করেছেন? উত্তর হল না। তাহলে সোমবার বললে আমরা কি কেবল একটি নির্দিষ্ট তারিখের সোমবার বুঝব? এরও উত্তর না। তাহলে সোমবার বললে কী বুঝব? উত্তর হল প্রতি সপ্তাহেই যখন একবার করে সোমবার আসে, সেই সোমবারকে বুঝব। অর্থাৎ এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মতারিখ এর কথা বলছেন না, বরং তার জন্মবার এর কথা বলছেন। অর্থাৎ যদি জন্মদিন এর কথা বলা হয়, তবে দিনটি পালন এর প্রসঙ্গ এলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা অনুযায়ী চললে জন্মতারিখ নয়, বরং জন্মবার অনুসারে হিসাব করতে হবে।
.
এবার তাহলে যদি এই জন্মবার অনুযায়ী হিসাব করে এই দিনের ওপর আমল করা হয়, তাহলে সেই আমল কীভাবে করতে হবে? এখানেও আমরা চলুন আরেকটি হাদিস দেখি।
.
"মূসা ইবন ইসমাঈল .......... উসামা ইবন যায়দের আযাদকৃত গোলাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি উসামার সাথে কুবা নামক উপত্যকায় তাঁর মালের জন্য গমন করেন। তিনি (উসামা) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখেন। তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বলে, আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার কেন রোযা রাখেন অথচ আপনি একজন অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি।
.
তিনি বলেন, **নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।**
.
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ **মানুষের আমলসমূহ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ সমীপে পেশ করা হয়।"**
.
[সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (كتاب الصوم )
হাদিস নম্বরঃ ২৪২৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=34536]
.
.
অর্থাৎ বলা যায় যে, সোমবার যদি জন্মবার হিসেবে কেউ পালন করতে চায়, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা অনুযায়ী চলতে হলে তাকে রোযা বা সওম রাখার মাধ্যমে তা পালন করতে হবে, অন্য কোনো পদ্ধতিতে তা পালন করলে সেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা হবে না।
.
তবে এই হাদিসটিতে দেখুন আরও বলা হচ্ছে যে //মানুষের আমলসমূহ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ সমীপে পেশ করা হয়।//
.
তাহলে ব্যাপারটাকে পরিষ্কার করতে চলুন আরও একখানা হাদিস দেখি।
.
"আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
.
**প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তা'আলার দরবারে) আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেন রোযা পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়।"**
.
[সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
অধ্যায়ঃ ৬/ রোযা (সাওম) (كتاب الصوم عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=39676]
.
.
অর্থাৎ সোমবার যদি সওম পালন করা হয়, তবে এটার আসল তাৎপর্য হল, এই দিন আল্লাহ তাআলার দরবারে বান্দার আমল পেশ করা হয় - তাই সওম এই কারণেই পালন করতে হবে; এজন্য নয় যে, এই দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কারণ আমরা এটাও দেখতে পাচ্ছি যে, শুধু সোমবার নয়, বরং বৃহস্পতিবারও সওম পালনের কথা এসেছে। আর যেহেতু বৃহস্পতিবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মবার নয় অথচ এই দিনটিকেও তিনি সোমবারের মতই সমান গুরুত্ব দিয়েছেন, সেহেতু আমরা বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মগ্রহণ নয়, বরং সোমবার এর সওম পালনের তাৎপর্য বৃহস্পতিবার এরই মত যে, এই দুই দিন বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।
.
এবার আরেকটি হাদিস দেখি চলুন যেটা এই ব্যাপারটিকে আরও একটু বুঝতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
.
"কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
.
**প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে না।**
.
**তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শক্রতা বিদ্যমান।**
.
এরপর বলা হবে, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য অবকাশ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও।"
.
[সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৪৬। সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার (كتاب البر والصلة والآداب)
হাদিস নম্বরঃ ৬৪৩৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=53537]
.
অর্থাৎ এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপনকারী এবং নিজ ভাইয়ের সঙ্গে শক্রতা পোষণকারী ব্যক্তি ব্যতীত অন্য মুসলিমদের আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করে দেন।
.
এর অর্থ হল, সোমবারে সওম বা রোযা রাখার ফজিলত আসলে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এইদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন এজন্য নয়।
.
তাহলে এখন আমরা কয়েকটি বিষয় এগুলো থেকে সারাংশ আকারে বলতে পারি -
.
১) ইসলামে সঠিক তরিকা হবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা;
২) সেই তরিকা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তিনি তার জন্মদিন পালনের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ এর উল্লেখ করেন নি, বরং জন্মবার এর উল্লেখ করেছেন;
৩) জন্মবার পালনের ক্ষেত্রে তিনি কেবল রোযা রেখেছেন এবং এর চেয়ে বেশি কিছু করেন নি;
৪) তিনি রোযা বা সওম পালন করেছেন কারণ এদিন বান্দার আমল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয় এবং অধিকাংশ মুসলিমকে ক্ষমা করা হয়;
৫) এটা থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার সওম পালন করেছেন তাঁর জন্মদিন পালনের জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও গুনাহ মার্জনার নিদর্শন হিসেবে যেমনটা বৃহস্পতিবারও তিনি করেছেন।
৬) অর্থাৎ বলা যায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রকৃতপক্ষে তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর জন্মদিন পালনের কোনো পদ্ধতি বা তরিকা আমাদের শেখান নি, বরং তিনি শিখিয়েছেন সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন করতে।
.
এখন যদি কেউ বছরের একটি নির্দিষ্ট তারিখকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন বলে দাবি করে আর সেই দিনকে উদযাপন করে, তবে এখানে উদযাপনটি মুখ্য নয়, মুখ্য হল তার আমল। এখানে তরিকা যদি হয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরিকা, তবে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, মাওলিদ বা মিলাদুন্নাবী পালন এর ক্ষেত্রে আমল হল জন্মতারিখকে বেছে নেওয়া, প্রতি সপ্তাহের জন্মবার নয়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু এর তরিকার বিরুদ্ধে যায়।
.
দ্বিতীয়ত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্মদিনে কেবলই সওম পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন; কিন্তু কেউ যদি এর সাথে আরও কিছু আমল যোগ করে যেমন অতিরিক্ত দুআর জন্য অনুষ্ঠান করা, বা কোনো কিছু বাদ দেয়, যেমন রোযা বা সওম বাদ দিয়ে বিশেষ বিশেষ খাবার বানিয়ে সেই অনুষ্ঠান পালন করা, তবে এটাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকার বিরুদ্ধে যাবে।
.
তৃতীয়ত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার উৎযাপন করেছেন ঠিক সেই নিয়তেই, যে নিয়তে তিনি বৃহস্পতিবার পালন করেছেন, অর্থাৎ তিনি তাঁর জন্মবারে সওম পালন করেছেন তাঁর জন্মদিন হিসেবে নয়, বরং সেই দিন আল্লাহর সমীপে বান্দার আমল পেশ হয়, জান্নাতের দরজা খোলা হয়, বান্দাকে ক্ষমা করা হয়, এজন্য। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন পালনের নিয়তে কোনো আমল করলে সেটিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকার বিরুদ্ধে যাবে।
.
চতুর্থত, যেহেতু নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মদিন পালনের তরিকা শেখান নি, তাই বলা যায় যে, সাহাবাগণ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীগণও অর্থাৎ সালফে-সালেহীনও এই জন্মদিনটি পালন করাকে দ্বীনের অংশ মনে করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর তরিকাকে বুঝতে না পারলে আমাদের সালফে সালেহীন এর তরিকা দেখতে হবে, আর সালফে সালেহীন এর নিয়তে ও আমলে মিলাদুন্নাবী উৎযাপন দ্বীন এর অংশ বলে বিবেচিত হয়নি। সুতরাং বলা যায় যে, মিলাদুন্নাবী উৎযাপনকে যদি দ্বীন এর অংশ বলে মনে করা হয়, তবে এটি ইসলামে একটি নতুন আবিষ্কার বা নব-উদ্ভাবন। আর আল্লাহ বলেন,
.
"...আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দীন হিসাবে মনোনীত করলাম..." (আল-কোরআন, ৫:৩)
.
অর্থাৎ ইসলামিক তরিকায় যদি নতুন কিছু যোগ করা হয় বা নব-উদ্ভাবন ঘটানো হয়, তবে সেটি উক্ত আয়াতের বিরুদ্ধে যাবে, কেননা আল্লাহ তাআলার ঘোষণা অনুযায়ী ইসলাম পূর্ণাঙ্গ এবং একারণে মিলাদুন্নাবী দ্বীন এর অংশ হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত হতে পারে না।
.
একারণে যদি কেউ নতুনভাবে একে দ্বীন এর অংশ বলে মনে করে এবং তার ওপর আমল করে তবে তার ওপর হাদিসের এই বাণী প্রযোজ্য হবে -
.
"ইরবায বিন সারিয়াহ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে আমার পরে জীবিত থাকবে, সে বহু মতভেদ দেখতে পাবে। অতএব তোমরা আমার সুন্নাহ (পথ ও আদর্শ) এবং আমার পরবর্তী সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অবলম্বন করো। তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করো, দাঁতে কামড়ে ধরো।
.
**আর দ্বীনে নবরচিত কর্ম থেকে সাবধান থেকো। কারণ প্রত্যেক নবরচিত (দ্বীনী) কর্মই হল ‘বিদআত’। আর প্রত্যেক বিদআতই হল ভ্রষ্টতা।’’"**
.
[আহমাদ ১৭১৪৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৮১৫ , ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫;
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=65286]
.
আল্লাহই ভাল জানেন।
===================
#আহমেদ_আলি
Comments
Post a Comment