রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর সাল্লাম এর সিরাত থেকে দেখুন, সাহাবাগণ যখন আবিসিনিয়ার রাজার কাছে গেল, তখন রাজার সভাসদরা সবাই নত হয়েছিল। কিন্তু সাহাবাগণ নত হননি, বরং স্পষ্ট বলেছিলেন যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও নিকট নত হই না।
.
আমি সিরাত থেকে quote করছি।
.
"...When Ja’far steps forward, he did not bow down like the Qurayshi envoy. However, he thanked the Negus respectfully.
.
**Immediately, Amr ibn Aas and Ammarah speak up and comment that he did not bow down.**
.
**The Negus calls Ja’far forward and asks why he did not bow down like his relations.**
.
**Ja’far says that we [the Muslims] do not bow down in front of anyone except Allah.**
.
When asked about Allah, Ja’far reports that Allah sent a Messenger to us, who said that **we should not bow down to anyone, except for Allah.**
.
He commanded them to pray and give charity. He is the same Prophet that Isa (AS) foretold of his coming. The Prophet (sallallahu alayhi wasallam) commanded to pray to Allah alone and not to associate partners, to establish prayer, to pay Zakat, do good things (e.g. be good to family, take care of orphans) and stay away from bad things (e.g. stealing, cursing and fornication). The Negus was very impressed by these words and responds that he did not see anything wrong with what they believed in: it was exactly what Isa (AS) asked him to do as well."[১]
.
আমাদের বিদআতী ভাইয়েরা যখন নানান রকমের সিজদার প্রকারভেদ নিজেরা বের করে মাজারে সিজদা, কবরে সিজদা, পীরকে সিজদাকে হালাল বলে চালিয়ে দেয়, আর এগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কোনো হাদিস দেখালেই সেগুলো বানোয়াট হাদিস বলে "ওয়াহাবী" সম্বোধনে অনেক রকম গালিগালাজ করে, তারা কি তখন নবীজীর সিরাতের ওই অংশটুকু ভুলে যায়, যেখানে সাহাবারা নিজেরাই আবিসিনিয়ার রাজার সামনে ঘোষণা করেছিল যে, তাঁরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে নত হয় না? হাদিস না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু হাদিস বাদ দিলেও তাহলে তারা কেমনতর আহলে সুন্নাত আল জামাআত এর অনুসারী যারা সাহাবাদেরই ঠিকমত অনুসরণ করে না???
.
"আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন একসময় জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কোন ব্যক্তি তার ভাই কিংবা বন্ধুর সাথে দেখা করলে সে কি তার সামনে ঝুঁকে (নত) যাবে? তিনি বললেনঃ না। সে আবার প্রশ্ন করল, তাহলে কি সে গলাগলি করে তাকে চুমু খাবে? তিনি বললেনঃ না। সে এবার বলল, তাহলে সে তার হাত ধরে মুসাফাহা (করমর্দন) করবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।"[২]
.
.
"কায়স ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (ইরাকে অবস্থিত, কূফার সন্নিকটবর্তী) ‘হীরা’ শহরে গিয়ে দেখতে পেলাম যে, তারা তাদের নেতাকে সম্মানার্থে সিজদা করছে। এটা দেখে আমি মনে মনে বললাম, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সিজদা পাওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম, আমি হীরা’র সফরে দেখতে পেলাম যে, সেখানকার অধিবাসীরা তাদের নেতাকে সিজদা করে। আমি স্থির করেছি যে, আপনিই সাজদার অধিক হকদার। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, (তবে কি আমার মৃত্যুর পরে) তুমি আমার কবরের সম্মুখ দিয়ে গমনকালে কবরকে সিজদা করবে? উত্তরে আমি বললাম, (নিশ্চয়) না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, (কস্মিনকালেও) করো না। কেননা আমি যদি (আল্লাহ ব্যতিরেকে) অপর কাউকে সিজদা করতে বলতাম তবে স্বামীদের জন্য রমণীদেরকে সিজদা করার নির্দেশ করতাম।"[৩]
.
.
"‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সেই রোগাবস্থায় যাত্থেকে তিনি আর সেরে উঠেননি- বলেন, ইয়াহূদীদের প্রতি আল্লাহ লা’নত করেছেন। তারা তাদের নাবীদের (নবীদের) কবরগুলোকে সাজদাহর জায়গা করে নিয়েছে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) মন্তব্য করেন, তা না হলে তবে তাঁর কবরকেও সাজদাহর জায়গা বানানোর আশঙ্কা ছিল।"[৪]
.
.
"আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) আমাকে বলেছেন, ‘‘আমি কি তোমাকে এমন একটি কাজের জন্য পাঠাব না, যে কাজের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হলো যখন তোমার চোখে কোন মূর্তি পড়বে তা একেবারে নিশ্চিহ্ন না করে ছাড়বে না। আর উঁচু কোন কবর দেখলে তা সমতল না করে রাখবে না।’’[৫]
.
.
________________________
তথ্যসূত্র:
[১] Seerah – Life of the Prophet: al-Najashi: King of Abyssinia]
Source - http://www.qalaminstitute.org/2013/05/seerah-life-of-the-prophet-al-najashi-king-of-abyssinia/#.W8-VtSDhWrE
[২] সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
অধ্যায়ঃ ৪০/ অনুমতি প্রার্থনা (كتاب الاستئذان والآداب عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ২৭২৮
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=41315
[৩] মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৩ঃ বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৩২৬৬;
আবূ দাঊদ ২১৪০, দারিমী ১৫০৪, মুসতাদরাক লিল হাকিম ২৭৬৩।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=68593
[৪] সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى)
হাদিস নম্বরঃ ৪৪৪১
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=28917
[৫] মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-৫ঃ জানাযা (كتاب الجنائز)
হাদিস নম্বরঃ ১৬৯৬;
মুসলিম ৯৬৯, আহমাদ ৭৪১, ইরওয়া ৭৫৯, সহীহ আত্ তারগীব ৩০৫৭, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭২৬৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=56256
=======================
- আহমেদ আলি
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment