ব্লাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর এর কথা আমরা প্রায়ই হয়ত শুনে থাকি। আধুনিক বিজ্ঞান এর অস্তিত্ব প্রমাণ করেছে মাত্র কিছুদিন আগে। ব্লাক হোল জিনিসটা আসলে কী? Black Hole নামের মধ্যে Black থাকলেও এটা যে কালো হতে হবে, এর কোনো মানে নেই।
.
মূল ব্যাপারটি হল, "কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও (যেমন: আলো) নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম তৎকালীন মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণ বিবরের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়....
.
..ব্লাকহোল শব্দের অর্থ কালো গহ্বর। একে এই নামকরণ করার পেছনে কারণ হল এটি এর নিজের দিকে আসা সকল আলোক রশ্মিকে শুষে নেয়।
.
...এখন পর্যন্ত ব্লাকহোলের কোন প্রত্যক্ষ দর্শন পাওয়া যায়নি কারণ এ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতে পারে না যেকারণে একে দেখা সম্ভব নয়, কিন্তু এর উপস্থিতির প্রমাণ আমরা পরোক্ষভাবে পাই।
.
....স্বাভাবিকভাবে কোনো একটি নক্ষত্র চুপসে গেলে ব্লাক হোলে পরিণত হয়। তবে নক্ষত্রগুলোর ভর হয় অনেক।
.
...যখন নক্ষত্রের বাইরের তাপমাত্রার চাপে ভেতরের মধ্যাকর্ষন বাড়তে থাকে, তখন সেই বলের কারণে নক্ষত্র চুপসে যেতে শুরু করে। সব ভর একটি বিন্দুতে পতিত হতে শুরু করে। এটি ধীরে ধীরে ছোট এবং অধিক ঘনত্বে আসতে শুরু করে এবং এক সময় সমস্ত ভর একটি ছোট্ট বিন্দুতে ভিড় করে যার নাম সিঙ্গুলারিটি। সব চুপসে পড়া নক্ষত্রই কিন্তু ব্লাক হোলে পরিণত হয় না। ব্লাক হোল হবে কিনা তা নির্ভর করে তার ভরের উপর..." [উৎস - https://bn.wikipedia.org/wiki/কৃষ্ণ_বিবর]
.
.
.
এখন এই বিষয়গুলো থেকে ব্লাক হোলের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য পয়েন্ট আকারে বললে ব্যাপারটি এমন দাঁড়াবে:
.
১) ব্লাক সাধারণত নক্ষত্রের অন্তিমকালে তৈরি হয় যখন নক্ষত্রের জীবনকাল শেষ হয়ে যায় এবং এটি ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে এর ঘনত্ব প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।
.
২) ব্লাক হোলের আকর্ষণ ক্ষমতা প্রচণ্ড শক্তিশালী হওয়ার কারণে আলোও এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না, একারণে ব্লাক হোলকে সাধারণ চোখে দেখা যায় না, বরং এটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
.
৩) ব্লাক হোলের তীব্র আকর্ষণের কারণে ভরবিশিষ্ট গ্রহ বা অন্য কোনো নক্ষত্রও এর মধ্যে পতিত হতে পারে, তখন ব্লাক হোলের মধ্যে সেই ভরের গ্রহ বা নক্ষত্রের পতনের ফলে গ্রহ বা নক্ষত্র অদৃশ্য হয়ে যায় এবং ব্লাক হোলের ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়।
.
.
আপনি হয়ত কল্পনাও করতে পারবেন না, কিন্তু এই বিষয়গুলোর ইঙ্গিত ১৪০০ বছরেরও পূর্বে মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামীন তাঁর শেষ আসমানি কিতাবে একেবারে সরাসরি নিদর্শন আকারে উল্লেখ করেছেন মুমিন বান্দাদের জন্য যাতে করে তারা তাঁদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়। আল্লাহ বলেন,
.
إِنَّ فِى ٱخْتِلَٰفِ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَمَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَّقُونَ
.
"নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে মুত্তাকী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।" (আল-কোরআন, ১০:৬)
.
.
এবার চলুন দেখার চেষ্টা করি, ব্লাক হোলের বিষয়ে কুরআনুল কারীমে কী বলা হয়েছে!
.
প্রথমেই আমরা দেখব সূরা তারিকের প্রথম তিনটি আয়াত যেখানে আল্লাহ তাআলা বলছেন,
.
وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلطَّارِقُ
ٱلنَّجْمُ ٱلثَّاقِبُ
.
"শপথ আকাশের এবং রাতে যা আবির্ভূত হয় তার; তুমি কী জান রাতে যা আবির্ভূত হয় তা কি? ওটা দীপ্তিমান নক্ষত্র!" (আল-কোরআন, সূরা আত-তারিক, ৮৬:১-৩; অনুবাদ: মুজিবুর রহমান)
.
ব্যাপারটিকে একটু ভালভাবে বুঝতে চলুন তাফসিরটা একবার দেখে নিই।
.
তাফসির আবু বকর যাকারিয়াতে উল্লেখ করা হচ্ছে,
.
"প্রথম শপথে আকাশের সাথে والطارق শব্দ যোগ করা হয়েছে। এর অর্থ রাত্রিতে আগমনকারী। নক্ষত্র দিনের বেলায় লুক্কায়িত থাকে এবং রাতে প্রকাশ পায়, এজন্যে নক্ষত্রকে والطارق বলা হয়েছে। [ইবন কাসীর]
.
কুরআন এ সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে নিজেই জওয়াব দিয়েছে النَّجْمُ الثَّا قِبُ অর্থাৎ উজ্জ্বল নক্ষত্র। আয়াতে কোন নক্ষত্ৰকে নির্দিষ্ট করা হয়নি। তাই যে কোন উজ্জল নক্ষত্ৰকে বোঝানো যায়। [সা‘দী]
.
কোন কোন তাফসীরবিদ এর অর্থ নিয়েছেন বিশেষ করে নক্ষত্র ‘সুরাইয়া’; যা সপ্তর্ষিমণ্ডলস্থ একটি নক্ষত্র কিংবা ‘শনি গ্ৰহ’। আরবী ভাষায় সুরাইয়া ও শনি গ্ৰহ উভয়কেই نجم বলা হয়ে থাকে। [ফাতহুল কাদীর]
.
ইবনুল কাইয়েম বলেন, যদি উজ্জল নক্ষত্রের উদাহরণ হিসেবে এ দু‘টি তারকাকে উল্লেখ করা হয়, তবে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এ দু‘টিকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে এমন কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। [আত-তিবইয়ান ফী আকসামিল কুরআন: ১০০]"
.
(তাফসির আবু বকর যাকারিয়া/আল-কোরআন ৮৬:৩ আয়াতের তাফসির হতে বিবৃত)
.
.
উক্ত তাফসির থেকে বোঝা যায় যে, এই তিনটি আয়াতে যে নক্ষত্রের কথা বলা হয়েছে সেটি রাতের আকাশে পৃথিবী থেকে দেখতে পাওয়া নক্ষত্রও যেমন হতে পারে, তেমনি অন্য অর্থেও কোনো নক্ষত্র হতে পারে।
.
তাহলে এবার যদি আমরা অন্য অর্থ বিবেচনা করি, তাহলে দেখুন, ১নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলছেন, "শপথ আকাশের এবং রাতে যা আবির্ভূত হয় তার"।
এখন "রাত" এর অনুভূতি আমাদের কীভাবে আসে?? যখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসে না, তখন সেই অবস্থার অনুভূতিকে আমরা রাত হিসেবে চিহ্নিত করি।
.
এই বিষয়টি থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পারি যে, সূর্য যেহেতু একটি নক্ষত্র, তাই কোনো নক্ষত্রের আলোই যদি মহাবিশ্বের কোনো গ্রহে বা স্থানে না পৌঁছায়, অথবা আরও সহজ করে বললে, যদি আপনি মহাবিশ্বের এমন একটি স্থানে অবস্থান করেন, যেখানে আপনি কোনো আলোর অনুভূতিই না পান, তবে সেই অবস্থাকে আপনি "রাত" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন।
.
এখন এই অন্ধকারচ্ছন্ন অনুভূতির মাঝে ৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, এক ধরনের দীপ্তিমান বা উজ্জ্বল নক্ষত্র সেই অবস্থায় আবির্ভূত হচ্ছে বা আগমন করছে।
.
এখন এই অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশে যে নক্ষত্রের আগমন ঘটছে, সেটি কী রকম, এটা বুঝতে হলে আমাদের দুটি অন্য আয়াতের দিকে নজর দিতে হবে।
.
মহান আল্লাহ ঘোষণা করছেন,
.
فَلَآ أُقْسِمُ بِٱلْخُنَّسِ
ٱلْجَوَارِ ٱلْكُنَّسِ
.
"আমি শপথ করছি নক্ষত্রগুলোর, যা পেছনে সরে যায়; তারকাদের, যা চলমান ও অদৃশ্য হয়;" (আল-কোরআন, ৮১:১৫-১৬; অনুবাদ: ফজলুর রহমান)
.
এখন ১৫নং আয়াতে بِٱلْخُنَّسِ শব্দের অর্থ বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে "নক্ষত্রগুলো যা পেছনে সরে যায়"; কেউ কেউ এখান থেকে "গ্রহ যা পেছনে সরে যায়" এমন অর্থও করেছেন। তবে কোরআনের আয়াতের অর্থ একটি গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তাই যদি আমরা নক্ষত্র হিসেবে অনুবাদ দেখি তবে আল-কোরআন, ৮১:১৫ আয়াতের আরেকটি অনুবাদ - "সহিহ আন্তর্জাতিক" ইংরেজি অনুবাদে এই আয়াতের অর্থ করা হয়েছে, "So I swear by the retreating stars";[১] অর্থাৎ এখানে بِٱلْخُنَّسِ শব্দের অর্থ "retreating stars" করা হয়েছে যার অর্থ করা যায় "অপসৃত হয়ে যাওয়া নক্ষত্র"। অর্থাৎ এখানে ১৫নং আয়াতে بِٱلْخُنَّسِ শব্দের অর্থ হিসেবে "পশ্চাদে সরে যাওয়া নক্ষত্র", "অপসৃত হয়ে যাওয়া নক্ষত্র" ইত্যাদি অর্থ করা যেতে পারে। আর এগুলো আসলে কী বোঝাচ্ছে সেটা আমরা আরেকটু জানতে পারছি ১৬ নং আয়াত থেকে যেখানে আল্লাহ তাআলা বলছেন, "তারকাদের, যা চলমান ও অদৃশ্য হয়"। অর্থাৎ এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, এমন কিছু নক্ষত্রের কথা বলা হচ্ছে যারা নিজদের অবস্থান থেকে অপসৃত হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তা গতিশীল হয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
.
একটু আগেই সূরা আত-তারিকে আমরা দেখেছিলাম যে, এমনতর কিছু নক্ষত্র আছে যারা অন্ধকারচ্ছন্ন অবস্থায় আবির্ভূত হচ্ছে।
.
এখন এই দুটি বিষয়কে যদি আমরা জুড়ে দিই, তাহলে পাব যে, এমন কিছু নক্ষত্র আছে যারা উজ্জ্বল নক্ষত্র; কিন্তু তারা অন্ধকারচ্ছন্ন কোনো এক অবস্থায় গমন করছে এবং গতিশীল বা চলমান হয়ে পরবর্তীতে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
.
.
এবার ভালভাবে আরেকবার মনে করে দেখুন! ব্লাক হোলের পয়েন্টগুলোতে আমরা বলেছিলাম যে, ব্লাক হোলের আকর্ষণ এত বেশি যে, তা থেকে আলোও বের হতে পারে না। ফলে সাধারণভাবে ব্লাক হোল আমরা দেখি না বলে তা আমাদের কাছে অদৃশ্য মনে হয়। এখানে আলো বের না হতে পারার কারণে ব্লাক হোল অন্ধকারচ্ছন্ন এবং যদি কোনো অপেক্ষাকৃত কম ভরবিশিষ্ট উজ্জ্বল নক্ষত্র সেই ব্লাক হোলের কাছে যায়, তবে ব্লাক হোল সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রকেও তার কাছে টেনে নিয়ে যায়। সেই নক্ষত্র চলমান হয়ে ব্লাক হোলে পতিত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং এতে ব্লাক হোলের ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়।
.
সুবহানাল্লাহ। এই জটিল বিষয়কে আল্লাহ তাআলা কত সুন্দরভাবে নিদর্শন আকারে কুরআনুল কারীমে মুমিন বান্দাদের জন্য ইঙ্গিত আকারে বর্ণনা করেছেন, যাতে করে তারা সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়।
.
.
যদি ভালভাবে দেখেন, তবে এই ব্যাপারটিকে আরও কয়েকটি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
.
সূরা আন-নাজ্ম এর ১নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে,
.
وَٱلنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ
.
"শপথ নক্ষত্রের, যখন ওটা হয় অস্তমিত" (আল-কোরআন, সূরা আন-নাজ্ম ৫৩:১; অনুবাদ: মুজিবুর রহমান)
.
মহসিন খান ও তাকি-উদ্দিন-আল হিলালি এর অনুবাদে এই আয়াতের ইংরেজি অনুবাদটা আমরা পাই,
"By the star when it goes down, (or vanishes)."[২]
.
অর্থাৎ এখানে এই আয়াতে هَوَىٰ শব্দের অনুবাদে //goes down, (or vanishes)// অনুবাদ করা হয়েছে যার থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, এখানে এমন নক্ষত্রের কথা বলা হচ্ছে যার আলো অস্তমিত হয়ে যায় আর এক পর্যায়ে তা অদৃশ্য হয়ে যায়।
.
আমরা দেখেছিলাম যে, ব্লাক হোল সাধারণত একটি নক্ষত্র হয় এবং এর জীবনকালের শেষে সেটি নক্ষত্র থেকে ব্লাক হোলে পরিণত হয়, যে ব্লাক হোল থেকে আর কোনো আলো বের হয়ে আসতে পারে না, ফলে তা অন্ধকারে ঢেকে যায় ও এক পর্যায়ে সাধারণ দৃষ্টিশক্তির আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যায়।
.
উক্ত আয়াত থেকে আমরা আরও একটি অর্থ পেতে পারি। আমরা বলেছিলাম যে, ব্লাক হোল থেকে সাধারণত অপেক্ষাকৃত কম ভরবিশিষ্ট কোনো নক্ষত্র ব্লাক হোলের কাছে গেলে ব্লাক হোলের আকর্ষণে তা ব্লাক হোলে পতিত হয়ে তার মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। এতে করে, উজ্জ্বল সেই নক্ষত্রটির আলোও অস্তমিত হয়ে যাচ্ছে আর ব্লাক হোলে পতিত হওয়ার কারণে নক্ষত্রটিও অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে!!
.
সুবহানাল্লাহ!! মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একই আয়াতে কীভাবে বহুমুখী নিদর্শন মুমিন বান্দাদের জন্য রেখে দিয়েছেন, তা অভাবনীয়!!
.
.
এমনকি আরও অবাক হয়ে যাবেন যে, কোরআনে সরাসরি বলা আছে ব্লাক হোলের মধ্যে নক্ষত্রের পতিত হওয়ার কথা।
.
فَلَآ أُقْسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ
.
"আমি তারকাদের পতনস্থলসমূহের (অস্তাচলসমূহের) শপথ করছি"
.
(আল-কোরআন, সূরা আল-ওয়াকিয়া ৫৬:৭৫; অনুবাদ: ফজলুর রহমান)
.
.
ইংরেজিতে মুফতি তাকি উসমানি সাহেব এই আয়াতের যথাযথ অনুবাদ করেছেন,
.
"So, I swear by the setting places of the stars"[৩]
.
এখানে بِمَوَٰقِعِ শব্দের অর্থ হিসেবে "নক্ষত্রসমূহের অস্তমিত হওয়ার স্থান" বা "নক্ষত্রসমূহের পতনস্থল" এর কথা জানা যায়, যা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, আল্লাহ তাআলা উজ্জ্বল নক্ষত্রসমূহকে ব্লাক হোলের মধ্যে পতিত করে তার উজ্জ্বলতা ছিনিয়ে নিতে পারেন এবং তাকে অদৃশ্যও করে দিতে পারেন। সূরা আল-ওয়াকিয়া এর ৭৫ নং আয়াতে এই সত্যের শপথ করার পর পরই মহান আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতগুলোতে অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে বলছেন,
.
وَإِنَّهُۥ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
إِنَّهُۥ لَقُرْءَانٌ كَرِيمٌ
فِى كِتَٰبٍ مَّكْنُونٍ
لَّا يَمَسُّهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُطَهَّرُونَ
تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
أَفَبِهَٰذَا ٱلْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ
وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
.
"অবশ্যই এটা এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে।নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে(অর্থাৎ, 'লওহে মাহফূয'এ)। পূত-পবিত্র(ফিরিশতা)গণ ব্যতীত অন্য কেউ (অর্থাৎ শয়তানরা) তা স্পর্শ করে না।
এটা বিশ্ব-জাহানের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।
তবুও কি তোমরা এই বাণীকে তুচ্ছজ্ঞান করবে এবং তোমরা মিথ্যাজ্ঞানকেই তোমাদের উপজীব্য করে নেবে?"
(আল-ওয়াকিয়া ৫৬:৭৬-৮২)
.
.
আমি আমার লেখা শেষ করব আল-কোরআন এর একটি আয়াত দিয়ে যেখানে আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা করছেন,
.
سَنُرِيهِمْ ءَايَٰتِنَا فِى ٱلْءَافَاقِ وَفِىٓ أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ ٱلْحَقُّۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ
.
"আমি শীঘ্র তাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্বজগতে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে। ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে ওটাই সত্য। এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সর্ব বিষয়ে অবহিত?"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৪১:৫৩)
.
.
.
____________________
তথ্যসূত্র:
[১] Al-Quran, 81:15; Sahih International translation; source - https://quran.com/81/15
[২] Al-Quran, 53:1; Mohsin Khan/Taqi-ud-Din al-Hilali translation; source - https://dar-us-salam.com/TheNobleQuran/
[৩] https://quran.com/56/75?translations=101,85,84,20,19,17,22,21,18,95
.
অথবা,
http://anyflip.com/kdca/eutz/basic/451-500
=====================
#Ahmed_Ali
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . āĻŽাāύāĻšাāĻ āĻ
āϰ্āĻĨ āĻĒāĻĨ (path) āĻ
āĻĨāĻŦা āĻĒāĻĻ্āϧāϤিāĻāϤ āĻŦা āύিā§āĻŽāĻāϤ āĻŦা āĻĒ্āϰāĻŖাāϞিāĻāϤ āĻŦিāĻĻ্āϝা (Methodology)। āĻŽাāύāĻšাāĻ āĻŦāϞāϞে āϤাāĻ āϤাāĻে āĻĻুāĻ āĻাāĻŦে āĻাāĻŦা āĻšā§ - ā§§) āϏāĻšিāĻš āĻŽাāύāĻšাāĻ, ⧍) āĻ্āϰাāύ্āϤ āĻŦা āĻŦাāϤিāϞ āĻŽাāύāĻšাāĻ। . āϏāĻšিāĻš āĻŽাāύāĻšা...
Comments
Post a Comment