đ āĻ্āϰিāϏ্āĻাāύ āϤāϤ্āϤ্āĻŦ āĻŦāύাāĻŽ āĻāϏāϞাāĻŽিāĻ āϤাāĻāĻšীāĻĻ - āύিāĻেāĻ āϝাāĻাāĻ āĻāϰুāύ
বাইবেলে একেবারে সুস্পষ্টভাবে পৃথিবীতে ইসলামের আগমনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও এই মিথ্যাবাদী অন্ধ খ্রিস্টান মিশনারিদের চোখে কিছুই পড়ে না!!
.
বাইবেলের কেরী ভার্সনের বাংলা অনুবাদের সফনিয় (Zephaniah) গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ের নবম শ্লোকে বলা হচ্ছে,
.
"আর তৎকালে আমি জাতিগণকে বিশুদ্ধ ওষ্ঠ দিব, যেন তাহারা সকলেই সদাপ্রভুর নামে ডাকে ও একযোগে তাঁহার আরাধনা করে।"[১]
.
এটার কাছাকাছি ইংরেজি অনুবাদ আমরা Kings James Version এর ইংরেজি অনুবাদে পেতে পারি যে ইংরেজি অনুবাদে বলা হচ্ছে,
.
"For then will I turn to the people a pure language, that they may all call upon the name of the LORD, to serve him with one consent."[২]
.
এখানে বাংলা অনুবাদে দেখুন বলা হচ্ছে //আমি জাতিগণকে বিশুদ্ধ ওষ্ঠ দিব// যার ইংরেজি অনুবাদ করেছে //I turn to the people a pure language//.
.
এখানে এই শ্লোকের মূল হিব্রুতে בְרוּרָ֑ה (ḇə-rū-rāh) শব্দের ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে "pure" অর্থাৎ "বিশুদ্ধ" এবং שָׂפָ֣ה (śā-p̄āh) শব্দের অনুবাদ করা হয়েছে "a language" অর্থাৎ "একটি ভাষা"।[৩]
.
কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, বাংলা বাইবেলে ইচ্ছাকৃতভাবেই "বিশুদ্ধ একটি ভাষা" অনুবাদ না করে "বিশুদ্ধ ওষ্ঠ" অনুবাদ করা হয়েছে, যেটা কিছু কিছু ইংরেজি অনুবাদের বেলাতেও দেখা যায় যেখানে "pure language" না ব্যবহার করে, "pure speech", "purified lips" ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে করে মানুষ সত্যটা জানতে না পারে। কিন্তু সত্য তো আর চাপা রাখা যাবে না। যতই চেষ্টা করো না কেন মিথ্যাবাদীর দলেরা, সত্য আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকাশ হবেই ইনশাআল্লাহ।
.
এখন ইংরেজি Kings James Version এর অনুবাদে সঠিকভাবে "a pure language" ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো থেকে যে বিষয়টি আমরা পাচ্ছি সেটা হল, ঈশ্বর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষদেরকে একটি বিশুদ্ধ ভাষাতে রূপান্তরিত বা সেই ভাষার অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন যাতে করে তারা পৃথিবীতে ভিন্ন ভাষাভাষীর হওয়া সত্ত্বেও সেই একটি বিশুদ্ধ ভাষাতেই সকলে মিলে এক সত্য সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করে।
.
ERV (Easy-to-read Version) এর বাইবেলে আরেকটি বিষয় যোগ করা হয়েছে যে, এই একই ভাষায় উপাসনাকারীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপাসনা করবে।
.
"Then I will change people from other nations so that they can speak the language clearly and call out the name of the LORD. They will all worship me together, **shoulder to shoulder, as one people."**[৪]
.
এর কাছাকাছি বাংলা অনুবাদ বাইবেলের অন্য একটি বাংলা অনুবাদে (BENIRV) পাওয়া যায় যেখানে বলা হচ্ছে,
.
"কিন্তু তারপর আমি লোকেদের ঠোঁট শুচি করব, সদাপ্রভুর নামে তাদের ডাকবো **যাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে** আমার সেবা করতে পারে৷"[৫]
.
.
তাহলে এবার খেয়াল করুন, পৃথিবীতে কারা বিভিন্ন ভাষাভাষীর হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর সকল প্রান্তে একই ভাষাতেই এক সত্য সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করে? কারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সত্য সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে?
.
সেটা আর কোনো জাতি নয়, একমাত্র মুসলিম জাতিই, যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায়, তেমনি সকল ইবাদতে একই আরবি ভাষাতেই নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট বিষয় উচ্চারণের মাধ্যমে একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকে এবং ক্রমাগত তারা ইবাদত করেই চলেছে অবিরত। আলহামদুলিল্লাহ।
.
.
যদি আরও ভালভাবে দেখা হয়, তবে বাইবেলের আদিপুস্তক (Genesis) এর অধ্যায় ১২ তে বলা হচ্ছে,
.
"প্রভু অব্রামকে (নবী ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে) বললেন, “তুমি এই দেশ, নিজের জাতিকুটুম্ব এবং পিতার পরিবার ত্যাগ করে, আমি যে দেশের পথ দেখাব সেই দেশে চল।
.
**তোমা হতে আমি এক মহাজাতি উৎপন্ন করব।**
.
তোমাকে আশীষ দেব এবং তুমি বিখ্যাত হবে। অন্যকে আশীর্বাদ জানাতে লোকে তোমার নাম নেবে।
.
**যারা তোমাকে আশীর্বাদ করবে, সেই লোকেদের আমি আশীর্বাদ করব** এবং যারা তোমাকে অভিশাপ দেবে, সেই লোকেদের আমি অভিশাপ দেব।
.
তোমার মাধ্যমে আমি পৃথিবীর সব লোকেদের আশীর্বাদ করব।”"[৬]
.
.
"Now the LORD had said unto Abram, Get thee out of thy country, and from thy kindred, and from thy father's house, unto a land that I will shew thee.
.
**And I will make of thee a great nation**, and I will bless thee, and make thy name great; and thou shalt be a blessing.
.
**And I will bless them that bless thee,** and curse him that curseth thee: and in thee shall all families of the earth be blessed."[৭]
.
.
এখানে লক্ষ্য করুন, উক্ত রেফারেন্সে এক মহাজাতির কথা বর্ণনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও বলা হচ্ছে যে, ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করবেন যারা নবী ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে আশীর্বাদ করবেন। English Version এ দেখুন শব্দটা হল "blessing" অর্থাৎ বরকত বা আশীর্বাদ।
.
এবার এই হাদিসটি দেখুন:
.
"আদম (রহঃ) ... আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমার সঙ্গে কাব ইবনু উজরাহ (রাঃ) এর সাক্ষাত হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেবো না। তা হল এইঃ একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন, তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনাকে কেমন করে সালাম দেব, আমরা আপনার উপর দরুদ কিভাবে পড়বো?
.
তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে, ইয়া আল্লাহ আপনি মুহাম্মাদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর খাস রহমত বর্ষণ করুন, **যেমন আপনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর পরিবারের উপর খাস রহমাত (mercy) বর্ষণ করেছেন।**
.
নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল। ইয়া আল্লাহ!
.
**আপনি মুহাম্মদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি ইববাহীম (আলাইহিস সালাম) এর পরিবারবর্গের উপর বরকত (blessing) নাযীল করেছেন।**
.
নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত উচ্চ মর্যাদাশীল।"[৮]
.
.
আমরা সারা পৃথিবীর মুসলিমরা দিনের পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পাঠ করি। আর যদি কোনো সুন্নাত বা নফল নামাজ আদায় করি, তখনও এই দরুদ পাঠ করে থাকি।
.
এই দরুদ যখন আমরা পাঠ করি, তখন আমরা এভাবে পাঠ করি:
.
"আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা **ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা** ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা **ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা** ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।"[৯]
.
.
তাহলে দেখুন, কারা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) - কে সম্মান দিয়েছে? তারা হল এই মুসলিম জাতি যা practically প্রমাণিত। তাই বাইবেলের বক্তব্য অনুযায়ীই প্রকৃত আশীর্বাদপ্রাপ্ত মহাজাতি হলাম আমরা মুসলিমরাই!!!
.
.
وَقَالُوا۟ كُونُوا۟ هُودًا أَوْ نَصَٰرَىٰ تَهْتَدُوا۟ۗ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَٰهِۦمَ حَنِيفًاۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ
قُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ
.
"তারা (ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা) বলে, “তোমরা ইহুদি কিংবা খ্রিষ্টান হও, তবেই সঠিক পথ পাবে।” তুমি বল, “(আমরা) বরং ইবরাহীমের সঠিক ধর্ম (অনুসরণ করব)। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।”
তোমরা বল, “আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করেছি এবং যা আমাদের কাছে নাযিল করা হয়েছে; যা ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তার বংশধরদের কাছে নাযিল করা হয়েছিল এবং যা মূসা, ঈসা ও অন্য নবীদেরকে তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল তাও বিশ্বাস করেছি। আমরা এই নবীদের মধ্যে কারো সাথে কারো পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই (আল্লাহর) অনুগত।”"[১০]
.
.
আল্লাহই ভাল জানেন।
.
_________________________
তথ্যসূত্র:
[১] বাংলা বাইবেল, সফনিয়, ৩:৯;
উৎস - https://www.bible.com/bible/1791/ZEP.3.ROVU
[২] The KJV Bible, Zephaniah 3:9;
Source - https://www.biblestudytools.com/zephaniah/3-9-compare.html
[৩] https://biblehub.com/text/zephaniah/3-9.htm
[৪] The ERV Bible, Zephaniah 3:9;
Source - https://www.biblegateway.com/passage/?search=Zephaniah+3&version=ERV
[৫] বাংলা বাইবেল, সফনিয় ভাববাদীর বই, ৩:৯;
উৎস - https://www.bible.com/bible/1883/ZEP.3.BENIRV
[৬] বাংলা বাইবেল, আদিপুস্তক, ১২:১-৩;
source - https://www.ebanglalibrary.com/banglabible/আদিপুস্তক-১২/
[৭] The KJV Bible, Genesis, 12:1-3
[৮] সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৬৭/ দু’আ (كتاب الدعوات)
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৭
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=6660
[৯] হিসনুল মুসলিম/অধ্যায়ঃ পবিত্রতা ও সালাত [নামাজ]/২৩. তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ/source - http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=939
[১০] আল-কোরআন, ২:১৩৫-১৩৬
==========================
#আহমেদ_আলি
Comments
Post a Comment