Skip to main content

আপনার প্রকৃত পরিচয় "মুসলিম" - পর্ব ২


আমি একবারও এটা বলি না যে, আপনি মুসলিম ছাড়া আর অন্য কোনো নাম বলতেই পারবেন না। কিন্তু আল্লাহ আপনার যে পরিচয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেই নামে পরিচয় দেওয়া আপনার জন্য ফরজ; আর যে নাম মানুষ পরবর্তীতে তৈরি করেছে, সেই নামে ডাকা মুবাহ বা ঐচ্ছিক।
.
যারা বলেন আল্লাহ মুসলিম নামও রেখেছেন, মুমিন নামও রেখেছেন, তাহলে আমরা যদি শুধু মুসলিম হই, তাহলে আমরা কি মুমিন নই?
যদিও এর উত্তর আগেই দিয়েছিলাম যে, আমি এখানে শাব্দিক ভাবে বিশেষ্য পদ হিসেবে "মুসলিম" বা "মুমিন" শব্দকে বিবেচনা করে কিছু বলি নি, বরং এই দুটি শব্দের অর্থগত দিকের ইঙ্গিত দিয়ে বোঝাতে চেয়েছি; তবুও যদি দলিলগুলো ভালভাবে দেখা হয়, তবে বলতে হবে যে, না ভাই আপনি মুসলিম হলেও মুমিন নাও হতে পারেন, আর এটা আমি না স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বলেছেন।
.
"সা‘দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। সা‘দ (রাযি.) সেখানে বসেছিলেন। সা‘দ (রাযি.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এক ব্যক্তিকে কিছু দিলেন না। সে ব্যক্তি আমার নিকট তাদের চেয়ে অধিক পছন্দের ছিল। তাই আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক ব্যক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন?
.
**আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ না, মুসলিম।**
.
তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম। অতঃপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি, তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি অমুককে দান থেকে বাদ রাখলেন?
.
**আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না, মুসলিম?’**
.
তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আবার বললাম, আপনি অমুককে দান হতে বাদ রাখলেন?
.
**আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু’মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না, মুসলিম?’**
.
তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় সেই একই জবাব দিলেন। তারপর বললেনঃ ‘সা‘দ! আমি কখনো ব্যক্তি বিশেষকে দান করি, অথচ অন্যলোক আমার নিকট তার চেয়ে অধিক প্রিয়। তা এ আশঙ্কায় যে (সে ঈমান থেকে ফিরে যেতে পারে পরিণামে), আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করবেন।"
.
[সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)
হাদিস নম্বরঃ ২৭
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=21891]
.
.
তাহলে এই ব্যাপারটা একবার না, তিনবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, মুসলিম হলেও ব্যক্তি মুমিন নাও হতে পারে।
.
আল্লাহ তাআলাও একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করে বলেন,
.
قَالَتِ ٱلْأَعْرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا۟ وَلَٰكِن قُولُوٓا۟ أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ ٱلْإِيمَٰنُ فِى قُلُوبِكُمْۖ وَإِن تُطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَا يَلِتْكُم مِّنْ أَعْمَٰلِكُمْ شَيْـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
.
"আরব মরুবাসীরা বলেঃ আমরা ঈমান এনেছি। বলোঃ তোমরা ঈমান আনো নি; বরং বলো, আমরা আত্মসমর্পণ করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিস্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।"
(আল-কোরআন, ৪৯:১৪)
.
অর্থাৎ, কেউ মুসলিম হলেও সঠিকভাবে মুমিন নাও হতে পারে। তাই কার ঈমান কতটুকু, কে কতটুকু মুমিন, সেটা আল্লাহ বিচার করবেন। তাই মুমিন হওয়ার আগেও আপনার পরিচয় হল আপনি মুসলিম।
.
আমাকে একজন এভাবেও প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভাই আপনি আগে মানুষ, নাকি আগে মুসলিম? দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এটা কোনো অমুসলিম না, একজন মুসলিমই আমায় করেছিলেন আমার প্রতি বিদ্বেষ এর কারণে। আমি তার নাম বলতে চাই না। তার প্রতি আমার বিদ্বেষ নেই। আল্লাহর ওয়াস্তে তাকে ভালবাসি, কারণ তিনি আমারই এক মুসলিম ভাই।
.
আমি তাকে জবাবটা দিয়েছিলাম। আর এখানেও সেটা আবার বলছি।
.
আমি মানুষ হওয়ার আগেও মুসলিম। মুসলিম অর্থ যে আল্লাহর নিকট নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করে। আর প্রতিটি সৃষ্টিই যখন অস্তিত্ব লাভ করে, তখন সেটি আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পণ করে। গ্রহ, নক্ষত্র যখন অস্তিত্ব লাভ করেছিল তখনও সেগুলো আল্লাহর নিকট নিজেদের সমর্পণ করেছিল।
.
ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ
.
"অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।"
(আল-কোরআন, ৪১:১১)
.
.
وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلَٰلُهُم بِٱلْغُدُوِّ وَٱلْءَاصَالِ۩

"আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে আছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং তাদের প্রতিচ্ছায়াও সকাল-সন্ধ্যায়।"
(আল-কোরআন, ১৩:১৫)
.
একারণে আমাদের মনুষ্যরূপ লাভ করার পূর্বে আমরা যখন কেবল রূহ ছিলাম তখনও ছিলাম মুসলিম, আর মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণের সময়ও আমরা মুসলিম হিসেবেই জন্মগ্রহণ করেছি।
.
"আবূ তাহির ও আহমাদ ইবনু ঈসা (রহঃ)..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
.
**প্রতিটি বাচ্চা স্বভাবজাত ইসলামের উপর জন্মলাভ করে।**
.
তারপর তিনি বলেছেন, তোমরা পাঠ করঃ "আল্লাহর ফিতরাত যার উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন নেই। এ-ই সুপ্রতিষ্ঠিত দীন"- (সূরা আর রূম ৩০ঃ ৩০)।"
.
[সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৪৭। তাকদীর (كتاب القدر)
হাদিস নম্বরঃ ৬৬৫০
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=53748]
.
একইভাবে মৃত্যুর পরও এই একই মুসলিম পরিচয় নিয়েই আপনাকে বারযাখ এর জগতে প্রশ্ন করা হবে। সেখানে জিজ্ঞেস করা হবে না আপনার মানহাজ কী, জিজ্ঞেস করা হবে না আপনি কোন মাযাহাবের!!!
.
"আল-বারা‘আ ইবনু আযিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আনসার গোত্রের এক ব্যক্তির জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য রওয়ানা হয়ে কবরের নিকট গেলাম। কিন্তু তখনও কবর খনন শেষ হয়নি। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন এবং আমরাও তাঁর চারিদিকে নীরবে তাঁকে ঘিরে বসে পড়লাম, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে। তখন তাঁর হাতে ছিলো একখানা লাঠি, তা দিয়ে তিনি মাটিতে অাঁচড় কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে দু’ বা তিনবার বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাও। বর্ণনাকারী জারীর তার আরো উল্লেখ করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মৃত ব্যক্তি তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায় যখন তারা ফিরে যেতে থাকে, আর তখনই তাকে বলা হয়, হে অমুক! তোমার রব কে? তোমার দীন কি এবং তোমার নবী কে?
.
হান্নাদ (রহঃ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, অতঃপর তার নিকট দু’ জন ফিরিশতা এসে তাকে বসিয়ে উভয়ে প্রশ্ন করে, তোমার রব কে? তখন সে বলে, আমার রব আল্লাহ।
.
**তারা উভয়ে তাকে প্রশ্ন করে, তোমার দীন কি? সে বলে, আমার দীন হলো ইসলাম।**
.
তারা প্রশ্ন করে, এ লোকটি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন, তিনি কে? তিনি বলেন, সে বলে, তিনি আল্লাহর রাসূল। তারপর তারা উভয়ে আবার বলে, তুমি কি করে জানতে পারলে? সে বলে, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি এবং তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং সত্য বলে স্বীকার করেছি।
.
জারির বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ এটাই হলো আল্লাহর এ বাণীর অর্থঃ ‘‘যারা এ শাশ্বত বাণীতে ঈমান এনেছে তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ সুপথ প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’’ (সূরা ইবরাহীমঃ ২৭) এরপর বর্ণনাকারী জারির ও হান্নাদ উভয়ে একইরূপ বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতঃপর আকাশ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণ করেন, আমার বান্দা যথাযথ বলেছে, সুতরাং তার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে জান্নাতের পোশাক পড়িয়ে দাও। এছাড়া তার জন্য জান্নাতের দিকে একটা দরজা খুলে দাও। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সুতরাং তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধকর হাওয়া ও তার সুগন্ধি বইতে থাকে। তিনি আরো বলেন, ঐ দরজা তার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়।
.
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফিরদের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, তার রূহকে তার শরীরের ফিরিয়ে আনা হয় এবং দু’ জন ফিরিশতা এসে তাকে বসিয়ে প্রশ্ন করে, তোমার রব কে? সে উত্তর দেয়, হায়! আমি কিছুই জানি না।
.
**তারপর ঐ তারা প্রশ্ন করেন, তোমার দ্বীন কি? সে বলে, হায়! আমি কিছুই জানি না।**
.
তারা প্রশ্ন করে, এ লোকটি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে বলে, হায়! আমি তো জানি না। তখন আকাশের দিক থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন, সে মিথ্যা বলছে। সুতরাং তার জন্য জাহান্নামের একটি বিছানা এনে বিছিয়ে দাও এবং তাকে জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দাও। আর তার জন্য জাহান্নামের দিকে দরজা খুলে দাও।

তিনি বলেন, অতঃপর তার দিকে জাহান্নামের উত্তপ্ত বাতাস আসতে থাকে। এছাড়া তার জন্য তার কবরকে সংকীর্ণ করে দেয়া হয়, ফলে তার একদিকের পাজর অপর দিকের পাজরের মধ্যে ঢুকে যায়। বর্ণনাকারী জারির বর্ণিত হাদিসে রয়েছেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতঃপর তার জন্য এক অন্ধ ও বধির ফিরিশতাকে নিযুক্ত করা হয়, যার সঙ্গে একটি লোহার হাতুড়ি থাকবে, যদি এ দ্বারা পাহাড়কে আঘাত করা হয় তাহলে তা ধুলায় পরিণত হয়ে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর সে তাকে হাতুড়ি দিয়ে স্বজোরে আঘাত করতে থাকে, এতে সে বিকট শব্দে চিৎকার করতে থাকে। যা মানুষ ও জীন ছাড়া পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সকল সৃষ্ট জীবই শুনতে পায়। আঘাতের ফলে সে মাটিতে মিশে যায়। তিনি বলেন, অতঃপর (শাস্তি অব্যাহত রাখার জন্য) পুনরায় তাতে রূহ ফেরত দেয়া হয়।"
.
[সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة)
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=62121]
.
.
এগুলো থেকে তাই পরিষ্কার বোঝা যায় যে, একজন সত্য বিশ্বাসীর অস্তিত্ব লাভের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, এমনকি মৃত্যুর পরও তার চূড়ান্ত পরিচয় হল "মুসলিম"।
.
মহান আল্লাহ ঘোষণা করছেন,
.
وَجَٰهِدُوا۟ فِى ٱللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِۦۚ هُوَ ٱجْتَبَىٰكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِى ٱلدِّينِ مِنْ حَرَجٍۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَٰهِيمَۚ هُوَ سَمَّىٰكُمُ ٱلْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِى هَٰذَا لِيَكُونَ ٱلرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا۟ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِۚ فَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱعْتَصِمُوا۟ بِٱللَّهِ هُوَ مَوْلَىٰكُمْۖ فَنِعْمَ ٱلْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ ٱلنَّصِيرُ
.
"তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক।
.
**তিনিই তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন** পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে।
.
সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।"
(আল-কোরআন, ২২:৭৮)
.
.
আল্লাহই ভাল জানেন।
====================
#আহমেদ_আলি

Comments

Popular posts from this blog

মানহাজ ও মাযাহাব নিয়ে যত দ্বন্দ্বের জবাব....

[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...

কৃষ্ণ কি আল্লাহর নবী ছিল?

এই প্রশ্নটা আমাকেও করা হয়েছে সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা বড়ই জটিল। কারণ এর কোনো যথাযথ উত্তর আমাদের জানা নেই। যদি কৃষ্ণের গোপীদের সাথে লীলার কাজকে সত্য বলে...

ভগবতগীতার বর্ণভেদ নিয়ে ভক্তদের ভণ্ডামির জবাব

============================ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ৷ তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্৷৷১৩ অর্থ:  "প্রকৃতির তিনটি গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণ...