Skip to main content

বুদ্ধি, চৈতন্যবোধ ও ইসলাম (Intelligence, Consciousness and Islam)


আমরা বুদ্ধি এবং চৈতন্য প্রায় একই অর্থে মনে করলেও দুটোর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
.
قُل لَّا يَسْتَوِى ٱلْخَبِيثُ وَٱلطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ ٱلْخَبِيثِۚ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَٰٓأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
.
"বল, ‘অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়; যদিও অপবিত্রের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে। সুতরাং হে বুদ্ধিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’"[১]
.
অর্থাৎ বুদ্ধি বা intelligence হল এমনই এক বোধ যা দিয়ে সঠিক ও ভুল, ভাল ও মন্দ, হালাল ও হারাম ইত্যাদির পার্থক্য করা যায়। এর সঙ্গে জড়িত আছে 'স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি' বা free will; যার অর্থ হল এই বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি তার নিজের পথকে বেছে নেয়। সে হালালও বাছতে পারে, হারামও বাছতে পারে। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
.
قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَكُمُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكُمْۖ فَمَنِ ٱهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِى لِنَفْسِهِۦۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَاۖ وَمَآ أَنَا۠ عَلَيْكُم بِوَكِيلٍ
.
"(হে মুহাম্মাদ তুমি) বলে দাও, ‘‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের কাছে প্রকৃত সত্য এসে পৌঁছেছে। অতঃপর যে সঠিক পথ অবলম্বন করবে, সে নিজের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথ ধরবে। আর যারা পথভ্রষ্ট হবে তারা পথভ্রষ্ট হবে নিজেদেরই ক্ষতি করার জন্য, আমি তোমাদের হয়ে কাজ উদ্ধার করে দেয়ার কেউ নেই।"[২]
.
এখানে চৈতন্য বা consciousness বলতে পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীরা জাগ্রত অবস্থা বা wakefulness ছাড়া বেশি কিছু বুঝে উঠতে পারে নি। তারা চৈতন্য অবস্থায় থাকা বা conscious থাকাকে সতর্ক থাকা পর্যন্তই ব্যাখ্যা করতে পারে আর এর সাথে মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদির ব্যাখ্যা সর্বোচ্চ জুড়ে দিতে পারে। কিন্তু আগেই বললাম যে, এটা চৈতন্য নয়। এটা কেবল জাগ্রত অবস্থা বা wakefulness. প্রকৃত অর্থে চৈতন্যবোধ বা consciousness বলতে বোঝায়, এই পার্থিব জগতের অনুভূতির বাইরের কোনো আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে উপলব্ধি করা ও সেই বোধ এর উপলব্ধির মাধ্যমে সচেতন থাকা। আরেকটু ভেঙে বলি।
.
উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ কোনো সুস্বাদু খাবার কিনল খাওয়ার জন্য, সেক্ষেত্রে সে তার বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারে সেই খাবারটা ভাল না খারাপ এটা নির্ণয় করার জন্য। সে এখানে নিজের ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ করেই খাবারটা খাবে কিনা, সেটা বেছে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে সে আসলে খাওয়ার মাধ্যমে তার নাফস বা প্রবৃত্তিকে সন্তুষ্ট করছে। বিষয়টি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদিস থেকে আরও ভাল বোঝা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
.
"মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন পাত্র ভর্তি করে না। (যতটুকু খাদ্য গ্রহণ করলে পেট ভরে পাত্র থেকে ততটুকু খাদ্য উঠানো কোন ব্যক্তির জন্য দূষণীয় নয়)। যতটুকু আহার করলে মেরুদন্ড সোজা রাখা সম্ভব, ততটুকু খাদ্যই কোন ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট।
.
**এরপরও যদি কোন ব্যক্তির উপর তার নফস (প্রবৃত্তি) জয়যুক্ত হয়,** তবে সে তার পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।"[৩]
.
এক্ষেত্রে //এরপরও যদি কোন ব্যক্তির উপর তার নফস (প্রবৃত্তি) জয়যুক্ত হয়// এই অংশ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে নাফস বা প্রবৃত্তির সন্তুষ্টি আসে। অর্থাৎ আমি খাদ্য গ্রহণ করে যদি তৃপ্ত হয়, তবেই আমি সন্তুষ্ট হচ্ছি, এমন অনুভূতি আমাদের মধ্যে কাজ করে। এটাই হল আমাদের উপলব্ধিতে আসা নাফস বা প্রবৃত্তির সন্তুষ্টি।
.
এই নাফস বা প্রবৃত্তির সন্তুষ্টি আসে ইন্দ্রিয়সমূহ (senses) এর অনুভূতি থেকে। অর্থাৎ আমাদের শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে দৃষ্টি, ঘ্রাণ, শ্রবণ, স্বাদ, স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে যে সকল জৈবিক বা প্রাকৃতিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেগুলোতে স্বস্তি ও তৃপ্তি অনুভব করাকে এক অর্থে নাফস বা প্রবৃত্তির সন্তুষ্টি বলা যেতে পারে। উপরের উদাহরণে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে খাবারের ঘ্রাণ আমরা পাব, দৃষ্টির মাধ্যমে খাবারটা কেমন তা দেখতে পাব, জিভের মাধ্যমে তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারব ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এসকল প্রাকৃতিক অনুভূতিতে যদি আমরা স্বস্তি ও তৃপ্তি অনুভব করি, তবে একেই নাফস বা প্রবৃত্তির তুষ্টি বা সন্তুষ্টি বলা যেতে পারে।
.
এক্ষেত্রে এই যে নাফসের সন্তুষ্টি সম্পন্ন হচ্ছে, সেখানে আমরা যখন নিজেদের ইচ্ছাকে বিচার বিবেচনার মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে সঠিক পথটা বেছে নিচ্ছি, তখন তাকে বলা হচ্ছে বুদ্ধি বা intelligence - কে কাজে লাগানো।
.
কিন্তু চৈতন্য এমনই এক বোধ যা এই নাফস বা প্রবৃত্তি এবং বুদ্ধিরও উর্ধ্বে। আর আগেই বলেছি যে, এই বোধ বলতে প্রকৃতপক্ষে আধ্যাত্মিক বোধ এর উপলব্ধিকে বোঝায়।
.
আমার এত কিছু বলার আসল উদ্দেশ্যটা এবার একটু খোলাসা করার চেষ্টা করি। পাশ্চাত্য এর বিজ্ঞান এই চৈতন্যের খুব বেশি কাছে যেতে পারে নি ঠিকই, কিন্তু গ্রীক দর্শন ও ভারতীয় দর্শন এই চৈতন্য প্রাপ্তির জন্য অনেক রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়েছে। গ্রীক দর্শনে নানা রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাওয়া গেলেও সুস্পষ্টভাবে তারা এই বিষয়টিকে তুলে ধরতে পারে নি যে, কীভাবে এই চৈতন্যবোধে যাওয়া সম্ভব। বরং তারা কেবল আধ্যাত্মিক বিষয়কে অস্পষ্টভাবে রেখেই ছেড়ে দিয়েছে।
.
ভারতীয় দর্শন এই চৈতন্যবোধের ওপর সরাসরি মন্তব্য করেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ঝামেলাটা হল, এই ভারতীয় দার্শনিকরা যারা বিভিন্ন মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা, তারা যে সকল ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন, তার মধ্যে এই চৈতন্যবোধের প্রায় পুরোটাই মুশরিকি ধারণায় পরিপূর্ণ!!!
.
চৈতন্যবোধ বলতে যে আধ্যাত্মিক বোধ বা অনুভূতির কথা বলা হচ্ছে, সেটা হল, আমরা আসলে দেহ নই, আমরা সকলে আসলে অবিনশ্বর আত্মা যা পরমাত্মার আধ্যাত্মিক দেহে বিরাজমান। অর্থাৎ আমরা যে নাফস বা প্রবৃত্তির মাধ্যমে সন্তুষ্টি পাচ্ছি, এটা আসলে আমাদের আসল প্রকৃতি নয়। আমাদের আসল প্রকৃতি হল আমরা প্রত্যেকে অবিনশ্বর আত্মা! ভগবতগীতা বলছে,
.
"আত্মার কখনো জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুণঃ পুণঃ তার উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না, তিনি জন্ম রহিত শাশ্বত, নিত্য এবং নবীন। শরীর  নষ্ট হলেও আত্মা কখনো বিনষ্ট হয় না।"[৪]
.
চিন্তা করুন, এই সকল ফিলোসফি আপনাকে অবিনশ্বর বলে ঘোষণা করছে আর তারপরই তাদের পরের ধাপে আপনাকে এই কথা বলে উস্কে দিচ্ছে যে, আপনি যদি ধ্যান, জপ ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের এই অবিনশ্বর সত্ত্বাকে উপলব্ধি করতে পারেন, তবে আপনি সর্বশক্তিমান হয়ে যাবেন; কারণ তখন আপনি নিজের প্রবৃত্তি ও পার্থিব বুদ্ধির উর্ধ্বে চলে যাবেন এবং পরমাত্মার সাথে একীভূত হয়ে আর নিজের কোনো পৃথক অস্তিত্ব অনুভব করবেন না। তাদের ভাষায় এই পর্যায়কে বলে "মোক্ষলাভ" এবং সেই পর্যায়ে আপনার মধ্যে যে বোধ জাগ্রত হবে সেটাই হল "চৈতন্যবোধ"!
.
বৌদ্ধধর্মে আত্মা-পরমাত্মার প্রতি এত গুরুত্ব না দিলেও প্রায় একই ধরণের চৈতন্যবোধ প্রাপ্তির পথকে বলা হয়েছে "নির্বাণ" (Nirvana) এবং চরমপন্থি সুফি দর্শনে তাকে বলা হয়েছে "ওয়াহদাতুল উজুদ" (Wahdaatul Ujuut)।
.
এখানে সহিহ ইসলামিক চিন্তাধায় চৈতন্যবোধ এরূপ মুশরিকি চিন্তা দ্বারা বেষ্টিত নয়। সহিহ ইসলামিক পথে চৈতন্যবোধ এর অর্থ অবশ্যই এই নাফস বা প্রবৃত্তি এবং পার্থিব আপেক্ষিতায় সীমাবদ্ধ বুদ্ধির উর্ধ্বে থাকা আধ্যাত্মিক বোধ; কিন্তু এই বোধ এরূপ নয় যে, "আমি নশ্বর দেহ নই, অবিনশ্বর আত্মা"; বরং এই বোধ হল "আমি একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার সৃষ্ট বান্দা, যার একমাত্র সত্য প্রকৃতি হল চূড়ান্ত রূপে সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ এর প্রতি নিজেকে সমর্পণ করা।" মহান আল্লাহ ঘোষণা করছেন,
.
وَمَا خَلَقْتُ ٱلْجِنَّ وَٱلْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
.
"আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।"[৫]
.
ইসলাম ঘোষণা করছে, আত্মা, অবিনশ্বর প্রকৃতির নয়, বরং একমাত্র আল্লাহ তাআলাই অবিনশ্বর প্রকৃতিসম্পন্ন।
.
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو ٱلْجَلَٰلِ وَٱلْإِكْرَامِ
.
"ভূ-পৃষ্ঠে বিরাজমান সবকিছুই নশ্বর।
অবিনশ্বর কেবল তোমার মহিমময়, মহানুভব প্রতিপালকের সত্ত্বা।"[৬]
.
.
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ
.
"আল্লাহ ছাড়া কোনই ইলাহ (উপাস্য) নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও নিত্য বিরাজমান।"[৭]
.
তাই সৃষ্টিকর্তা হতে পৃথক (সৃষ্ট) সত্ত্বার জন্য চৈতন্যবোধ এর অযুহাতে নিজের মধ্যে অবিনশ্বর অস্তিত্বের অনুসন্ধান করা শয়তানি ওয়াসওয়াসা (শয়তানের কুমন্ত্রণা) এবং মুশরিকি পথভ্রষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়!
.
أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يُؤْمِنُونَ بِٱلْجِبْتِ وَٱلطَّٰغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هَٰٓؤُلَآءِ أَهْدَىٰ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ سَبِيلًا
.
"তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যাদেরকে গ্রন্থের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে? তারা মূর্তি ও শয়তানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং কাফিরদেরকে বলে, মুসলিমদের অপেক্ষা তারাই অধিকতর সুপথগামী।"[৮]
.
.
"...আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়তানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত। সে তাদেরকে আশ্বাস দেয়, মিথ্যা প্রলোভন দেয়, বস্তুতঃ শয়তান তাদেরকে যে আশ্বাস দেয় তা ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়।"[৯]
.
.
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহিহ ইসলামে অটল থাকার এবং সহিহ ইসলামে মৃত্যুবরণের তৌফিক দান করুন। আমিন।
.
______________________________
তথ্যসূত্র:
[১] আল-কোরআন, ৫:১০০
[২] আল-কোরআন, ১০:১০৮
[৩] সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ২৩/আহার ও তার শিষ্টাচার (كتاب الأطعمة)/হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪৯/হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)/source - http://www.hadithbd.com/share.php?hid=44313
[৪] ভগবতগীতা, ২:২০
[৫] আল-কোরআন, ৫১:৫৬
[৬] আল-কোরআন, ৫৫:২৬-২৭
[৭] আল-কোরআন, ৩:২
[৮] আল-কোরআন, ৪:৫১
[৯] আল-কোরআন, ৪:১১৯-১২০
============================
- আহমেদ আলি

Comments

Popular posts from this blog

মানহাজ ও মাযাহাব নিয়ে যত দ্বন্দ্বের জবাব....

[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...

কৃষ্ণ কি আল্লাহর নবী ছিল?

এই প্রশ্নটা আমাকেও করা হয়েছে সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা বড়ই জটিল। কারণ এর কোনো যথাযথ উত্তর আমাদের জানা নেই। যদি কৃষ্ণের গোপীদের সাথে লীলার কাজকে সত্য বলে...

ভগবতগীতার বর্ণভেদ নিয়ে ভক্তদের ভণ্ডামির জবাব

============================ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ৷ তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্৷৷১৩ অর্থ:  "প্রকৃতির তিনটি গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণ...