আপনার প্রশ্নগুলোতে আসি।
.
"আমি আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ইসলামের বোঝা বহন করার) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ।" (কোরআন, ৩৩:৭২)
.
প্রকৃতপক্ষে আল-কোরআন ৩৩:৭২ আয়াতের ঘটনার ক্ষেত্রে একেবারে exact কী ঘটেছিল তা আল্লাহই ভালো জানেন।
আমি আমার নিজের মতামতটা বলছি। কারণ কিছু ব্যাখ্যার সাথে আমি একমত নই। আমার নিজের কিছু কিছু ব্যাখ্যার সাথে হয়ত মাজাহাবি বা আহলে হাদিস কেউই একমত হবে না। কিন্তু আমি কোনো ব্যাখ্যা অন্ধভাবে মেনে চলতে পারব না।
যদি আমার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যাখ্যা বেশি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে বলবেন প্লিজ। আমি সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
.
আমানত সম্পর্কে তাফসিরে আহসানুল বয়ানে বলা হচ্ছে:
.
"....আমানত বলতে ঐ সকল শরয়ী আদেশ; ফরয ও ওয়াজেব কর্মসমূহকে বুঝানো হয়েছে, যা পালন করলে নেকী ও সওয়াব লাভ হয় এবং তা হতে বৈমুখ হলে বা তা অস্বীকার করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। যখন এই শরীয়তের গুরুভার আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার উপর পেশ করা হল, তখন তারা এর যথাযথ হক আদায় করার ব্যাপারে ভীত হয়ে গেল। কিন্তু যখন মানুষের উপর তা পেশ করা হল, তখন তারা আল্লাহর আমানতের (আনুগত্যের) নেকী ও ফযীলত (প্রতিদান ও মাহাত্ম্য) দেখে সেই কঠিন গুরুভার বহন করতে উদ্বুদ্ধ হয়ে গেল। শরয়ী আহ্কামকে 'আমানত' বলে এই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তা আদায় করা মানুষের উপর ঐ রকম ওয়াজেব যেমন আমানত আদায় করা ওয়াজেব। 'আমানত অর্পণ' করার অর্থ কি? আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালা কিভাবেই বা তার প্রত্যুত্তর দিল এবং মানুষ তা কোন্ সময়ে গ্রহণ বা বহন করল? এ সবের পূর্ণ বিবরণ না আমরা জানতে পারি আর না বর্ণনা করতে পারি। আমাদেরকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল সৃষ্টির মাঝে বিশেষ অনুভব ও বুঝার শক্তি রেখেছেন; যদিও আমরা তার প্রকৃতত্ব সম্বন্ধে অবগত নই। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাদের কথা বুঝার ক্ষমতা রাখেন...."
(তাফসিরে আহসানুল বয়ান/আল-কোরআন ৩৩:৭২ এর তাফসির হতে বিবৃত)
.
এক্ষেত্রে আমরা মনুষ্য জীবন বেছে নিয়েছি নিজেদের ইচ্ছায়। মনুষ্য জীবন বেছে নিয়েছি বলতে মনুষ্যরূপে স্বাধীন ইচ্ছা নিয়ে পৃথিবীতে আসার পূর্বে মানুষের সামনে এই অপশন দেওয়া হয়েছিল যে, সে কি এই আমানতের বোঝা বহন করতে প্রস্তুত? মানুষ তখন নিজের ইচ্ছায় এই পরীক্ষার বোঝা বেছে নেয়।
.
এখন অনেকে বলে থাকে যে, এই মানুষ ছিল আদম (আলাইহিস সাল্লাম)। এখন এই দাবির দলিল কী? এটা নিছক একটা ব্যাখ্যা। এর অর্থ এটাই দাঁড়াচ্ছে যে, আদম (আলাইহিস সাল্লাম) এর কারণে আমরা সকলে এই দুনিয়ার পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। তাহলে এটা কীভাবে ন্যায়বিচার হল যে, একের বোঝা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কিন্তু আল্লাহ বলছেন:
.
"প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কোন ভারবহনকারী অন্যের ভার বহন করবে না।" (কোরআন, ৬:১৬৪)
.
তাহলে এর অর্থ এটাই দাঁড়াচ্ছে যে, এখানে আদম(আলাইহিস সাল্লাম) এর মানুষ রূপে আবির্ভাব এর পর যদি শুধু তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে গোটা মনুষ্য জাতির ওপর এই বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তা আল-কোরআন এর উক্ত আয়াতের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
তাই এটাই যুক্তিযুক্ত যে, কেবল একজন ব্যক্তির কাজের ফল হিসেবে আমরা এই মনুষ্য জীবনের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারি না।
এখানে আমরা জানি যে, আল্লাহ তাআলা আদমকে পৃথিবীতে মনুষ্য অবয়বে প্রেরণ করেছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টির অনেক পর। তার আগে নবী আদম জান্নাতে ছিলেন। কিন্তু তার আগে কোথায় ছিলেন একথা বলা নেই কোথাও। এখানে কেবল আল-কোরআনে আদম(আ) এর মনুষ্য শরীর তৈরির কথাটা এসেছে।
.
"নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের মত, তিনি তাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে বললেন, ‘হও’, ফলে সে হয়ে গেল।" (কোরআন, ৩:৫৯)
.
মনুষ্য শরীর তৈরির পর আল্লাহ সেই শরীরে রূহ ফুঁকে দিয়েছিলেন।
.
"স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমি কাল শুষ্ক ঠনঠনে মাটির কাদা থেকে মানুষ সৃষ্টি করছি। আমি যখন তাকে পূর্ণ মাত্রায় বানিয়ে দেব আর তাতে আমার পক্ষ হতে রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সাজদায় পড়ে যেও।" (কোরআন, ১৫:২৮-২৯)
.
অর্থাৎ এটা থেকে বলা যায় যে, আদম(আ) এর শরীরে রূহ ফুঁকে দেওয়ার আগে আদম(আ) এর মনুষ্য গঠনাকৃতিতে পৃথক কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
.
"মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি পূর্বে তাকে সৃষ্টি করেছি আর সে তখন কিছুই ছিল না।" (কোরআন, ১৯:৬৭)
.
সুতরাং এসকল কিছুর ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যে প্রথম আয়াতের উদ্ধৃতি আমি দিয়েছিলাম সূরা আহযাবের ৭২ নং আয়াতে যেখানে বলা হচ্ছে,
"আমি আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ইসলামের বোঝা বহন করার) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ।" - এখানে মানুষের আমানত গ্রহণ করার বিষয়টি মনুষ্য আকৃতিতে গ্রহণ করার তুলনায় মনুষ্য প্রকৃতিতে গ্রহণ করা বেশি যুক্তিযুক্ত।
.
এর মানে হল, আদম(আ)-কে মানুষের দেহের গঠনে সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ মনুষ্য প্রজাতির জন্য মনুষ্য প্রকৃতির মানানসই রূহ সৃষ্টি করেছিলেন। আর সেই রূহ এর প্রকৃতি প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে একই হবে। কারণ আদম(আ) থেকেই হাওয়া(আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে আর পরবর্তীতে অন্য সকল মানুষ; তাই সকল রূহ এর মূল প্রকৃতি একই।
.
"..যিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা হতে তদীয় সহধর্মিনী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের উভয় হতে বহু নর ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন.." (কোরআন, ৪:১)
.
আর আদম(আ) এর আগমনের পূর্বে যখন মনুষ্য প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই রূহ অস্তিত্বমান ছিল, সেই রূহ এর নিকটই আল্লাহ বিশেষ অবস্থায় এই আমানত পেশ করেন। এখানে রূহ এর কথা আয়াতে নেই, কারণ যদি তা থাকত, তাহলে সন্দেহ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কারণ মুশরিকদের ধারণায় রূহকে তারা আত্মা বলে আর আত্মাকে পরমাত্মা বা ঈশ্বরের অংশ বলে। তখন তাদের কন্সেপ্টে মানুষকে আল্লাহর অংশ বলে দাবি করার অবকাশ তারা পেয়ে যেত। তাই আল্লাহ এখানে এই জটিল প্রকাশভঙ্গিতে না গিয়ে কেবল এটুকু দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষ এই আমানত বহনের দায়িত্ব নিজের ইচ্ছায় বেছে নিয়েছে।
কিন্তু আমার মতে, এটা মনুষ্য শরীরের গঠনাকৃতিতে আসার পূর্বে।
এখানে এটাও হতে পারে যে, কেয়ামত দিবসের আগ পর্যন্ত জন্ম নেবে এমন সকল মানুষের রূহ এর নিকট আল্লাহ এই আমানতের বোঝা বহনের অপশন দিয়েছিলেন আর সকল মনুষ্য প্রকৃতির রূহই তার বোঝা বহন করতে স্বীকার করল। আর তারপর আল্লাহ পর্যায়ক্রমে এখন মানুষ সৃষ্টি করে রূহ সুনির্দিষ্ট দেহে প্রেরণ করছেন। এক্ষেত্রে কোনটা সঠিক সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম ব্যাখ্যাটা সমর্থন করি বেশি, কারণ সকল মানুষের রূহ এর প্রকৃতি একই। দেহ ধারণের পরই নাফসের বিলাসিতা আসে, আর স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির কারণে পাপ পুণ্যের ক্রিয়া সম্পাদন করার যোগ্যতা আসে।
.
এখন আপনার কথা হচ্ছে, কালেমাতে বলা হচ্ছে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি এর মানে কী? এর মানে আপনি যা ভেবেছেন অনেকটা সেই রকমই। দুনিয়া আর আখিরাতে আমাদের অবস্থা কী হবে আল্লাহর নাফরমানি বা আনুগত্য করলে সেটা আগেই আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেটা জানানোর পর সেই অবস্থা জানা সত্ত্বেও মানুষ তা বহন করতে রাজি হয়ে গেল। এ সম্পর্কে তাফসিরে আহসানুল বয়ানে বলা হচ্ছে,
.
"এই গুরুভার বহন করে নিজের উপর যুলুম করেছে এবং তার দাবী পূরণে বৈমুখ হয়ে অথবা তার মান ও মূল্য সম্বন্ধে উদাসীন থেকে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে।"
.
(তাফসিরে আহসানুল বয়ান/আল-কোরআন ৩৩:৭২ এর তাফসির হতে বিবৃত)
.
এখন এখানে কেউ তখনই মন থেকে সাক্ষ্য দেবে, যখন সে ইসলামের সত্যকে মেনে নিয়েছে সত্যিকার অর্থেই। আর যদি কেবল এটা লোক দেখানো হয়, তাহলে এটা আসলে মুনাফিকি যেমনটা আল্লাহ বলছেন।
.
"মুনাফিকরা যখন তোমার নিকট আসে তখন তারা বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। আর আল্লাহ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁর রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।" (কোরআন, ৬৩:১)
.
এখানে দুনিয়ায় পাঠানোর আগে যে আপনাকে বলা হয়েছিল এই আমানত বহনের ফলে কী হতে পারে, সেই বিষয় যে সত্য, এটারও আপনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যখন আপনি তা সত্য বলে মেনে নিয়েছেন। এখন এর দ্বারা প্রকাশ হয়ে যাবে, কে সত্য বিশ্বাসী। কারণ আপনি নিজেই বললেন যে, অমুসলিমরা এটা মানবে না। এর মানে এটাই যে, ইসলামের অন্য বিষয়গুলো যুক্তি, প্রমাণ আর বিজ্ঞান দিয়ে মেনে নেওয়ার পরও তাদের আল্লাহ তাআলার ওপর, ইসলামের ওপর কোনো ভরসা, বিশ্বাস বা আস্থা নেই।
এখানে দুনিয়ায় আগমনের পূর্বে যা যা জানানো হয়েছিল এই আমানত ইত্যাদির ব্যাপারে, সেই ঘটনাকে আল্লাহ তাআলা আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে দিয়েছেন। আর এখন আমরা সেই ঘটনা মনে করতে পারছি না। এখন তাহলে যদি প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কীভাবে এই ঘটনা সত্য বলে আমি মেনে নেব? এটাই তো পরীক্ষা! পরীক্ষার হলে কি বই চেক করতে দেওয়া হয়? না! তাহলে এই দুনিয়ায় কেন আমানত গ্রহণের কথা মনে থাকবে আমাদের? তাহলে আর পরীক্ষার কী প্রয়োজন ছিল? তখন তো সবাই মুসলিম হয়ে যেত আর কোনো পরীক্ষাই থাকত না। কিন্তু আল্লাহ বলছেন:
.
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।" (কোরআন, ৬৭:২)
.
এখন আগেই বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা মানুষ নিজেই বেছে নিয়েছে আর তাই এর জন্য সে নিজেই দায়ী।
.
তবে আপনার বক্তব্য হল, মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে ইবাদতের জন্য দুনিয়ায় পাঠানোর কী দরকার ছিল যখন আল্লাহ তাআলার ইবাদত গ্রহণের প্রয়োজনও নেই, আবার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির জিনজাতি আগেই আল্লাহ সৃষ্টি করেছিলেন?
.
এখানে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের প্রয়োজন নেই ঠিকই, কিন্তু মানুষের নিজের সত্ত্বার প্রশান্তি আর সঠিক নির্দেশনার জন্য মানুষের নিজেরই এই ইবাদতের প্রয়োজন আছে।
.
"হে মানুষ! তোমরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী, আর আল্লাহ তিনি তো অভাবহীন, প্রশংসিত।" (কোরআন, ৩৫:১৫)
.
তবে এই প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির কারণে মানুষ এই ইবাদত না করে প্রবৃত্তির আনন্দ মেটাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে চায়। তাই আল্লাহ তাআলা এর জন্য দায়বদ্ধতা তৈরি করে দিয়েছেন যে, যে নিজের সত্ত্বার ওপর অত্যাচার করে ইবাদত বিমুখ হবে, সে শাস্তির সম্মুখীন হবে নিজের দোষেই। এতে ইহকালের পরীক্ষার ফল প্রদান করার বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেল, যে পরীক্ষার জন্য মানুষ নিজেই দায়ী।
.
"যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথ ভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না..." (কোরআন, ১৭:১৫)
.
এখন জিনজাতি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নয় বলেই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি জিন জাতি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হত, তাহলে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার জন্য ফেরেশতাদের সাথে সাথে জিনজাতিকেও আদমকে সিজদা করতে বলা হত না।
.
"যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ আদমকে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন..." (কোরআন, ১৮:৫০)
.
আর এভাবেই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি সম্পাদনের মাধ্যমেই আল্লাহ সৃষ্টির পূর্ণতা সাধন করেছেন।
.
আল্লাহই ভালো জানেন।
.
আমি মোটামুটি বলার চেষ্টা করেছি। কোথাও ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করুন।
কোনো কনফিউশন থাকলে বলবেন।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েতের পথে অটল রাখুন। আমিন।
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment