"....নারীদের তেমনি ন্যায়-সঙ্গত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের। কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের কিছুটা মর্যাদা আছে। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।"
.
(আল-কোরআন, ২:২২৮)
.
এই প্রাকৃতিক সত্যখানা আজকাল নাস্তিক ও তথাকথিত নারীবাদীদের হজম হয় না। তারা আজ উঠে পড়ে লেগেছে কোরআনে বর্ণিত এই প্রাকৃতিক সত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য।
.
কিন্তু তারপরও ভালভাবে তাদের কার্যধারাগুলো লক্ষ্য করুন।
.
নারীরা সমান অধিকারের দাবিতে আজ পুরুষের অনুকরণে শার্ট, জিন্সের প্যান্ট পরছে। টাইট ড্রেস, শর্ট ড্রেস পরে আর নিজেদের বক্ষ প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা লজ্জাশীলতার মাপকাঠিতে পুরুষের মত হতে চাইছে। পুরুষের মতই তারা শক্তিশালী হওয়ার জন্য ব্যায়ামাগার তথা জিমে গিয়ে, শারীরিক কসরত করে, বিভিন্ন ক্রীড়াকার্য ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের শরীর শক্ত করার চেষ্টা করছে। পুরুষের মত বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চাইছে। এগুলো থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, নানাভাবে আজ তারা সমান অধিকারের মোড়কে পুরুষের মত হওয়ার জন্যই উঠে পড়ে লেগেছে।
.
মানুষ তখনই কারও মত হওয়ার চেষ্টা করে, যখন সে তাকে আদর্শ বা উন্নততর হিসেবে ধরে নেয়। তাই যুক্তি অনুযায়ী বলা যায় যে, নারীবাদী চেতনায় বিশ্বাসী তথাকথিত মর্ডার্ণ নারীরা মুখে যতই সমান অধিকারের কথা বলুক না কেন, পুরুষের মত হওয়ার জন্য তাদের কর্ম ও চিন্তাধারা থেকে বাস্তবে এটাই প্রমাণিত হয় যে, তারা পুরুষকে তাদের থেকে শ্রেষ্ঠতর বলে মনে করে এবং তাই পুরুষকে আদর্শ ও উন্নততর ধরে নিয়ে তারা আজ পুরুষের মত হওয়ার চেষ্টা করে চলেছে।
.
এটা যেমন কোরআনের উক্ত আয়াতের সত্যতা প্রমাণ করে, তেমনি এটা দিয়ে আরও প্রমানিত হয় যে, ফেমিনিস্ট তথা আধুনিক নারীবাদী চেতনায় বিশ্বাসী নারীরা নিজেদেরকে পরোক্ষভাবে পুরুষের স্ট্যান্ডার্টের চেয়ে নিম্নতর বলে ঘোষণা করে চলেছে ক্রমাগত !!!
.
.
অথচ প্রকৃত সৎ চরিত্রের ঈমানদার নারীদের স্ট্যান্ডার্ড এসব নারীদের থেকে বহু উচ্চ মানের!!! কারণ ইসলামে সম্মানের মানদণ্ড লিঙ্গবৈষম্য নয়, বিপরীত লিঙ্গের মত বৈশিষ্ট্য অর্জন করায় নয়; বরং সম্মানের মানদণ্ড বিবেচিত হয় "তাকওয়া"(সত্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি সচেতনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধার্মিকতা) এর মাধ্যমে, যা একজন প্রকৃত সৎ চরিত্রের ঈমানদার নারীকে একজন অসৎ চরিত্রের পুরুষের থেকেও বহু উর্ধ্বে তুলে দিতে সক্ষম!!!
.
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَٰكُم مِّن ذَكَرٍ وَأُنثَىٰ وَجَعَلْنَٰكُمْ شُعُوبًا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓا۟ۚ إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ ٱللَّهِ أَتْقَىٰكُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
.
"হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার।
.
***তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে অধিক 'তাকওয়া-সম্পন্ন'***
.
আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন।"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৪৯:১৩)
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment