উগ্রবাদী হিন্দুরা আজ সাধারণ শান্তিকামী হিন্দুদের জন্যও বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা কথায় কথায় জান্নাতের ৭২ টা হুরের[1] কথা বলে যেখানে হুরেরা হবে পবিত্র[2], আর স্বর্গের অপ্সরা হবে পতিতা নারী!
.
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যদি কেউ পতিতাবৃত্তি বেছে নেয়, তাহলে পরকালেও সে কোনো শাস্তির সম্মুখীন হবে না; বরং পরকালে তাকে স্বর্গের অপ্সরা বানিয়ে দেওয়া হবে স্বর্গবাসীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য।
.
"....those that are sprung from Tamo Guna are recognised as worst and belonging to the unknown families. They are very scurrilous, cheats, ruining their families, fond of their own free ways, quarrelsome and no seconds are found equal to them.
***Such women become prostitutes in this world and Apsarâs in the Heavens***...."
.
(The S'rîmad Devî Bhâgawatam, Translated by Swami Vijñanananda, 9:1:96-143)
[source - http://www.sacred-texts.com/hin/db/bk09ch01.htm]
.
শুধু তাই না, এরা কথায় কথায় শুধু ৭২ টা হুরের কথা বলে, যখন তাদের গ্রন্থ অনুযায়ী স্বর্গের পতিতা অপ্সরার সংখ্যা হবে হাজার হাজার! কোথায় ৭২ আর কোথায় হাজার!
.
"Foremost of ***Apsaras, numbering by thousands***, go out with great speed (for receiving the spirit of the slain hero) coveting him for their lord...."
[The Mahabharata, Book 12, Section 98, tr. Kisari Mohan Ganguli,
source - http://www.sacred-texts.com/hin/m12/m12a097.htm]
.
"When thus proceeding to Heaven, he is received by ***a thousand celestial damsels*** of beautiful hips and adorned with handsome robes and ornaments. These girls wait upon him there and minister to his delight..."
[The Mahabharata, Book 13, Section 79, tr. Kisari Mohan Ganguli,
source - http://www.sacred-texts.com/hin/m13/m13b044.htm]
.
স্বামী প্রভুপাদের ব্যাখ্যা বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে:
.
”**The heavenly pleasure for the conditioned soul is sexual pleasure,** and this pleasure is tasted by the genitals. **The woman is the object of sexual pleasure,** and both the sense perception of sexual pleasure and the woman are controlled by the Prajapati, who is under the control of the Lord’s genitals…”
.
(A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada on Srimad Bhagavatam 2.10.26)
[source - http://vanisource.org/wiki/SB_2.10.26 ]
.
.
আমাদের প্রশ্ন হল, যদি হিন্দুরা ৭২টা পবিত্র হুরের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ে, তাহলে হাজারটা অপবিত্র অপ্সরার বোঝা কীভাবে সামলাবে???
.
.
______________________
[1] সাধারণভাবে সকল জান্নাতবাসীর জন্য ৭২টি হুর থাকবে না। কেবল যাঁরা সত্যিকার অর্থে আল্লাহর পথে শহীদ, তাঁরা আল্লাহর ইচ্ছায় ৭২টি হুর পেতে পারেন যদি আল্লাহ চান। (আরও পড়ুন: কোরান কি কখনো কোন নিরপরাধকে হত্যার অনুমতি দেয়?)
তবে প্রত্যেক পুরুষের জন্য সাধারণ হিসাবে ২ জন করে স্ত্রী থাকবে।
.
"মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ হচ্ছে (সে সব হাদীস) যা আবু হুরায়রা (রাঃ) আমাদের শুনিয়েছেন,এভাবে তিনি কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করেন। এর থেকে একটি হল এই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দলটি প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় দীপ্তিমান হবে। সেখানে তারা থুথু ফেলবে না, নাক ঝাড়বেনা এবং পায়খানাও করবে না। তাদের বরতন এবং চিরুনিসমূহ স্বর্ণ এবং রৌপ্য নির্মিত হবে। তাদের ধুপদানীগুলো হবে অগর কাঠের। তাদের ঘাম হবে মিশক এর ন্যায় সুঘ্রাণযুক্ত।
**তাদের প্রত্যেকেরই দু'জন করে এমন স্ত্রী থাকবে ** যে, সৌন্দর্যের কারণে গোশতের উপর থেকে তাদের পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। **তাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য থাকবে না এবং থাকবে না কোন হিংসা বিদ্বেষ। তাদের হৃদয় একই হৃদয়ের ন্যায় হবে(অর্থাৎ পুরুষের একাধিক স্ত্রীর জন্য জান্নাতে নারীদের মধ্যে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হবে না)।** তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে।
.
[গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
হাদিস নম্বরঃ ৬৮৮৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
source - http://www.hadithbd.com/share.php?hid=19211]
.
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে নারীরা জান্নাতে কী কোনো সঙ্গী পাবে না? এর উত্তর হল, হ্যাঁ, তারাও উত্তম পুরুষ সঙ্গী পাবে।
আল-কোরআন, ২:২৫ এর ব্যাখ্যায় ইমাম আবুল আলা মওদূদী বলেন:
"আর হে নবী, যারা এ কিতাবের ওপর ঈমান আনবে এবং(এর বিধান অনুযায়ী) নিজেদের কার্যধারা সংশোধন করে নেবে তাদেরকে এ মর্মে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য এমন সব বাগান আছে যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাধারা ৷ সেই বাগানের ফল দেখতে দুনিয়ার ফলের মতই হবে ৷ যখন কোন ফল তাদের দেয়া হবে খাবার জন্য, তারা বলে উঠবেঃ এ ধরনের ফলই ইতিপূর্বে দুনিয়ায় আমাদের দেয়া হতো। তাদের জন্য সেখানে থাকবে পাক- পবিত্র স্ত্রীগণ[২৭] এবং তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।" (আল-কোরআন, ২:২৫)
.
[২৭] মূল আরবী বাক্যে 'আযওয়াজ' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এটি বহুবচন ৷ এর একবচন হচ্ছে 'যওজ'৷ এ অর্থ হচ্ছে 'জোড়া'৷ এ শব্দটি স্বামী ও স্ত্রী উভয় অর্থে ব্যবহার করা হয় ৷ স্বামীর জন্য স্ত্রী হচ্ছে 'যওজ' ৷ আবার স্ত্রীর জন্য স্বামী হচ্ছে 'যওজ' ৷ তবে আখেরাতে 'আযওয়াজ' অর্থাৎ জোড়া হবে পবিত্রতার গুণাবলী সহকারে ৷ যদি দুনিয়ায় কোন সৎকর্মশীলা না হয় তাহলে আখেরাতে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে ৷ সে ক্ষেত্রে ঐ সৎকর্মশীল পুরুষটিকে অন্য কোন সৎকর্মশীলা স্ত্রী দান করা হবে ৷ আর যদি দুনিয়ায় কোন কোন স্ত্রী হয় সৎকর্মশীলা এবং তার স্বামী হয় অসৎ তাহলে আখেরাতে ঐ অসৎ স্বামী থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে কোন সৎপুরুষকে তার স্বামী হিসেবে দেয়া হবে ৷ তবে যদি দুনিয়ায় কোন স্বামী-স্ত্রী দু'জনই সৎকর্মশীল হয় তাহলে আখেরাতে তাদের এই সম্পর্কটি চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সম্পর্কে পরিণত হবে ৷
.
(তাফহীমুল কুরআন/সূরা বাকারা এর আয়াত নং ২৫ এর তাফসির হতে বিবৃত)
.
.
তবে কেন সরাসরি কোথায় বলা হয়নি যে, মুমিন নারীরা জাান্নাতে মুমিন পুরুষ পাবে? এর কারণ তাদের মনস্তত্ত্বটা জটিল, এটা পুরুষের মত সহজ নয়। পুরুষের চাহিদাটা সোজা সাপটা, নারীর প্রতি কামনা, যা তার মনে আবেগ আর আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। কিন্তু নারীর চিন্তা সোজা সাপটা না, তাদের অন্তরটা বক্র, অর্থাৎ স্থির ভাবে তারা কোনো কিছু বলবে না, যেমন "হ্যাঁ"-কে "না", আবার "না"-কে "হ্যাঁ" বলা ইত্যাদি, এক জিনিস দিয়ে অন্য জিনিসকে বোঝানো ইত্যাদি। তাই কামনার দিক দিয়েও তাদের অন্তরটা জটিল হবে, এটাই স্বাভাবিক, যখন আপনি দেখছেন, কোনো মেয়ে আপনার সাথে মেলামেশা করে হাসি তামাশা করছে, তখন পুরুষ হিসেবে আপনি এটাই ধরে নেবেন যে, সেই মেয়েটা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে, আর আপনিও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বেন, এটাই পুরুষের মনস্তত্ত্ব। কিন্তু সেই মেয়ে কিন্তু আপনার প্রতি আদৌ ততটা আকৃষ্ট হয় নি যতটা আপনি ভাবছেন; কারণ পুরুষের মত নারীর কামনা হঠাৎ করে আসে না, তারা সব সময় শারীরিক কামনাও চায় না, যেটা পুরুষ চায়, তাই আল্লাহ আমাদের মানসিক বিষয়টা ভালোই জানেন, এজন্য কোরআনে হুর এর উদাহরণ দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা শুধু নারীর কথাই বলেছেন যারা পুরুষের সঙ্গী হবে জান্নাতে, কারণ এটাই পুরুষের সোজা সাপটা ইচ্ছা, কিন্তু নারীদের সঙ্গীর কথা সরাসরি বলেন নি, কারণ তারা পুরুষের মত এরকম সোজা সাপটা না হওয়ায় সব সময় এরকম শারীরিক কামনার পিছনে তাদের অন্তর আসক্ত হয় না, তারা নিজেরা কী চায়, এটা অনেক সময় তারা নিজেরাও ভালো করে প্রকাশ করে উঠতে পারে না, তাই হাদিসে শুধু এটুকু বলাই আল্লাহর রাসূলের পক্ষে যথেষ্ট যে, জান্নাতে নারীরা এমন কিছু পাবে, যা তাদের চোখ দেখেনি, হৃদয় কল্পনা করেনি, অর্থাৎ, যা তারা আশা করে, তার থেকে অনেক বেশি তারা পাবে।
.
"আবূ বকর ইবনু আবী শায়বা ও আবূ কুরায়ব (অন্য সনদে) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব জিনিস তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং যা কোন মন কখনো কল্পনাও করেনি। এগুলো আমি তোমদের জন্য জমা করে রেখে দিয়েছি। এসব ছাড়া আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছু দেখিয়েছেন তা তো আছেই। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, “কেউই জানেনা তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুকায়িত রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।” (সূরা সাজদাঃ ১৭)।"
.
[গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
হাদিস নম্বরঃ ৬৮৭৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
source - http://www.hadithbd.com/share.php?hid=19196]
.
নারীর এই বক্র স্বভাব কোনো দোষ বা গুণ নয়, আপনি পুরুষ হিসেবে আপনার জায়গায় থেকে এটা ভাবছেন যে নারীর এই স্বভাবটা ভালো নয়, কিন্তু কোনো মেয়ের জায়গায় থাকলে এটাকে আপনি সাধারণ ব্যাপারই ধরতেন, আর মেয়ে হিসেবে তখন পুরুষের সোজা সাপটা আচরণগুলো তখন আপনার চরিত্রের সাথে মিলত না, তাই আমি এই বিষয়টাকে পরীক্ষা হিসেবেই দেখি, নারী-পুরুষ একে অপরের জন্য পরীক্ষা।
"...হে লোক সকল! আমি তোমাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে কি? তোমার রাব্ব সব কিছু দেখেন।"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ২৫:২০)
.
এই প্রসঙ্গে আমি আরও দুটি হাদিসের রেফারেন্স দিচ্ছি।
.
"আমর আন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহিমাহমাল্লাহ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের একটি হাড় দিয়ে। সে কখনো তোমার জন্য কোন নিয়মতান্ত্রিকতায় স্থির থাকবে না। সুতরাং তুমি যদি তাকে দিয়ে উপকৃত হতে চাও তবে তার বক্রতা অবশিষ্ট রেখেই তাকে দিয়ে উপকৃত হতে হবে। আর তাকে সোজা করতে গেলে তুমি তাকে ভেঙ্গে ফেলবে- আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা অর্থ হল তাকে তলাক (তালাক) দেয়া।"
.
(গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৮। দুধপান (كتاب الرضاع)
হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih))
.
.
"ইসহাক ইব'ন নসর (রহঃ) ... আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন আপন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সে ভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওসীয়াত করা হল নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার।"
.
(গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৪৮০৭
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih))
.
.
.
[2] জান্নাতের রমণীগণ যে পবিত্র হবে তা বোঝা যায় এই আয়াত থেকে:
.
فِيهِنَّ قَٰصِرَٰتُ ٱلطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَآنٌّ
.
"সে সবের মাঝে রয়েছে বহু আনত নয়না; যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বিন স্পর্শ করেনি।"
.
[মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৫৫:৫৬]
.
এক্ষেত্রে পূর্বে উদ্ধৃত হাদিসটিও দ্রষ্টব্য:
.
"মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ হচ্ছে (সে সব হাদীস) যা আবু হুরায়রা (রাঃ) আমাদের শুনিয়েছেন,এভাবে তিনি কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করেন। এর থেকে একটি হল এই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দলটি প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় দীপ্তিমান হবে। সেখানে তারা থুথু ফেলবে না, নাক ঝাড়বেনা এবং পায়খানাও করবে না। তাদের বরতন এবং চিরুনিসমূহ স্বর্ণ এবং রৌপ্য নির্মিত হবে। তাদের ধুপদানীগুলো হবে অগর কাঠের। তাদের ঘাম হবে মিশক এর ন্যায় সুঘ্রাণযুক্ত।
তাদের প্রত্যেকেরই দু'জন করে এমন স্ত্রী থাকবে যে, সৌন্দর্যের কারণে গোশতের উপর থেকে তাদের পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য থাকবে না এবং থাকবে না কোন হিংসা বিদ্বেষ। তাদের হৃদয় একই হৃদয়ের ন্যায় হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে।
.
[গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
হাদিস নম্বরঃ ৬৮৮৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)]
.
জান্নাতের আরও বিস্তারিত বিবরণ জানতে এখানে ভিজিট করুন:
কুরআনের আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম
.
.
আহমেদ আলি সিরিজ/পবিত্র হুর বনাম পতিতা অপ্সরা
Comments
Post a Comment