সমকামিতা আর উভকামিতায় বিশ্বাসী আমার এক (তথাকথিত) হিন্দু বন্ধুর সাথে এক মজার কথোপকথন হল। আল্লাহ এর রহমতে তার দাবিগুলোর জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। হয়ত সে আমার উত্তর গুলো মেনে নেবে না কখনই যদি আল্লাহ হেদায়েত না দেন। তবে আমার মুমিন ভাই ও বোনদের জন্য আমি সেই কথোপকথন খানা এখানে সংশোধিত আকারে পোস্ট করছি।
.
.
সেই ব্যক্তির মতে,
.
"Prothomoto, Ami murti pujo prefer kori, murti na thakle odrishyo vogoban er proti prayer korte asubidha hoy ektu,
Dyitiyoto, tui ekbar group e bolchili meye ra bibaher por barir kaj samlabe, baire beshi kaj korle barir onyo der time ditw parbw na, ajkal 80% shikhhito meye ra chakri kore, Tara bibahito hole maternity leave er por abr kaj e join Kore, baba maa 2 Jon ei job korle grandparents ra bachha samlan. R bachha samlanor dayitto baba o maa er soman hoya uchit, ta hole chele ra bibaher por jodi kaj korte pare, meye ra parbe na kano?
Tritiyoto, nari purush er obadh melameshar khetre amr opinion holo: sobai vabe , pre marital relation manei physical somporko, kintu sob khetre na, anek chele meye Mon er dik theke tan onuvab Kore, Tara bibaher age kokhonoi sharirik somporke joray na, nirdishto somoy biye Kore, tai nari purush free mixing mane sudhui je physical contact, seta noy
Homosexual relationship er khetre tui je reference diyechili, Tara(specially men homo) anal sex Kore jar fol e STD, Aids ityadi hoy, ajkal heterosexual couples rao egulo Kore, hetero physical contact er jonyeo aids hoy, tai eta mante parlm na
R heterosexual ra bachha er jonmo dite pare, tai onyo der mot e , bibaher udhyeshyo sudhu matro population barano hole homosexuality ban kora jay, but Ami mone kori na bibaher ekmatro aim population barano, 2 Jon manush er Mon er mil howa, sarajibon er jonyo ekjon bondhu, songi pawa ityadi, r ekhn world er population je vabe bere choleche, 2-3 Jon gay marriage korle society er problem hobe na, population na baranoi valo, tai Ami homosexual, bisexual der support kori"
.
.
.
=> আমার জবাবটা নিচে দেওয়া হল:
.
In the name of Almighty, the most gracious, the most merciful.
.
Argument টা ভালোই। তবে আমার কথা গুলো হয়ত পছন্দ হবে না, একমতও হবি না, কিন্তু তারপরও সত্যের অনুসারী হিসেবে আমার দায়িত্ব সত্যটা অপরকে জানানো। তাই আমি তোর পয়েন্টগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
.
আমি প্রথম পয়েন্টটার উত্তর দিচ্ছি প্রথমে, এরপর ধীরে ধীরে বাকি গুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
.
প্রথম পয়েন্টটা ছিল, মূর্তি পূজা নিয়ে। এটা নিয়ে বেশ অনেক দিন আগে আমি দুই part এর একটা লেখা লিখেছিলাম। আমি এই মেসেজ গুলোর শেষের দিকে কপি করে দিয়ে দিচ্ছি সেটা।
[এই পোস্টে আমি সেই দুই part এর লেখা দুটোর link দিয়ে দিচ্ছি:
.
১) Part 1:
http://uniqueislamblog.blogspot.com/2017/06/why-islam-prohibits-worship-by-forms.html?m=1
.
২) Part 2:
http://uniqueislamblog.blogspot.com/2017/06/why-islam-prohibits-worship-by-forms_13.html?m=1]
.
তবে এখানে শুধু কয়েকটা বিষয় একটু বলে দেই।
হিন্দুধর্ম এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হল মোক্ষলাভ যা ইসলাম স্বীকার করে না, এটা নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু লিখতে হবে, এখানে শুধু এটুকু বলি, হিন্দুধর্ম অনুসারে ঈশ্বর নিজের দেহের অংশের রূপান্তর ঘটিয়ে সকল কিছু তৈরি করেছেন। এর অর্থ হল, যেহেতু মহাবিশ্বের সব কিছুই ঈশ্বর এর অংশ, তাই এই মহাবিশ্বের কোনো সাকার জিনিসের উপাসনা করলে ঈশ্বরেরই উপাসনা করা হবে, আর সাকার জিনিসের মায়া অতিক্রম করলে নিরাকার উপাসনার পথ আসবে, আর এই প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে মোক্ষলাভ ঘটবে।
.
এখানে, বলে রাখি, ইসলাম কিন্তু বলছে না, সৃষ্টিকর্তা নিরাকার, কোথাও এমন কথা বলা নেই, সৃষ্টিকর্তা সর্বদাই সাকার, কিন্তু সেই সাকার রূপ কোনো কিছুর সমতুল্য নয়। এর অর্থ হল, আমরা কোনো কিছু দিয়ে এই পার্থিব জগতে তাকে পরিমাপ করে তার অবয়ব আমাদের চোখের মাধ্যমে আমাদের brain এ ধারণ করতে পারব না। সামান্য x-ray দেখতে আমরা পারি না, তাপশক্তি, চৌম্বকশক্তি দেখতে পারি না, কারণ আমরা শুধু পদার্থ দেখতে পারি, তাও যেগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি না, সেগুলো কোনো না কোনো ভাবে মাপতে আর তুলনা করতে পারছি। তাহলে যা তুলনা করতে পারছি, তারও সব দেখতে পাচ্ছি না, তাহলে যে সৃষ্টিকর্তা সমস্ত তুলনার উর্ধ্বে, তাকে কী করে আমরা দেখতে সক্ষম হব??
তবে, সৃষ্টিকর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা আমরা ইসলামে বিশ্বাস করি যে, পরকালে প্রকৃত ধার্মিক সত্য বিশ্বাসীকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হবে যাতে করে সে তার প্রতিপালককে দেখতে পারে এবং পরকালেই একমাত্র আমরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পারব।
পরীক্ষার হলে তোমার বাড়ির private sir কে দেখতে পাবে না, তাকে দেখতে পাবে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে। একই ভাবে, ইসলাম অনুযায়ী এই পার্থিব জীবন সীমিত সময়ের একটা পরীক্ষা আর পরকালই চিরস্থায়ী, যে সময়ে এই জীবনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া ও সৃষ্টিকর্তা অনুমতি দিলে তাঁকে দেখা সম্ভব হবে।
.
এই পৃথিবীর কেউ এখনও পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পারে নি, যে সকল হিন্দু যোগী দাবি করে যে, তারা ঈশ্বরকে দেখেছে, তারা আসলে আত্মাকে অনুভব করেছে মাত্র, কারণ হিন্দুধর্ম অনুযায়ী ঈশ্বর আসলে নিরাকার, তাহলে নিরাকার কোনো কিছুকে চোখে দেখা সম্ভব নয়, বরং তা কেবল উপলব্ধি করাই সম্ভব, আর এরূপ উপলব্ধি আমাদের কাছে একটা পথভ্রষ্ট পথ। কেন?
কারণ যদি সব কিছু ঈশ্বরের অংশ হয়, তাহলে ঈশ্বর নিজের অংশের রূপান্তরই কেবল করতে পারেন, শুন্য থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার নেই। আর কোরআন ঠিক এই জায়গাটাতেই বলছে যে, যাদের তোমরা উপাসনা করো, তারা কিছুই সৃষ্টি করে নি, তাই একমাত্র সত্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি নত হও, যিনি শুন্য থেকে সকল কিছু নতুন ভাবে সৃষ্টি করেছেন, নিজের অংশের রূপান্তর করে কোনো কিছুর উদ্ভব ঘটান নি।
.
আর তাই আমরা বলি, ইসলামই হল প্রকৃত সত্য পথ, যা শিক্ষা দেয়, কীভাবে সত্য সৃষ্টিকর্তাকে সত্য উপায়ে স্মরণ করা যায়। তুমি বাতাস দেখতে পাও না, কিন্তু বাতাস যে আছে, তার প্রমাণ পাও, এটাই যথেষ্ট।
একইভাবে সৃষ্টিকর্তাকে আমরা দেখতে না পেলেও কোরআন নামক গ্রন্থটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সৃষ্টিকর্তা আছেন, এই কোরআনেই সমস্ত মানুষকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে যে, যদি বিশ্বাস না হয় যে, এটা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ হতে, তবে মাত্র একটি সূরা অর্থাৎ অধ্যায় রচনা করে নিয়ে এসো, যা আজ পর্যন্ত সঠিক ভাবে করতে কেউ সক্ষম হয় নি, আর ভবিষ্যতে 'ইন শা আল্লাহ'(সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়) তা কেউ পারবেও না। এরকম অসংখ্য নিদর্শন যা আমাদের জন্য যথেষ্ট এটা যাচাই করতে যে, আমাদের একমাত্র প্রতিপালক হলেন আল্লাহ।
আর ইসলামের এই পথে কেউ প্রবেশ করলে প্রত্যেক উত্তম কাজের শুরুতে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে বলে "বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম" (পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি); কাজ শেষ হলেও সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে বলে "আল-হামদুলিল্লাহ"(সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার)।
এমনকি সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তেই সৃষ্টিকর্তাকে আমরা স্মরণ করি তাঁর নির্দেশগুলো পালনের মাধ্যমে যেহেতু "মুসলিম" শব্দের অর্থই হল "যে নিজের ইচ্ছাকে সৃষ্টিকর্তার নিকট সমর্পণ করে", নামাজ মানে শুধু প্রার্থনা নয়, এটাতে আছে প্রার্থনার পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তার গুণ-কীর্তন, নবীজীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সত্য পথের নির্দেশনার অনুসরণ, মানুষের ভেদাভেদগুলো ছিন্ন করে সমস্ত মুসলিম গোষ্ঠীর একত্ববাদ এর নিদর্শন, শারীরিক ব্যয়াম, নিয়মানুবর্তিতা এবং আরও অনেক কিছু। তাই সালাত বা নামাজ এর পদ্ধতিকে এক কথায় বলা যেতে পারে "Way of programming", এসব কিছুর কোনোটাতে ছবি বা মূর্তির ব্যবহার অর্থহীন, পথভ্রষ্টতা, সত্য হতে মিথ্যার অন্ধকারে প্রবেশের রাস্তা, তাই আমরা পার্থিব সাকার উপাসনাকে তীব্রভাবে বর্জন করি, কারণ ইসলামই বিকৃত পথে সংশোধন করে দেখিয়েছে, কীরূপে সত্য পথের অনুসরণ করে চলতে হয়।
.
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْاَنْصَابُ وَالْاَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطٰنِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
.
"হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার।"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৫:৯০)
.
.
.
এবার second point টায় আসি যেটা হল নারীদের বাইরে কাজ করা নিয়ে। এখানে তুই অনেক গুলো যুক্তি দেখিয়েছিস, তাই আমি এক একটা অংশ ধরে ধরে বলছি।
.
Your said:
"Dyitiyoto, tui ekbar group e bolchili meye ra bibaher por barir kaj samlabe, baire beshi kaj korle barir onyo der time ditw parbw na"
.
My Response:
আমি এটাও last এর দিকে বলেছিলাম, খেয়াল করিস নি হয়ত যে, নারীদের বাইরে কাজের অনুমতি আছে, তবে সেক্ষেত্র কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে।
.
.
You said:
ajkal 80% shikhhito meye ra chakri kore, Tara bibahito hole maternity leave er por abr kaj e join Kore,
.
My response:
সমস্যা নেই এখানে কোনো। তবে এখানে বিষয়টা গর্ভধারণ আর সন্তান প্রসব করা না। এখানে দেখতে হবে যে, মা পরিবারের বিষয়গুলো ঠিক ভাবে সামলাতে পারছে কিনা। একজন নারী প্রফেসর, ডাক্তার, শিক্ষিকা হলেও কোনো আপত্তি নেই। তবে এখানে মূল বিষয়টা হল, ইসলামিক পন্থা অবলম্বন করা।
.
.
You said:
baba maa 2 Jon ei job korle grandparents ra bachha samlan.
.
My response:
এখানে দেখতে হবে পরিবার এর বিষয়গুলোতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা। মা বাইরে কাজ করলে সন্তানকে সময় দিতে পারবে না, এমনটা যে সব সময় হবে, সেটাও ঠিক না, কারণ সন্তান যদি বেশির ভাগ সময় স্কুল, কোচিং এ দৌড়ে বেড়ায়, তবে মা দিনের শেষে বাড়ি ফিরেও সন্তানকে আর স্বামিকে সঙ্গ দিতে পারে। তবে আমি general case এর কথা বলেছিলাম যে আজকালকার মেয়েরা পরিবারের থেকে নিজেদের career, job এগুলোকে গুরুত্ব দেয় বেশি, পরিবার, স্বামী, সন্তান তাদের কাছে optional হয়ে উঠছে দিন দিন, স্বামীর প্রতি প্রেম নেই, প্রেম আছে অফিসের boss, boy-friend এদের প্রতি বেশি, আজকাল তাই বিয়ে, আর তার কিছু দিন পর divorce, আধুনিকতার দোহাই দিয়ে এসব অশ্লীলতা দিন দিন যত বাড়ছে, এই divorce rate, rape case, murder case ও দিন দিন ততই বেড়ে চলেছে।
ইসলামিক উপায়ে তাই বাইরে কাজ করার ক্ষেত্রে হিজাব পালন করতে হবে, আর নারী পুরুষ অবাধে মেলামেশার সুযোগ আছে এমন জায়গা বর্জন করতে হবে। তুই নারী পুরুষের মেলামেশার পক্ষে কিছু বলেছিস পরে, সেগুলোর ব্যাপারে পরে বলছি।
.
.
You said:
R bachha samlanor dayitto baba o maa er soman hoya uchit, ta hole chele ra bibaher por jodi kaj korte pare, meye ra parbe na kano?
.
My response:
কীভাবে সমান হয়?
মা গর্ভধারণ করে, বাবা কি করে? না।
মা এর বুকের দুধ বাচ্চা শিশু পান করে, বাবার বুকের দুধ হয় কি?
এখানে ইসলামে নারী ও পুরুষকে আমরা সমান বলি না, বরং আমরা বলি নারী ও পুরুষ সমতুল্য। নারী ও পুরুষের পরস্পরের অবস্থান স্বতন্ত্র। তাদের কর্তব্য ও অধিকারও স্বতন্ত্র।
একজন নারীর ঋতুস্রাব ঘটে, পুরুষের ঘটে না, এবার তাহলে কি আমরা বলব যে, পুরুষেরও এরকম হতে হবে, মানি না, মানব না! হা হা হা।
প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষ, নারীর তুলনায় শারীরিক ভাবে অধিক শক্তসামর্থ্য, আর নারী কোমল, সংবেদনশীল। কিছু ব্যতিক্রম থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা স্বাভাবিক প্রকৃতি নয়, স্বাভাবিক প্রকৃতি অনুযায়ী, নারী ঘরের কাজ সামলাতে বেশি পারদর্শী আর পুরুষ বাইরের কাজ।
নারী-পুরুষ পরস্পরের কাজ ভাগাভাগি করে নিতে পারে, কিন্তু ইসলাম তার একটা সীমা নির্দেশ করে দিয়েছে। নারী বাইরে কাজ করতে পারবে, এর অর্থ এটা নয় যে, বাইরে কাজ করাটাকেই সর্বোত্তম বলা হয়েছে। নারীর প্রধান দায়িত্ব গৃহের কাজ সামলানো, সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনে সে ব্যর্থ হলে তার জন্য বাইরে গিয়ে কাজ করা তার জন্য স্বাভাবিক ভাবে অনুমোদিত নয়। মনোস্তত্ত্ব বিদ্যা বলছে যে, যে সকল শিশু তার মায়ের সাহচর্য শৈশবকালে সঠিক ভাবে পায় না, তারা পরবর্তীতে মনোস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভোগে। আজকাল বিশেষ করে পশ্চিমা সমাজে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মা বাবা দুই জনেই বাইরে চলে যাচ্ছে কাজ করতে, আর সন্তান অন্য কারও কাছে মানুষ হচ্ছে, বিশেষ করে বাড়ির কাজের লোকের কাছে মানুষ হচ্ছে। আর তুই যে বললি grandfather grandmother দের কাছে বাচ্চা থাকবে এটা কত জায়গায় পাবি? আজকাল ধীরে ধীরে ছোট পরিবার তৈরি হচ্ছে যেখানে শুধু husband আর wife, বাড়িতে কাজের লোক, এটাই আজ অহরহ দেখা যাচ্ছে, আর এর ওপর দাদু দিদিমা, ঠাকুরদা ঠাকুমা থাকলেও মায়ের জায়গা কেউ পূরণ করতে পারে না। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে আমরা এর পরিণাম দেখতে পাচ্ছি। Mother Teresa তার Noble Lecture দিতে গিয়ে এই সমস্যাটারই কথা তুলে ধরেছিলেন যে, পশ্চিমা সমাজে সন্তানরা তাদের পিতা মাতার স্নেহ ভালোবাসা থেকে ক্রমাগত বঞ্চিত হচ্ছে, আর মা বাবার সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা মা বাবার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, তারা হয়ে যাচ্ছে drung addicted, চলে যাচ্ছে prostitution, হয়ে পড়ছে smuggler, criminal.
ইসলাম তাই এগুলোকে সমর্থন করে না, ইসলামে তাই নারীর প্রকৃত কর্মস্থাল তার গৃহ, বাইরে কাজটা শর্তসাপেক্ষ। এটাই নারীর জন্য প্রকৃতিসঙ্গত, আর এটাই সমাজের জন্য কল্যাণকর।
.
.
.
এবার তৃতীয় পয়েন্টে আসি, অবাধ মেলামেশা নিয়ে।
.
You said:
Tritiyoto, nari purush er obadh melameshar khetre amr opinion holo: sobai vabe , pre marital relation manei physical somporko, kintu sob khetre na, anek chele meye Mon er dik theke tan onuvab Kore, Tara bibaher age kokhonoi sharirik somporke joray na, nirdishto somoy biye Kore, tai nari purush free mixing mane sudhui je physical contact, seta noy
.
My response:
তাই নাকি! হাহাহা। এত ঢপ আর দিস না! এর চেয়ে যদি বলছিস, আমি গতকাল এলিয়েন দেখেছি, তাও হয়ত বিশ্বাস করে নেওয়া যেত।
.
এই নে, Wikipedia মামাই দ্যাখ কী বলে,
.
"According to the US Centers for Disease Control and Prevention (CDC), in the year 2007, *35% of US high school students were currently sexually active and 47.8% of US high school students reported having had sexual intercourse."*
.
(source - https://en.m.wikipedia.org/wiki/Adolescent_sexuality_in_the_United_States)
.
তাহলে ৩৫% US এর high school এর ছেলে মেয়েরা যৌনতায় সক্রিয়, আর ৪৭.৮% school এর ছেলে মেয়েরা যৌন ক্রিয়ায় রত।
.
এবার চল India এর কাহিনিটা দেখি।
.
.
"Premarital Sex and Age at First Sex Among Collegiate Men in Pondicherry, India - Cross Sectional Study" এর research paper বলছে,
.
*"The subjects were having pre marital sex with their dating partner (lover) is higher in number among men aged less than 20 years.*
.
The findings are similar to the study conducted in Delhi urban area. The opportunity of having premarital sex with lover, commercial sex worker and other women *was high among the group of 20-21 and 24-25 years.*
.
*It reflects the tendency of certain group of men could not control their sexual urge.*
.
*Similarly the degree and diploma students had pre marital sex was higher in proportion compared to other courses.*
.
*The reason* would be their leisure activities, *free mixing with opposite partners* and reciprocating to the sexual advances shown by relatives and other women.
.
The prevalence of *pre marital sex* was *least among the medical course students* reflecting the probablility of fear about STD, HIV, other diseases and social problems. Residential status reflects the scope of exposure to the environment suitable to involve in sexual activity.
.
*The rural residents had higher number of premarital sex compared to urban area residents which is similar to study conducted in Pune.*
..............
........young men who enjoy more freedom find it easier to explore sex before marriage including the services of commercial sex workers. It is supported in this study that men who are not staying with parents had their first sex at earlier age with relative or commercial sex worker. This age is found to be similar to the African study in 2009. It was observed that old sex partners play an important role in sexual initiation among young
men.
.
The age at first sex was observed to be a typical pattern among married men and during pre marital period was nearly 20 years.
.
*The global pattern of mean age at first sex among men was observed to be 16 years in Brazil, Peru, Kenya, Zambia, Iceland, Portugal and 18 years in UK and 19 years in Portugal Matt Rosenberg.*
.
*In India it is observed
21 years in Maharashtra, 15-16 years in different parts of India...."*
.
(source - http://saspublisher.com/wp-content/uploads/2014/09/SAJB-29618-622.pdf)
.
তাহলে, ২০ বছরের নিচের বয়সের ছেলে মেয়েরা কলেজ থেকেই শারীরিক সম্পর্ক শুরু করে দেয়, আর তুই বলছিস, মনের মিলের কথা!! ওসব অযুহাত দিয়ে সত্য আটকে রাখা যায় না।
.
এই আকাজ কুকাজে যে কত ভারতীয় জড়াচ্ছে এই দ্যাখ Hindustan Times এ তার একটা নমুনা:
.
"The number of youngsters who accept that they are in relationship also varies with the affluence of the city they come from.
.
While their numbers are higher in cosmopolitan Delhi (67%), Mumbai (63%), Kolkata (67%) or Chandigarh (67%), a traditional Jaipur (28%), Indore (32%) and Chennai (35%) seems to have a stymieing effect. The national average is 49%....."
.
(source - http://m.hindustantimes.com/india/63-want-to-marry-virgins-but-majority-approve-of-premarital-sex/story-A79JdagFgmswYwwFIxyEkO.html)
.
.
তোর শেষ টপিকটা ছিল সমকামিতা নিয়ে। তুই সেখানে বিভিন্ন দিক দেখালি।
.
এখানে বলে রাখি যে, কোনো একটা বিষয়কে কোনো একটা মানদণ্ড দিয়ে বিচার করে ভালো খারাপ নির্ণয় করতে হবে। ইসলামে বিয়ের উদ্দেশ্য জনসংখ্যাই শুধু বাড়ানো না, বরং ইসলামের জন্য সমাজে এক একটা সম্পদ তৈরি করা। যতই চেষ্টা করিস না কেন, জনসংখ্যা কমাতে আর পারবি না, কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, কিন্তু কমবে না, ইসলাম এখানে যাকাত এর পথ দেখায়, যার মাধ্যমে ধন সম্পদ সমাজের সকলের মধ্যে বণ্টিত হয় আর দারিদ্র্যের অবসান ঘটে।
.
কিন্তু এসব বলে কোনো লাভ নেই, কারণ সমকামিতা আর উভকামিতায় আসক্তরা কখনই মানসিক শান্তি পায় না, তাদের অন্তর ছুটতে থাকে ভোগ বিলাসিতা আর বিকৃত রুচিবোধের পিছনে যেহেতু সমকামিতা জেনেটিকাল না, বরং পরবর্তীতে অভ্যাসের মাধ্যমে এই বিকৃত আচরণ মানুষ আয়ত্ত্ব করে।
.
তাই এটা যে সঠিক না ভুল, সেটা বলতে গিয়ে এটার শারীরিক মানসিক ক্ষতির কথা বলে সময় নষ্ট না করে আমি বৃহত্তর ক্ষতির দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি যা একই সাথে সমকামিতা, ব্যভিচার ইত্যাদি ভালো না খারাপ তা তুলে ধরবে।
.
বর্তমানের আধুনিক সমাজে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
.
তাই এটাকে ভালো বা মন্দ হিসেবে বিচার করতে প্রথমে আসুন আমরা সকল ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন উপেক্ষা করি।
.
i. এখন যদি ব্যভিচার, সমকামিতা সঠিক হয়, তবে যদি কোনো জুড়ি(দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত হয় জুড়ি) এরূপ শারীরিক ক্রিয়া সম্পাদন করে, তবে সেটি সঠিক।
.
ii. যদি অন্য আরেকটি জুড়ি এই একই কাজ করে, তবে সেটিও সঠিক।
.
iii. তাই উপরের এই দুটো পয়েন্টের প্রেক্ষিতে, যদি দুটি জুটি তাদের পরস্পরের মধ্যে তাদের সঙ্গীর আদান-প্রদান করে এবং এরূপ শারীরিক ক্রিয়া সম্পাদন করে, তবে সেটিও সঠিক হবে।
.
iv. তাহলে উপরের পয়েন্টগুলোর ওপর ভিত্তি করে, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় অন্য যেকোনো ব্যক্তির সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তবে সেটাকেও সঠিক বলা হবে।
.
এখন যদি এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে, তবে বিবাহিত দম্পতির পরিমাণ এবং উত্তম ও সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন শিশুর পরিমাণ কমতে শুরু করবে। তখন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সমাজবিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক, উত্তম নেতা, উত্তম জনগণ প্রভৃতির পরিমাণ কমতে থাকবে এবং সমাজে ভাঙন দেখা দেবে। ফলে মানব সভ্যতা ধীরে ধীরে ধ্বংসমুখে পতিত হবে এবং এই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।
.
আর এই অশুভ প্রক্রিয়াকে থামানো সম্ভব হবে যদি আমরা এর গোড়াতে থাকা সমস্যাটির সমাধান করি যা এরূপ ধ্বংসের জন্য দায়ী ছিল। আর তা হল সকল রকম বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হতে দূরে থাকা।
.
তাহলে এই মানদণ্ডের সাপেক্ষে আমরা বলতে পারি, সমকামিতা আর উভকামিতা সঠিক নয়, কেউ কোনোভাবে লাভবান হোক বা না হোক, বৃহত্তর সার্থের বিচার এসকল বিষয় অনুচিত আর একারণেই ইসলাম একে চিহ্নিত করছে অশালীনতা, অপবিত্রতা হিসেবে।
.
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنٰٓى اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةًؕ وَسَآءَ سَبِيْلًا
.
"তোমরা অবৈধ যৌন সংযোগের নিকটবর্তী হয়োনা, ওটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।"
.
(মহাগ্রন্থ আল- কোরআন, ১৭:৩২)
.
May Almighty forgive if I make any mistake. May Almighty guide us to the right way. Ameen.
.
.
[উল্লেখ্য যে, এই লেখাটা প্রথম পোস্ট করার বেশ কিছু দিন পর সেই হিন্দু বন্ধুটি আল্লাহ এর রহমতে সমকামিতা আর উভকামিতার সমস্যা থেকে উঠে আসতে সক্ষম হয়। তবে এখনও সে মূর্তিপূজাতে বিশ্বাসী। মুসলিম ভাই ও বোনদের নিকট নিবেদন যে, আপনারা এই হিন্দু ব্যক্তিটির জন্য দুয়া করুন যেন সে ইসলামের সত্যটা স্বীকার করে ইসলামের পথে ফিরে আসে।]
.
.
আহমেদ আলি সিরিজ/এক হিন্দু ব্যক্তির অভিযোগের যুক্তিখণ্ডন
Comments
Post a Comment