Skip to main content

এক হিন্দু বোনের প্রশ্নের উত্তর


ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এক হিন্দু বোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়ে আমায় মেসেজে সেটা পাঠালো। এর মধ্যে একটা অভিযোগের উত্তর দেওয়ার পর আমি সেটা সকলের উদ্দেশ্যে কপি করে এখানে দিলাম। আমার কোনোরূপ ভুল-ত্রুটির জন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
.
.
তোমার অভিযোগটা ছিল যে, নারীর অবস্থান পুরুষের নীচে।
দুটো রেফারেন্স দিয়েছে, কোরআন, ৪:৩৪, ২:২২৮।
চলো প্রথম রেফারেন্সটা দেখি।
.
"পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন, আর এজন্য যে, পুরুষেরা স্বীয় ধন-সম্পদ হতে ব্যয় করে।....."
(Al-Quran, 4:34)
.
এখানে বলে রাখি, আরবি ভাষায় কোরআন এর আয়াত অর্থাৎ লাইনগুলো থেকে বহুবিধ অর্থ করা যেতে পারে, কেবল মাত্র কিছু অনুবাদ দিয়েই তাই কোরআন এর পুরো মর্মার্থ অনুধাবন করা যায় না। তাই তো কোরআন এর থেকে যদি কেউ ভুল অর্থ গ্রহণ করে, তবে সে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেমনি যে সত্য আর সঠিক পথের আশায় সঠিক অর্থটা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়, আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় সে সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়।
.
উপরের আয়াত (কোরআন এর লাইনকে বলে আয়াত) দেখে মনে হচ্ছে যে, কোরআন মতে, পুরুষের মর্যাদা নারীর চেয়ে বেশি, তাই পুরুষের অবস্থান নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর আর এজন্য পুরুষ নারীর ওপর নিজের কর্তৃত্ব খাটাতে পারবে। এই ব্যাখ্যা পুরোপুরি সঠিক নয়। অনেক ইসলামিক ব্যাখ্যা আর বইতেও কিছুটা এরকম স্টাইলে বলা হতে পারে। তবে এখানে উদ্দেশ্যটা নারীকে ছোট করা না, নারীর কর্তব্যটাকে স্মরণ করানো। তবে এরকম বর্ণনাভঙ্গি অনেকের মনেই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। তাই চলো আমরা এই আয়াতটাকে একটু অন্য স্টাইলে দেখার চেষ্টা করি।
.
আমি অন্য একটা অনুবাদ দিচ্ছি, এই অনুবাদটা মুজিবুর রহমান এর করা।
.
"পুরুষেরা নারীদের উপর তত্ত্বাবধানকারী ও ভরণপোষণকারী, যেহেতু আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এই হেতু যে, তারা স্বীয় ধন সম্পদ হতে তাদের জন্য ব্যয় করে থাকে;...."
(An-Nisa' 4:34)
.
দেখো এখানে বলা হয়েছে, পুরুষ হল নারীর তত্ত্বাবধানকারী ও ভরণপোষণকারী, এর অর্থ হল পুরুষের কর্তব্য নারীকে রক্ষণাবেক্ষণ করা, তার প্রয়োজনগুলো পূরণে তাকে সাহায্য করা, তাকে নিরাপত্তা প্রদান করা, তার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে মর্যাদা প্রদান করা। একারণেই স্বামী যখন বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হয়, তখন এই দায়িত্বটা তার জন্য যেন একটা পরীক্ষাস্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়।
আর তাই এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে হলে কিছু বিশেষত্ব পুরুষের মধ্যে থাকতে হবে, নয়ত সে এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে না। আর এজন্যই আয়াতের পরের অংশে বলা হচ্ছে যে আল্লাহ পুরুষকে কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন যাতে করে সে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আয়াতের সেই অংশটা আবার দেখো-
"...আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন...."
.
এই আয়াতের আরেকটা অনুবাদ দেখো যেটা আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলি করেছেন,
.
"Men are the ***protectors and maintainers of women***, because Allah has given the ***one more (strength)*** than the other, and because they support them from their means......"
(An-Nisa' 4:34)
.
এখানে অভিযোগকারী আরেকটি রেফারেন্স দিয়েছে, কোরআন ২:২২৮। চলো দেখি সেটা কী বলছে।
.
আমি বয়ান ফাউন্ডেশন এর অনুবাদটা ব্যবহার করছি।
"...নারীদের রয়েছে বিধি মোতাবেক অধিকার। যেমন আছে তাদের উপর (পুরুষদের) অধিকার। আর পুরুষদের রয়েছে তাদের উপর মর্যাদা এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।"
(Al-Baqarah 2:228)
.
এখানে মনে হতে পারে যে, নারীর থেকে পুরুষের মর্যাদা বেশি। কিন্তু এখানে মর্যাদা বলতে এটা বোঝায় না যে, পুরুষ, নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। বিষয়টাকে বুঝতে ইমাম আবুল আলা মওদূদি এর ব্যাখ্যাটা দেখি চলো।
.
কোরআন, ৪:৩৪ আয়াত এর ব্যাখ্যাতে ইমাম আবুল আলা মওদূদি যথার্থই বলেছেন যা নিম্নরূপ:
"এখানে সম্মান ও মর্যাদা অর্থে শ্রেষ্ঠত্ব শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি যেমন সাধারণত আমাদের ভাষায় বলা হয়ে থাকে এবং এক ব্যক্তি এ শব্দটি বলার সাথে সাথেই এর এই অর্থ গ্রহণ করে। বরং এখানে এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তাদের এক পক্ষকে(অর্থাৎ পুরুষ) প্রকৃতিগতভাবে এমন সব বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী দান করেছেন যা অন্য পক্ষটিকে(অর্থাৎ নারী) দেননি অথবা দিলেও প্রথম পক্ষের চেয়ে কম দিয়েছেন। এজন্য পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় পুরুষই 'কাওয়াম' বা কর্তা হবার যোগ্যতা রাখে। আর নারীকে প্রাকৃতিক দিক দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, পারিবারিক জীবন ক্ষেত্রে তাকে পুরুষের হেফাযত ও তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত।"
(তাফহীমুল কোরআন)
.
এখানে কিছু বৈশিষ্ট্য যেটা পুরুষকে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে সেটা বোঝার জন্য কয়েকটা বিষয় দেখি চলো।
.
মনে করো একটা ২৩ বছরের মেয়ে রাত সাড়ে ১২টার সময় একটা নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আশেপাশে কেউ নেই, মেয়েটা সভ্য-ভদ্র ও খুব সুন্দরী এবং সে স্টাইলিশ ড্রেস পরে বান্ধবীর জন্মদিন থেকে বাড়ি ফিরছে। একটা ২৫ বছরের যুবক মেয়েটাকে দেখে তার পিছু নেওয়া শুরু করল, ছেলে মদ খেয়ে নেশার মধ্যে ছিল আর মেয়েটাকে দেখে সে যেন পাগলের মত হয়ে গেল। মেয়েটা বুঝতে পারল যে ছেলেটা তার পিছু নিয়েছে। এরপর বুঝতেই পাচ্ছ কী হতে যাচ্ছে!
.
এই মেয়েটার জায়গায় তোমায় নিজেকে বসিয়ে ব্যাপারটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করো দিদিভাই। এই মেয়েটার বদলে যদি ২৩ বছরের একটা যুবক ছেলে সেখানে থাকত, তবে সেই ছেলেটার বেলায় কী এমনটা হত? না। ২৩ বছরের মেয়েটার প্রতি মাতালটা এক ধরণের শারীরিক আকর্ষণ লাভ করে প্রধানত তার শরীর উপভোগ করার জন্য তার পিছু নিয়েছিল, কিন্তু মাতালটা ২৩ বছরের যুবকের পিছু নিলেও শারীরিক উপভোগ এর চিন্তা নিয়ে সাধারণত এগোবে না, বড়জোর ছিনতাই এর মত কোনো উদ্দেশ্যে এগোতে পারে।
.
এখানে দেখো, পুরুষের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেটা নারীর মধ্যে নেই। এর একটা দৃষ্টান্ত হল, প্রকৃতিগত দিক দিয়ে পুরুষের শারীরিক শক্তি নারীর থেকে সাধারণত বেশি। কিন্তু এর মানে এই না যে নারী অপেক্ষা পুরুষ শ্রেষ্ঠ। বরং পুরুষের অবস্থান ও নারীর অবস্থান স্বতন্ত্র এবং প্রত্যেকের প্রকৃতি অনুযায়ীই তাকে নির্দিষ্ট কর্তব্য দেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী তার তদুনুরূপ বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে। যেমন নারী গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারে, কিন্তু পুরুষের সে ক্ষমতা নেই, এখানে এটাই প্রকৃতি যেখানে সৃষ্টিকর্তা একেক জনকে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থানে একেক ভাবে পরীক্ষা করবেন, কারণ এই জীবনের সকল কিছুই পরকালের জন্য কেবলমাত্র একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। মহান সৃষ্টিকর্তা তাই ঘোষণা করছেন,
.
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, **তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম?** তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।"
(Al-Mulk 67:2)
.
অভিযোগকারী হয়ত পুরুষের মধ্যে কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যের দোহাই দিয়ে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, নারীর অবস্থান পুরুষের চেয়ে নীচে, কিন্তু অভিযোগকারীর চিন্তাধারা দিয়ে ইসলাম চলে না কারণ ইসলামে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য বা লিঙ্গভেদে কারও অবস্থান নির্ধারণ হয় না, বরং যেটা দিয়ে কারও অবস্থান নির্ধারণ হয়, সেটা হল "তাকওয়া" যা দিয়ে বোঝায় সত্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি সচেতনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধার্মিকতা ইত্যাদি। মহান স্রষ্টা ঘোষণা করছেন,
.
"হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার।
***তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন।***
নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।"
(Al-Hujurat 49:13)
.
অভিযোগকারী হয়ত তার ধর্মের চিন্তাধারাকে ইসলামের সাথে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কারণ হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, নারীর অবস্থান পুরুষের নীচে যেহেতু নারী হয়ে জন্মানো মানে হল নীচকুলজাত হয়ে জন্ম লাভ করা।
.
ভগবতগীতায় উল্লেখ করা হয়েছে,
.
"হে পার্থ, যারা **নীচু কূলে** জন্ম লাভ করেছে - **নারী**, বৈশ্য এবং শূদ্র - তারাও আমার শরণাগত হওয়ার মাধ্যমে পরমগতি লাভ করে।"
(ভগবতগীতা, অধ্যায় ৯, অনুচ্ছেদ ৩২)
.
"O son of Prtha, those who take shelter in Me, though they be of ***lower birth-women***, vaisyas [merchants], as well as sudras [workers]-can approach the supreme destination."
(Bhagabat Gita, Chapter 9, Verse 32)
.
স্বামী প্রভুপাদের "Bhagabat Gita As It Is" থেকে মূল সংস্কৃত শব্দগুলোর উচ্চারণ আর অর্থগুলো নিচে দেওয়া হল:
.
"mam hi partha vyapasritya
ye 'pi syuh papa-yonayah
striyo vaisyas tatha sudras
te 'pi yanti param gatim
.
.
SYNONYMS
.
mam-unto Me;
.
hi-certainly;
.
partha-O son of Prtha;
.
vyapasritya-particularly taking shelter;
.
ye-anyone;
.
api-also;
.
syuh-becomes;
.
***papa-yonayah—born of a lower family;***
.
***striyah—women;***
.
vaisyah—mercantile people;
.
tatha—also;
.
sudrah—lower class men;
.
te api—even they;
.
yanti—go;
.
param—supreme;
.
gatim—destination.
.
.
TRANSLATION
.
O son of Prtha, those who take shelter in Me, though they be of **lower birth-women**, vaisyas [merchants], as well as sudras [workers]-can approach the supreme destination."
.
['Bhagabat Gita As It Is' by His Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada]
(Source- https://asitis.com/9/32.html)
.
.
শ্রীমদ্ভগবতম্ - এ নারী হিসেবে জন্মগ্রহণকে "পাপপূর্ণ জন্ম" হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
.
"যেসকল আত্মা **পাপপূর্ণ জন্মের অধিকারী** যেমন ***নারী***, শ্রমজীবী গোষ্ঠী, পর্বতারোহী, শূদ্রজাতি অপেক্ষা নীচু সম্প্রদায়, এমনকি পক্ষী ও প্রাণীকুলও ভগবানের ভক্তগণের নিকট আত্মসমর্পণ এবং ভক্তিকার্যে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ এর মাধ্যমে ভগবান প্রদত্ত নীতিমালা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং জড়জগতের মায়া হতে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয়।"
(শ্রীমদ্ভগবতম্, ২:৭:৪৬)
.
"Surrendered souls, even from groups leading ***sinful lives, such as women***, the laborer class, the mountaineers and the Siberians, or even the birds and beasts, can also know about the science of Godhead and become liberated from the clutches of the illusory energy by surrendering unto the pure devotees of the Lord and by following in their footsteps in devotional service."
(Srimad Bhagabatam, 2.7.46)
.
.
আবারও স্বামী প্রভুপাদের ব্যাখ্যা থেকে মূল সংস্কৃত শব্দগুলোর উচ্চারণ আর অর্থগুলো নিচে দেওয়া হল:
.
"te vai vidanty atitaranti ca deva-māyāṁ
strī-śūdra-hūṇa-śabarā api pāpa-jīvāḥ
yady adbhuta-krama-parāyaṇa-śīla-śikṣās
tiryag-janā api kim u śruta-dhāraṇā ye
.
.
SYNONYMS
.
te—such persons;
.
vai—undoubtedly;
.
vidanti—do know;
.
atitaranti—surpass;
.
ca—also;
.
deva-māyām—the covering energy of the Lord;
.
***strī—such as women***;
.
śūdra—the laborer class of men;
.
hūṇa—the mountaineers;
.
śabarāḥ—the Siberians, or those lower than the śūdras;
.
api—although;
.
***pāpa-jīvāḥ—sinful living beings;***
.
yadi—provided;
.
adbhuta-krama—one whose acts are so wonderful;
.
parāyaṇa—those who are devotees;
.
śīla—behavior;
.
śikṣāḥ—trained by;
.
tiryak-janāḥ—even those who are not human beings;
.
api—also;
.
kim—what;
.
u—to speak of;
.
śruta-dhāraṇāḥ—those who have taken to the idea of the Lord by hearing about Him;
.
ye—those.
.
.
TRANSLATION
.
"Surrendered souls, even from groups leading ***sinful lives, such as women***, the laborer class, the mountaineers and the Siberians, or even the birds and beasts, can also know about the science of Godhead and become liberated from the clutches of the illusory energy by surrendering unto the pure devotees of the Lord and by following in their footsteps in devotional service."
.
[Prabhupada > Books > Srimad-Bhagavatam > Canto 2 > SB 2.7 > SB 2.7.46]
(Source- https://prabhupadabooks.com/sb/2/7/46)
.
.
তাহলে এবার বিবেচনা করো দিদিভাই, নারীজাতিকে কোন মতপথ বেশি সম্মান দিয়েছে!! এটা তোমার ওপরেই ছেড়ে দিলাম।
.
.
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ ٱلْكِتَٰبَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشْتَرُوا۟ بِهِۦ ثَمَنًا قَلِيلًاۖ فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا يَكْسِبُونَ
.
"তাদের জন্য আক্ষেপ যারা স্বহস্তে পুস্তক রচনা করে, যারা বলে যে, এটা আল্লাহর নিকট হতে সমাগত! এর দ্বারা তারা সামান্য মূল্য অর্জন করছে, তাদের হস্ত যা লিপিবদ্ধ করেছে তজ্জন্য তাদের প্রতি আক্ষেপ! এবং তারা যা উপার্জন করছে তজ্জন্যও তাদের প্রতি আক্ষেপ!"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ২:৭৯)
.
.
আহমেদ আলি সিরিজ/এক হিন্দু বোনের প্রশ্নের উত্তর
.
.
আরও পড়ুন:
♦ কন্যা সন্তান এবং বোন হল জান্নাতের সিঁড়ি!!
(লেখক: চয়ন চৌধুরী)
.
♦ ইসলামে নারী অধিকার নিয়ে নাস্তিকের মিথ্যাচার ও জবাব
(লেখক: নয়ন চৌধুরী)

Comments

Popular posts from this blog

মানহাজ ও মাযাহাব নিয়ে যত দ্বন্দ্বের জবাব....

[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...

কৃষ্ণ কি আল্লাহর নবী ছিল?

এই প্রশ্নটা আমাকেও করা হয়েছে সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা বড়ই জটিল। কারণ এর কোনো যথাযথ উত্তর আমাদের জানা নেই। যদি কৃষ্ণের গোপীদের সাথে লীলার কাজকে সত্য বলে...

ভগবতগীতার বর্ণভেদ নিয়ে ভক্তদের ভণ্ডামির জবাব

============================ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ৷ তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্৷৷১৩ অর্থ:  "প্রকৃতির তিনটি গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণ...