মেয়েদের নিয়ে ছেলেরা যুগে যুগে কত গান, কবিতা, গল্প রচনা করেছে। কিন্তু মেয়েরা ছেলেদের নিয়ে কোনো গান, কবিতা লিখে না কেন?
.
এক ভাই এই স্ট্যাটাস দিলে আমি এর কমেন্ট করি যেটা সকলের উদ্দেশ্য দিলাম। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চালিত করুন। আমিন।
.
আমার কমেন্ট:
কারণ তাদের মনস্তত্ত্বটা জটিল, এটা পুরুষের মত সহজ নয়, পুরুষের চাহিদাটা সোজা সাপটা, নারীর প্রতি কামনা, যা তার মনে আবেগ আর আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়, যার ফলে এসব কবিতা, হ্যানা ত্যানা লিখেছে সবাই, কিন্তু নারীর চিন্তা সোজা সাপটা না, তাদের অন্তরটা বক্র, অর্থাৎ স্থির ভাবে তারা কোনো কিছু বলবে না, যেমন "হ্যাঁ"-কে "না", আবার "না"-কে "হ্যাঁ" বলা ইত্যাদি, এক জিনিস দিয়ে অন্য জিনিসকে বোঝানো ইত্যাদি। তাই কামনার দিক দিয়েও তাদের অন্তরটা জটিল হবে, এটাই স্বাভাবিক, যখন আপনি দেখছেন, কোনো মেয়ে আপনার সাথে মেলামেশা করে হাসি তামাশা করছে, তখন পুরুষ হিসেবে আপনি এটাই ধরে নেবেন যে, সেই মেয়েটা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে, আর আপনিও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বেন, এটাই পুরুষের মনস্তত্ত্ব। কিন্তু সেই মেয়ে কিন্তু আপনার প্রতি আদৌ ততটা আকৃষ্ট হয় নি যতটা আপনি ভাবছেন; কারণ পুরুষের মত নারীর কামনা হঠাৎ করে আসে না, তারা সব সময় শারীরিক কামনাও চায় না, যেটা পুরুষ চায়, তাই আল্লাহ আমাদের মানসিক বিষয়টা ভালোই জানেন, এজন্য কোরআনে হুর এর উদাহরণ দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা শুধু নারীর কথাই বলেছেন যারা পুরুষের সঙ্গী হবে জান্নাতে, কারণ এটাই পুরুষের সোজা সাপটা ইচ্ছা, কিন্তু নারীদের সঙ্গীর কথা সরাসরি বলেন নি, কারণ তারা পুরুষের মত এরকম সোজা সাপটা না হওয়ায় সব সময় এরকম শারীরিক কামনার পিছনে তাদের অন্তর আসক্ত হয় না, তারা নিজেরা কী চায়, এটা অনেক সময় তারা নিজেরাও ভালো করে প্রকাশ করে উঠতে পারে না, তাই হাদিসে শুধু এটুকু বলাই আল্লাহর রাসূলের পক্ষে যথেষ্ট যে, জান্নাতে নারীরা এমন কিছু পাবে, যা তাদের চোখ দেখেনি, হৃদয় কল্পনা করেনি, অর্থাৎ, যা তারা আশা করে, তার থেকে অনেক বেশি তারা পাবে।
নারীর এই বক্র স্বভাব কোনো দোষ বা গুণ নয়, আপনি পুরুষ হিসেবে আপনার জায়গায় থেকে এটা ভাবছেন যে নারীর এই স্বভাবটা ভালো নয়, কিন্তু কোনো মেয়ের জায়গায় থাকলে এটাকে আপনি সাধারণ ব্যাপারই ধরতেন, আর মেয়ে হিসেবে তখন পুরুষের সোজা সাপটা আচরণগুলো তখন আপনার চরিত্রের সাথে মিলত না, তাই আমি এই বিষয়টাকে পরীক্ষা হিসেবেই দেখি, নারী-পুরুষ একে অপরের জন্য পরীক্ষা।
"...হে লোক সকল! আমি তোমাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে কি? তোমার রাব্ব সব কিছু দেখেন।"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ২৫:২০)
.
আমার কথাগুলোর সারাংশ হিসেবে আমি দুটো হাদিসের রেফারেন্স দিচ্ছি।
.
"আমর আন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহিমাহমাল্লাহ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের একটি হাড় দিয়ে। সে কখনো তোমার জন্য কোন নিয়মতান্ত্রিকতায় স্থির থাকবে না। সুতরাং তুমি যদি তাকে দিয়ে উপকৃত হতে চাও তবে তার বক্রতা অবশিষ্ট রেখেই তাকে দিয়ে উপকৃত হতে হবে। আর তাকে সোজা করতে গেলে তুমি তাকে ভেঙ্গে ফেলবে- আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা অর্থ হল তাকে তলাক (তালাক) দেয়া।"
.
(গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৮। দুধপান (كتاب الرضاع)
হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih))
.
.
"ইসহাক ইব'ন নসর (রহঃ) ... আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন আপন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সে ভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওসীয়াত করা হল নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার।"
.
(গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৪৮০৭
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih))
.
.
আহমেদ আলি সিরিজ/মেয়েদের মনস্তত্ত্ব ও ইসলামিক বিচার
[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...
Comments
Post a Comment