হিন্দুদের প্রতি দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখেছি, হয় তাদের ধর্মের খারাপ দিক গুলো তুলে ধরা হয়, নয়ত ইসলামের সাথে সাদৃশ্য দেখানো হয়। কোনোটাই খুব বেশি কার্যকর পদ্ধতি নয়।
.
কোরআন বলছে,
"এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদাত (পূজা-অর্চনা) করে তোমরা তাদেরকে গালাগালি করনা, তাহলে তারা অজ্ঞতা বশতঃ বৈরীভাবে আল্লাহকেই গালাগালি দিতে শুরু করবে।..."
(Al-Quran, 6:108)
.
.
আবার সাদৃশ্যের ব্যাপারটা আহলে কিতাবের জন্য অর্থাৎ ইহুদি আর খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, মুশরিকদের জন্য নয়। কারণ মুশরিকরা আত্মার অবিনাশতায় বিশ্বাস করে যেটা ইসলামের মূল আকিদার সাথে সম্পূর্ণ আলাদা।
.
আল্লাহ বলেন,
"তুমি বলঃ ***হে আহলে কিতাব***! আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে যে বাক্যে সুসাদৃশ্য রয়েছে তার দিকে এসো...."
(Al-Quran, 3:64)
.
.
এখানে বুঝতে হবে যে, হিন্দুরা তাদের যেটা পছন্দ হয়, ধর্মগ্রন্থ থেকে সেটা গ্রহণ করে, আর বাকিটা এড়িয়ে চলে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা ধর্মগ্রন্থ এর উপর বেশি গুরুত্ব না দিয়ে তাদের হিন্দু দর্শনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই আপনি কোনো ভালো মানসিকতার হিন্দুকে দাওয়াত দিতে হলে হিন্দু দর্শনের সাথে ইসলামকে তুলনা করুন এবং তার প্রশ্নের উত্তরগুলো ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রদান করুন।
.
এক ইতিবাচক মানসিকতার হিন্দু ভাই এর সাথে আমার মোটামুটি একটা বিতর্কের মত হয়, যেটাতে দাওয়াতের বেসিক কিছু কৌশল উঠে এসেছে দেখলাম। তাই আমি সেই বিতর্কটা এখানে কপি করে দিলাম।
.
=> মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, কাউকে জোর করে কিছু স্বীকার করানোটাও আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আবার তার সাথে বিতর্কে জড়ানোটাও উদ্দেশ্য নয়, যাকে বোঝানো বা না বোঝানো, দুটোই সমান কথা!
বরং আমাদের দায়িত্ব সত্যটা প্রচার করা, কেউ মানতে পারে, নাও পারে, আমরা কাউকে জোর করতে পারি না।
.
"কাজেই তুমি তাদেরকে উপদেশ দাও, তুমি একজন উপদেশদাতা মাত্র।
তুমি তাদের ওপর জবরদস্তিকারী নও।"
(Al-Quran, 88:21-22)
.
.
.
হিন্দু ভাই:
আমি একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী নাস্তিক, অর্থাৎ ঈশ্বরকে যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করি....
তিনি একটা প্রোগ্রাম এর মতো...
যে প্রোগ্রামে পুরো ইউনিভার্স চলছে...
এবার ধর্ম নিয়ে আসি...
কাল রসায়ন পরীক্ষা...সিলেবাসের কিচ্ছু হয়নি...। দের ঘন্টা স্বরসতী পূজা করলাম, তিন ঘন্টা নামাজ পড়লাম....
রেসাল্ট বেরোলো...ডাহা ফেল ।
তাহলে আমার নামাজ আর পুজোতে তো কাজ করলো না..? আসলে এইসব গৌণ ধর্ম...মূখ্য ধর্ম হলো জ্ঞান..
যেটা শেখাবে হিন্দ-ুমুসলিম বলে কোনও ধর্ম,জাত,সম্প্রদায় নেই...
যেটা আছে তার নাম মানুষ....
আর জ্ঞানহীন লোকগুলো নিজে মানুষই নয়,তারা ধর্ম কি বুঝবে....
.
.
আমি:
sorry ভাই comment করার জন্য। যদি ইসলাম নিয়ে কথা না বলতেন, তাহলে কিছু বলতাম না, কিন্তু ইসলামের ওপর মন্তব্য করায় এখানে কিছু বলতে হচ্ছে। আপনি আমাকে এর আগে নিজে থেকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, পড়াশুনার উন্নতিতে কী করা উচিৎ, আমি উত্তরটা দেওয়ার পর আর কোনো উত্তর দেন নি, আমি ধরে নিয়েছি, আমার উত্তরটা যথেষ্ঠ ছিল।
.
এখানে অন্য ধর্মের কথা বললে এটা আমাদের কাছে এমনিই সময় নষ্ট। দু:খিত এরকমটা বলার জন্য, আমরা সোজা কথা সোজাসুজি বলি। আপনার বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী, দেব-দেবীরা বা demigods বা personal gods - এরা সবাই হল মায়া বা illusion. সাকার রূপের বহিঃপ্রকাশ আসলে আমাদের অজ্ঞতা কারণ মায়ার কারণে আমরা নিরাকার সত্ত্বাকে উপলব্ধি করতে পারি না। তাই দেখুন, আপনার দর্শন অনুযায়ীই এই উপাসনা হল just নিরাকার ঈশ্বরকে বোঝার প্রাথমিক ধাপ মাত্র, যদি নাস্তিকতা দিয়ে বিচার করি তাহলে মহাবিশ্বের অবিনশ্বর বিষয়টিকে উপলব্ধি করার প্রাথমিক ধাপই হল এই উপাসনা, আর আপনি ঠিকই বললেন যে, আসল কাজই হল জ্ঞান অর্জন করা। এর অর্থ এটাই যে, উপাসনা না করলেও কোনো ক্ষতি নেই, মূল লক্ষ্য হল নিজের অবিনশ্বর সত্ত্বাকে উপলব্ধি করা।
ইসলাম ঘোষণা করছে আপনারা মিথ্যাবাদী। ঈশ্বর যদি সিস্টেম হয়, আর সেই সিস্টেমে যদি সব চলে, এর মানে আমি আপনিও সেই সিস্টেমের অংশ। তাই বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী, আমরা হল আত্মা আর আমরা তাই পরমাত্মার অংশ। এখানেই কোরআন বলছে, এই ঈশ্বর যদি সিস্টেম হয়, তাহলে এই সিস্টেমের সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ। আর একমাত্র তিনিই অবিনশ্বর, আর তিনি কোনো পরমাত্মা বা সিস্টেম নন, কারণ তিনি নিজের অংশ রূপান্তর করে নয়, বরং শুন্য থেকে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে সৃষ্টি করেছেন আর সিস্টেম নির্ধারণ করেছেন, আর আপনারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকেই সিস্টেম বানিয়ে দিয়েছেন যেখানে তিনি হলেন সিস্টেমের নিয়ন্ত্রক।
.
এই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয়েছে আর সেই ইচ্ছাশক্তির বিচারের জন্যই আমাদের পার্থিব জীবনকে পরীক্ষাস্বরূপ করা হয়েছে। আর এই পরীক্ষার মধ্যেই আমাদের ইচ্ছাশক্তির যাচাই এর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত হতে বলা হয়েছে।
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।"
(The Noble Quran, 67:2)
.
এখন আপনি সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মানতেও পারেন, নাও পারেন, তবে বিচার দিবসে এর পরিপূর্ণ বিচার হবে।
নামাজ বা সালাত কেবল প্রার্থনা নয়, বরং সত্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য এর প্রকাশ যেখানে আছে প্রার্থনা, শারীরিক ব্যায়াম, মন:সংযোগ, সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা, সঠিক পথনির্দেশের নির্দেশনা এবং আরও অনেক কিছু যাকে এক কথায় বলা যায় "way of programming".
আর যেহেতু এই পার্থিব জীবনকে পরীক্ষাতুল্য করা হয়েছে, তাই কীভাবে কেউ নামাজকে সামলাবে আর একই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরীক্ষাকে সামলাবে এটা তাকেই বের করতে হবে কেননা ইসলাম অনুযায়ী এই জীবনটা সামান্য আর পরকালের জীবনই চিরস্থায়ী যেখানে প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজের কাজের জন্যই দায়ী হবে।
.
"আর (এতদসত্ত্বেও) যদি তারা তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করতে থাকে তাহলে তুমি বলে দাওঃ আমার কর্মফল আমি পাব, আর তোমাদের কর্মফল তোমরা পাবে। তোমরা আমার কৃতকর্মের জন্য দায়ী নও, আর আমিও তোমাদের কর্মের জন্য দায়ী নই।"
(The Noble Quran, 10:41)
.
.
হিন্দু ভাই:
আহমেদ আলী ভাই...
বিতর্ক করছি না..।বিজ্ঞান যদি মানতেই হয়
আপনি বললেন বেদান্ত দর্শন মিথ্যা...
সেই প্রসঙ্গে বলি....
ভগবৎ গীতা 13th chapter
14th শ্লোক
অনুবাদ বলছি
সেই বস্তুটি,অর্থাৎ পরমব্রহ্মটি সর্বত্র হস্তপদ বিশিষ্ট, সর্বত্র নেত্র মস্তক ও মুখ বিশিষ্ট..ব্রহ্মান্ডে সর্বত্র বাপিয়া এ অবস্তিত রইয়াছেন..।
16th শ্লোক
সেই বস্তুটি সর্বভুতের ভেতরে ও বাইরে অবস্তিত আছেন..স্থাবর ও তিনি জঙ্গম ও তিনি..তিনি এতই সূক্ষ ও রূপদী বিহীন যে জ্ঞানের দ্বারা ঠিক ভাবে অনুভব করা যায় না..সবিকার আকার যুক্ত প্রকৃতির অতীত বলে মূর্খ রা তার ধারণা করতে অসমর্থ..কিন্তু জ্ঞানী দের অতি নিকটে তিনি থাকেন..।
এখানেও ব্রহ্ম নিরাকার বলা আছে..।
17th শ্লোক
তিনি, অর্থাৎ পরমব্রহ্ম সর্বভুতের কারণ রূপে অভিন্ন এবং কার্যরূপে ভিন্নভাবে প্রতীয়মান..।তিনি সৃষ্টি কালে মায়া দ্বারা নিজে জগৎ রূপ ধারন করেন.. স্থিতি কালে নিজেকে পালন করে এবং প্রলয় কালে মায়া পরিত্যাগ করে নিজের প্রকৃত স্বরূপে ফিরে যান..।
বিজ্ঞান মানে শক্তি ছাড়া কোনো কার্য হয় না..।
শক্তি ছাড়া জগৎ শুন্য..।গীতা বলেছে ."তিনি কারণ রূপে এক কার্য রূপে পৃথক"
আবার প্রত্যেক কার্যের কারণ শক্তি..
.°. ব্রহ্ম = শক্তি=ঈশ্বর
আবার
আলবার্ট আইনস্টাইন এর e=mc২ থিওরি অনুযায়ী পধার্থ আসলে শক্তি...
বিগ ব্যাং এ উৎপন্ন অসীম শক্তির খুব কম ভাগ পদার্থ হয়েছিল..।
তিনি যদি শক্তি হন তবে এটাও মিলে যাচ্ছে যে
"সৃষ্টি কালে তিনি জগৎ রূপ ধারণ করে ছিলেন.."
তাছাড়া বিশ্বে পদার্থ আর শক্তি ছাড়া আছে কি.??
এবং খুব সোজা ভাবেই প্রুভ করা যায়..বিজ্ঞান যাকে energy বেদান্ত তাকে ব্রহ্ম বলে...
এইবার পাতি কথায় আসি..
আলো একটা শক্তি...
কিন্ত আলোর কোনো আকার আছে..?
আলো তো অদৃশ্য..শুধু অন্য বস্তুকে দেখায়..
কেউ আজ পর্যন্ত তাপ দেখেছে..? ওর আকার জেনেছে..? অনুভব করছে..? তাপ অনুভব করা যায় না তাপমাত্রা অনুভূত হয়..
আর শক্তির কোনো প্রকারভেদ হয় না..ভিন্ন ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন ভাবে প্রতীয়মান..কখনো আলো কখনো তাপ..।
আর অসীম এই জগতের সব পধার্থ কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং জগতের সব শক্তিকে একত্র করলে যে ভগবানের রূপ পাওয়া যাবে সেটা অসীম..।
যেহেতু শক্তি অবিনশ্বর তাহলে এর সৃষ্টি বা ধ্বংস হওয়া সম্ভব না....
1385 কোটি বছর আগে...বিশ্ব ব্রহ্মাডের সমস্ত শক্তি একটা অতিক্ষুদ্র সুপার ডেন্সিটি পূর্ণ একটা বিন্দুতে ছিল...
এর বাইরে স্পেসএর কোনো অবস্থান ছিল না..বাইরে টাইমের কোনো অবস্তান ছিল না...
তাহলে সৃষ্টিকর্তা ছিলেন কোথায়..?
"যখন কিছু ছিল না তখন একমাত্র আমি ছিলাম..যখন সবের সৃষ্টি হলো তখন জগতে যা দেখছো এবং কল্পনা করছো সকলি আমি..জগৎ ধ্বংস হওয়ার পর আমিই অবশিষ্ট থাকবো..."
আর যেহেতু শক্তি সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না..তাহলে স্রষ্টা শক্তি সৃষ্টি করলেন কিভাবে..?
উত্তর হতে পারে তার নিজের শক্তি দিয়ে...
আপনার মতে আল্লাহ শক্তি...জগৎ ও শক্তি...
শক্তির পাপ পূর্ণ কিছু থাকে না...এটা তাহলে জগৎ আর ঈশ্বর একই তো হচ্ছে....
বিজ্ঞান পড়ুন
.
.
আমি:
আচ্ছা বুঝলাম, ব্রহ্ম সবকিছুর উৎপত্তির কারণ, কিন্তু এই ব্রহ্মের অংশ হঠাৎ করে নিজেকে মায়ার মধ্যে আবিষ্কার করল, এবার প্রশ্ন করা হল, কেন? এর কোনো উত্তর নেই, তাহলে এটা কি অন্ধ বিশ্বাস নয়??? আগে আমার জবাবটা পুরো দেখে তারপর উত্তর দিন।
.
Are the Modern Hindus logical or blind followers of their ancestors???
.
visit - http://uniqueislamblog.blogspot.in/2017/11/are-modern-hindus-logical-or-blind_15.html?m=1
.
আর হ্যাঁ, স্রষ্টা নিজের অংশের শক্তি দিয়ে কিছু তৈরি করেন নি, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন "হও" আর তা সৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়েছে, যা সত্য সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
.
.
হিন্দু ভাই:
আপনার ব্লগ টা পড়লাম....
উত্তর টা গীতাতেই আছে....
প্রথমে বলি আপনার ধারণাটা ভুল..। বেদান্ত ফিলোসপি অনেক উচ্চস্তরের দর্শন । সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে এই দর্শন..।
আপনি আগে উত্তর দিন ভগবান/আল্লাহ জগৎ হটাৎ সৃষ্টি করলেন কেনো..?
জগৎ সৃষ্টি করার পিছনে কারণ কি?
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন "হও" আর তা সৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়েছে...
Are u kidding man..?
Bigbang theory er pichone koti koti research sob bekar...?
Eto khoroch...Koti koti scientist...Sob bekar...?
Enough....
I respect "Quran" and islam....
Ami vai here g6i...
You win...😂
আর সবচেয়ে বড়ো কথা বিশ্ব ব্রহ্মন্ড অসীম...আবার এইরকম অসীম ব্রহ্মন্ড আছে....এদের মাল্টিভার্স বলে...
সবই অসীম...ইনফাইনাইট....
একটা সৃষ্টি হয় অপরটা আবার সেই পয়েন্টে ফিরে আসে..আবার বিগ ব্যাং আবার সেই পয়েন্টে ফিরে আসে....
এরকম অসীম মহাবিশ্ব আছে...
কেউ অসিমকে সৃষ্টি করতে পারে না...অসীম অসীমই হয়
Stephen Hawking There is no God. There is no Fate.
(https://youtu.be/7L7VTdzuY7Y)
.
.
আমি:
যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হল। সুকৌশলে আসল বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে অন্য বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
.
প্রথমেই বলি, scientific theory পরিবর্তনশীল, এক theory আজ আছে তো কাল নেই, বিজ্ঞান কমিটি যে theory কে approve করবে সেটা থাকবে আর approve না করলে তা বাতিল। তাই scientific theory এর reference আমি দেই নি কারণ theology এর standard, scientific theory এরও উর্ধ্বে। যাই হোক, যখন অভিযোগ দেওয়াই হল, তখন তা খণ্ডন করাই লাগে। যদিও আমার প্রশ্নের উত্তর এখনও দেওয়া হয়নি, তবুও আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
.
Multiverse theory এখনও established নয়, তাই এটা দিয়ে আপনি যুক্তি দেখালে আপনার মত লোকদের দেখান। এই থিওরি নিয়ে বিতর্ক আছে।
.
Wikipedia বলছে,
"In his 2003 New York Times opinion piece, "A Brief History of the Multiverse," the author and cosmologist Paul Davies offered a variety of arguments that ***multiverse theories are non-scientific:***"
(https://en.m.wikipedia.org/wiki/Multiverse)
.
তাই যদি established theory এর কথা ধরি, তাহলে সেটা হবে "Big Bang Theory", আর স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্দো দা মিলানো তাদের "The Grand Design" বইতে দেখিয়েছেন কীভাবে শুন্য হতে সবকিছুর আবির্ভাব ঘটেছে। আর বর্তমানের Modern Science এ এটা established যে, মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে ছিল না, এর একটা শুরু ছিল।
.
ইন্টারনেট এর একটা source বলছে যে, এই শুরুটা হয়েছে একেবারে শুন্য থেকে, অর্থাৎ কিছুই ছিল না এমন অবস্থা থেকে সৃষ্টির উদ্ভব ঘটেছে, মানে creation from nothing; আর এর পক্ষে এখন প্রমাণও scientifically পাওয়া গেছে।
.
"Many scientists assume that the universe came from nothing, which is an idea that can only be true in light of quantum theory. Ultimately, quantum fluctuations could allow a universe to spontaneously form from nothing. However, without a mathematical proof, the idea that the universe spontaneously popped into existence has no real substance. And therein was the problem. We didn’t have the math to support the “universe from nothing” hypothesis.
.
This is where Dongshan He and his team from the Wuhan Institute of Physics and Mathematics (WIPM) comes in. ***They have managed to develop the first mathematical proof*** that the big bang could have been the result of quantum fluctuations. ***The Wheeler-Dewitt equation and the Heisenberg uncertainty principle are at the heart of this new proof.***...."
.
(source - https://futurism.com/proof-that-the-universe-could-have-come-from-nothing/)
.
এখন দেখুন, আপনি law of conservation of mass and energy এর কথা বলে বলেছিলেন যে, শক্তি ও ভর অপরিবর্তনীয় আর সে সবই এসেছে ব্রহ্ম থেকে। আর তাহলে যদি মহাবিশ্ব এর starting থাকে, এর মানে এই ব্রহ্ম এরও একটা starting আছে, বা অন্যভাবে বললে, আপনাদের ব্রহ্মকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু আপনাদের বেদান্ত দর্শন বলছে যে, ব্রহ্ম সব সময় ছিল, তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে, বেদান্ত দর্শন modern science এর সাথে contradicted.
.
দেখুন মিস্টার বিবেকানন্দই বলছেন যে, মহাবিশ্ব সব সময় ছিল যা modern science এর সাথে contradicted.
.
"The Vedas teach us that ***creation is without beginning or end.*** Science is said to have proved that the sum total of cosmic energy is always the same.
Then, ***if there was a time when nothing existed, where was all this manifested energy?*** Some say it was in a potential form in God. In that case God is sometimes potential and sometimes kinetic, which would make Him mutable. Everything mutable is a compound, and everything compound must undergo that change which is called destruction. So God would die, which is absurd. Therefore ***there never was a time when there was no creation.***"
(Complete Works of Vivekananda/Volume 1/Addresses at The Parliament of Religions/PAPER ON HINDUISM)
.
কিন্তু ভাই, যখন বললাম যে সৃষ্টিকর্তা "হও" বললেন, আর হয়ে গেল সৃষ্টি, তখন খুব হাস্যকর লাগল তাই না? কিন্তু এটা modern science কে বেশি support করে।
.
Stephen Hawkings এই বলে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করেছেন যে, সবকিছু শুন্য থেকে বা from nothing থেকে এসেছে, আর তাই এর জন্য কোনো ঈশ্বরের দরকার নেই।
.
আমরাও স্বীকার করি যে, Everything has come out of nothing, কিন্তু পার্থক্যটা হল, আমরা বলি যে, এই প্রক্রিয়ার একজন নিয়ন্ত্রক আছেন, যিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন ধরুন, gravitational law বা মহাকর্ষের নিয়মে automatic গ্রহ, নক্ষত্র চলছে। আর আমরা বলি যে, এই নিয়মগুলো আপনা আপনি আসা অর্থহীন, কারণ তখন মহাবিশ্ব বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে, তাই অবশ্যই একজন নিয়ন্ত্রক রয়েছেন যাঁর নির্দেশ রূপান্তরিত হয়েছে মহাকর্ষের নিয়মে।
ঠিক তেমনি ভাবেই শুন্য হতে সৃষ্টির প্রারম্ভে এই নির্দেশই রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আর সেই নির্দেশটা দিয়েছেন মহান আল্লাহ, যিনি নিজের অংশ থেকে নয়, শুন্য হতে সব কিছুর সৃষ্টি করেছেন।
.
The Noble Quran, Surah Maryam 19:67,
.
اَوَلَا يَذْكُرُ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْـًٔـا
.
(Bengali Translation - Mujibur Rahman)
.
"মানুষ কি স্মরণ করেনা যে, আমি তাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি ***যখন সে কিছুই ছিল না***?"
.
English Translation - Yusuf Ali
.
"But does not man call to mind that We created him before ***out of nothing***?"
.
.
"তিনি আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা এবং যখন তিনি কোন কাজ সম্পাদন করতে ইচ্ছা করেন তখন তার জন্য শুধুমাত্র ‘হও’ বলেন, আর তাতেই তা হয়ে যায়।"
(The Noble Quran, Surah Al-Baqarah 2:117)
.
আপনি জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করলেন। এর উত্তরটা আপনার সেই অনেক আগের প্রশ্নেই আমি দিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতে কী! আপনি তা পড়েও হয়ত দেখেন নি।
.
আমি উত্তরটা থেকে আবার কপি করে দিচ্ছি।
.
মহান স্রষ্টা ঘোষণা করছেন,
.
*"আমার ইবাদত(উপাসনা) করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।*
.
আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে।
.
আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।"
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৫১:৫৬-৫৮)
.
"*And I did not create the jinn and mankind except to worship Me.*
I do not want from them any provision, nor do I want them to feed Me.
Indeed, it is Allah who is the [continual] Provider, the firm possessor of strength."
.
(The Noble Quran, 51:56-58)
.
.
অর্থাৎ, মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করার জন্য। ইবাদত অর্থ হল সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে চলা, তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলো মানা ও নিষিদ্ধ বিষয় বর্জন করা এবং সেভাবে নিজের জীবনধারণ করা।
.
কিন্তু তবুও একটা প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকে। তাহলে যদি এ জগত সত্যি হয়, মায়া, মিথ্যা, ভ্রম না হয়, তাহলে জগতে এত দুঃখ কেন? কেন কেউ সুখে আছে, আবার কেউ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে? সৃষ্টিকর্তা কী তাহলে অবিচারক নন? (এই প্রশ্নটা তোমার গুরু বিবেকানন্দও করেছেন তার লেখায়, আমি আর রেফারেন্স দিচ্ছি না, এমনিতেই লেখা অনেক বড় হয়ে গেছে।)
.
.
এর উত্তর হল, এই জীবনটা সত্য, তবে এটাই প্রকৃত জীবন নয়, এই জীবনটা কেবলই সীমিত সময়ের একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র আর তাই এই জীবনের সুখ, দুঃখ কোনোটাই চূড়ান্ত বিচারের মানদণ্ড নয়।
.
ইসলাম অনুযায়ী পরকাল চিরস্থায়ী এবং সেটাই প্রকৃত জীবন, আর এই পৃথিবীর জীবন শুধু একটা পরীক্ষাস্থল। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা নিজের অংশ হতে আমাদের রূপান্তর করেছেন, এটা আমরা সমর্থন করি না, তাই আমরা মানি আল্লাহ শুন্য হতে সবকিছুর উদ্ভব ঘটিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, "হও", আর শুন্য হতে তা automatically সৃষ্টি হয়ে গেছে।
.
"আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা,
*তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ "হও" এবং তা হয়ে যায়।"*
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ১৯:৩৫)
.
যেহেতু, আল্লাহ নতুন ভাবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমরা তাঁর অংশ নই, তাই আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা কোনো পরমাত্মা নন, ব্রহ্মও নন। বরং তিনি সমস্ত আত্মা ও যাবতীয় সকল কিছুর স্রষ্টা। আর তাই আমরা জন্মান্তরবাদ ও মোক্ষলাভও সমর্থন করি না।
.
ব্যাপারটা মনে করো, তোমায় দুটো অপশন দেওয়া হল;
১) এখন কিছু সময়ের জন্য আরাম করতে পারবে, তারপর অনন্তকালের জন্য তোমায় দুঃখ ভোগ করতে হবে;
২) এখন কিছু সময়ের জন্য কষ্ট করতে হবে, এরপর অনন্তকালের জন্য আরামে কাটাতে পারবে।
.
বুদ্ধিমান লোক ২) নং অপশনটাই বেছে নেবে।
.
যেমন, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কষ্ট করতে হয়, কিন্তু ফলাফল ভালো হলে আনন্দ পাওয়া যায়, কিছুটা সেরকম।
.
মহান সৃষ্টিকর্তা ঘোষণা করছেন:
*"যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।"*
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৬৭:২)
.
এখানে এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুই তাই পরকালের জন্য একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়।
কারো অনেক ধন-সম্পদ থাকলেই সে সুখী, আর গরিব লোক অসহায়, এই ব্যাপারটাই চূড়ান্ত নয়, ইসলামের একটা বাধ্যতামূলক কাজ হল *যাকাত* দেওয়া। প্রত্যেক ধনী লোক যদি তার সম্পদের পরিমাণ ইসলাম নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে প্রতি হিজরি বছরে তাকে তার মোট সম্পদের কমপক্ষে ২.৫% ইসলাম নির্ধারিত উপায়ে গরিব লোকদের দান করতেই হবে, যদি এই পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হতে না পারে, তবে পরকালে তাকে এর জন্য কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে, দুনিয়ার জীবনে সামান্য সময় সে ভোগ করেছে, আর সৃষ্টিকর্তার নির্দেশের বিরুদ্ধচারণ করে নিজের ওপর অত্যাচার করেছে, তাই পরকালে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে, ইচ্ছা করলে সৃষ্টিকর্তা অনন্তকালও তাকে শাস্তি দিতে পারেন ন্যায়বিচারের খাতিরে যদি তিনি চান যেহেতু এই পৃথিবীর জীবন একবারই, আর পরকাল চিরস্থায়ী।
অথচ গরিব লোকটা সম্পদের পরীক্ষায় খুব সহজেই উত্তীর্ণ হয়ে যাবে যেহেতু তাকে সম্পদের পরীক্ষা প্রায় দিতেই হচ্ছে না। তাই পরকালের জীবন যেটা প্রকৃত জীবন, সেই জীবনে জান্নাত(ইসলাম অনুযায়ী স্বর্গ বা চির সুখের স্থান)-এ যাওয়া একজন গরিব লোকের পক্ষে সহজ। আল্লাহ কোরআনে বলছেন,
.
"দুর্ভোগ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে (সামনাসামনি) মানুষের নিন্দা করে আর (অসাক্ষাতে) দুর্নাম করে,
.
*যে ধন-সম্পদ জমা করে আর বার বার গণনা করে, সে মনে করে যে, তার ধন-সম্পদ চিরকাল তার সাথে থাকবে,*
.
কক্ষনো না, তাকে অবশ্যই চূর্ণ-বিচূর্ণকারীর মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে,
তুমি কি জান চূর্ণ-বিচূর্ণকারী কী?
*তা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত আগুন, যা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।*
(লেলিহান অগ্নিশিখার) উঁচু উঁচু স্তম্ভে।"
.
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ১০৪:১-৯)
.
.
তাই এই জীবনে কেউ সুখে আছে ভাবলে এটা ভাবা ঠিক না যে, সে প্রকৃতপক্ষে সফলকাম।
ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি, সুস্থতা-অসুস্থতা, মস্তিষ্কের স্মৃতি, মেধা, সাফল্য, ব্যর্থতা, অনুকূল বা প্রতিকূল অবস্থা ইত্যাদি প্রত্যেকটা বিষয়ই কেবল পরকালের জন্য একটা পরীক্ষা মাত্র। সৃষ্টিকর্তা বিভিন্নজনকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করবেন।
.
তবে আবারও একটা প্রশ্ন আসে, 'কেন আমি বাধ্য হলাম এই পরীক্ষার সম্মুখে আসতে?'
.
আল্লাহ তার উত্তর দিচ্ছেন কোরআনে এভাবে,
.
"আমি আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ইসলামের বোঝা বহন করার) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, *কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ।"*
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ৩৩:৭২)
.
"We did indeed offer the Trust to the Heavens and the Earth and the Mountains; but they refused to undertake it, being afraid thereof: *but man undertook it;- He was indeed unjust and foolish;-"*
(The Noble Quran, 33:72)
.
.
এর অর্থ হল, আমাদের সামনে option দেওয়া হয়েছিল, আর আমরাই এই মনুষ্য জীবন বেছে নিয়েছি। প্রায় অন্যান্য সৃষ্টিগুলো already মুসলিম, অর্থাৎ তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের ইচ্ছা সমর্পণকারী, (যেহেতু "মুসলিম" শব্দের অর্থ যে নিজের ইচ্ছাকে সৃষ্টিকর্তার নিকট সমর্পণ করে শান্তি অর্জনের জন্য), যেমন, সূর্যের চারদিকে পৃথিবী নির্দিষ্ট মহাকর্ষ সূত্রের নিয়ম মেনে ঘুরছে, এর ব্যতিক্রম নেই, এখানে তাই সূর্য, পৃথিবী already সৃষ্টিকর্তার নিকট আত্মসমর্পণকারী।
একই ভাবে, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতও সৃষ্টিকর্তার নিকট আত্মসমর্পণকারী।
.
কিন্তু মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আছে, সে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মানতেও পারে, নাও পারে। আর তাই এই স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে যাচাই ও বিচার করা প্রয়োজন। যেমন ধরো, কেউ নিজের ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে কারো মা-কে ধর্ষণ করল। এবার এই ইচ্ছাশক্তির সঠিক যাচাই ও বিচার প্রয়োজন। আর তাই এই জীবনে সে সুযোগ পাবে তার কাজ করার এবং সে যদি তার পাপ এর জন্য ক্ষমা না চায় ও সঠিক পথে ফিরে না আসে, তবে অবশ্যই তার ইচ্ছাশক্তির অপপ্রয়োগের জন্য সে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে।
.
আর যদি কেউ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার নিকট নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করে জীবনযাপন করে, তবে পরকালের প্রকৃত জীবনেও সে চির সুখের স্থানে প্রবেশ করবে।
.
কিন্তু মানুষ নিজের ভোগ বিলাসিতার কারণে সত্যকে মেনে নিতে চায় না, আর সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধাচারণ করে, আর তাই আল্লাহ বলছেন যে, *কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ*
এখানে মানুষ নিজের ইচ্ছায় অন্য সৃষ্টিদের থেকে শ্রেষ্ঠতর হওয়ার জন্য এই মনুষ্য জীবন বেছে নিয়েছে, আর তাই এই জীবনের পরীক্ষার জন্য আমরাই দায়ী, সৃষ্টিকর্তা নন।
.
আর তাই মহান স্রষ্টা ঘোষণা করছেন,
.
*"মানুষ কি মনে করেছে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি(সত্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি)’ এ কথা বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা?
আমিতো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী।"*
.
(মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, ২৯:২-৩)
.
তাহলে এবার আমার প্রশ্নটার উত্তর দিন তো যেটা এড়িয়ে গেলেন। যদি বেদান্ত দর্শন সত্য হয়, তাহলে কেন অবিনশ্বর আত্মা নিজেকে এই মায়াপূর্ণ ধ্বংসশীল দেহের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করে নিজেকে ধ্বংসশীল দেহ ভাবা শুরু করল? বিবেকানন্দ বলছেন যে, ভারতীয় দর্শনে বিশ্বাসী হিন্দুদের এই প্রশ্নের কোনো উত্তর জানা নেই।
.
***"Why should the free, perfect, and pure being be thus under the thraldom of matter, is the next question.***
.
**How can the perfect soul be deluded into the belief that it is imperfect?**
.
We have been told that the Hindus shirk the question and say that no such question can be there. Some thinkers want to answer it by positing one or more quasi-perfect beings, and use big scientific names to fill up the gap. But naming is not explaining. The question remains the same. How can the perfect become the quasi-perfect; how can the pure, the absolute, change even a microscopic particle of its nature? But the Hindu is sincere. He does not want to take shelter under sophistry.
.
**He is brave enough to face the question in a manly fashion; and his answer is: “I do not know.**
.
***I do not know how the perfect being, the soul, came to think of itself as imperfect, as joined to and conditioned by matter."***
.
But the fact is a fact for all that. It is a fact in everybody's consciousness that one thinks of oneself as the body.
.
The Hindu does not attempt to explain why one thinks one is the body. The answer that it is the will of God is **no explanation.**
.
***This is nothing more than what the Hindu says, "I do not know.""***
.
(Complete Works of Vivekananda/Volume 1/Addresses at The Parliament of Religions/Paper on Hinduism)
.
[Source-
https://en.m.wikisource.org/wiki/The_Complete_Works_of_Swami_Vivekananda/Volume_1/Addresses_at_The_Parliament_of_Religions/Paper_on_Hinduism]
.
তাহলে কোনো উত্তর নেই, ব্যাখ্যা নেই, তাও বেদান্ত দর্শন সত্য। এটা কী অন্ধ বিশ্বাস নয়???
.
"তুমি কি তাদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করনি যাদেরকে কিতাবের অংশ দেয়া হয়েছিল? তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান করা হয়েছিল, যাতে এটা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, এরপর তাদের একদল বিমুখতা অবলম্বন করে ফিরে যায়।
.
এটা এজন্য যে, তারা বলে, দিন কতক ছাড়া জাহান্নামের আগুন কক্ষনো আমাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তাদের কল্পিত ধারণাসমূহ দ্বীনের ব্যাপারে তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে।"
(The Noble Quran, Surah Aal-e-Imran 3:23-24)
.
.
Read the previous part here - http://uniqueislamblog.blogspot.com/2018/10/blog-post.html?m=1
.
আহমেদ আলি সিরিজ/বেদান্ত দর্শন বনাম ইসলাম - এক হিন্দু ভাই এর সাথে কথোপকথন (পর্ব ২)
Comments
Post a Comment