Skip to main content

ইসলাম ও বৈবাহিক ধর্ষণ


মূল লেখা: Md Rafat Rahman ভাইয়া

Marital Rape বা বৈবাহিক ধর্ষণ টপিকটা অত্যন্ত আলোচিত একটি টপিক যার অর্থ হচ্ছে স্বামী কর্তৃক জোরপূর্বক স্ত্রীর অমতে তার সাথে মিলন করা বা যৌনাচার করা। যেকোন বিবেকবান মানুষই এমন আচরনের বিরোধিতা করবে। মুসলিমরাও স্বাভাবিকভাবে এটা সাপোর্ট করে না, কিন্তু কিছু কিছু মুসলিম ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ শব্দটা দেখে আপত্তি করে। তাদের মতে এই শব্দটা যৌক্তিক নয়। তাদের মতে এটা নির্যাতন হতে পারে ধর্ষণ নয়। আর এটা দেখেই অনেকে ভুল ভাবে যে মুসলিমরা হয়ত এটাকে সাপোর্ট করে।

যাই হোক, শব্দটা Marital Rape হোক কিংবা Marital Abuse ইসলামে এটা সম্পূর্ণ রকমের হারাম এবং সাপোর্ট করে না।

তবে কিছু উগ্রবাদিরা বিশেষ করে ইসলাম হেটাররা কিছু হাদিসের প্রেক্ষিতে উল্টা জিনিস প্রচার করে। তাই ইসলামের দিক থেকে এই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে এই পোষ্টে । সবাইকে পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।

প্রথমে তারা যে হাদিস আনে,
যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতে থাকে। [বুখারি,ভলি- ৪/বুক-৫৪/৪৬০]

এ বিষয়ে একটু বলি, আপনারা কি জানেন, স্বামী বা স্ত্রী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে যদি একে অপরকে যৌনতা থেকে বিরত রাখে তবে আদালতে এই কারন দেখিয়ে অপরপক্ষ ডিভোর্সের দাবী জানাতে পারে?
কিন্তু ইসলাম কি ডিভোর্স দিতে বলেছে?
একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন,
স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে?
স্ত্রীর ওপর জোর-জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে?
নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে?

এই হাদিসে নারী কর্তৃক স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উত্সাহিত করা হচ্ছে না।
আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত ওজরের কারণে যৌনাচার হতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে: আল্লাহপাক কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬]

একই সাথে কোরান স্পষ্টভাবে স্ত্রীকে জোর করে অধিকার করা সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে, কোরান বলে,

O you who have believed, It is not lawful for you to inherit women by compulsion. And do not make difficulties for them in order to take [back] part of what you gave them unless they commit a clear immorality. And live with them in kindness. Quran (4:19)


অর্থাৎ জোরপুর্বক স্ত্রীকে অধিকার (যৌনঅধিকার বা যেকোন অধিকার) করতে সরাসরি নিষেধ, তালাক হলে তাকে প্রদত্ত দেনমোহর তার হতে ফিরিয়ে নেওয়াও নিষেধ যদি না সে ব্যভিচারী হয় এবং স্ত্রীর সাথে সদয় পুর্নভাবে জীবনযাবন করার আদেশ।

এবার আরেকটি হাদিস দেখি,

আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯]


এবার বলুন জোর করে স্ত্রীর সাথে যৌনতা বা স্ত্রীকে যৌন নির্যাতন কি কখনো উত্তম আচরন হতে পারে ? তাহলে কোরানের উক্ত আয়াত এবং এই হাদিস প্রমান করে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন আচরন বা তাকে যৌন নির্যাতন সম্পুর্নভাবে হারাম এবং যে করে সে পরিপুর্ন মুমিন নয়।

এবার আসি,ইসলাম কি শুধু নারীকেই স্বামীর যৌন চাহিদা পুরন করতে বলছে? স্বামীকে নয়?
ইসলাম স্বামীকেও একই রকম নির্দেশ দিয়েছে,

"Your body has a right over you, your eyes have a right over you and your wife has a right over you." (Bukhari, Vol.7, No. 127)


হাদিসেও স্ত্রীর যৌনতায় সাড়া না দেওয়া স্বামীর প্রতি রয়েছে লানত, স্বামী যতই নামাজ রোজা করুক সে যদি স্ত্রীর যৌন ও মনের চাহিদায় সাড়া না দেয় তবে তার প্রতি নবিজীর এই প্রকারে লানত যে সে ইসলামের দলভুক্তই নয়।

হাদিসটি নিম্নোক্তঃ

“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না।
[মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১]


তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিদ্বেষীরা ইচ্ছা করে একটা অংশ তুলে বিকৃতভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করে যেখানে ইসলাম শুধু নারীকে নয় বরং নারী ও পুরুষ উভয়কেই একে অপরের যৌন অধিকার রক্ষার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে এবং নির্দেশ পালনে অনীহায় উভয়কেই তিরস্কার করেছে।

নারীর যৌন অধিকার রক্ষায় পুরুষের প্রতি বহু হাদিস রয়েছে যেমন,

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]


“কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” (দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫)


অর্থাৎ এগুলা দ্বারা আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি ইসলামে স্ত্রীকে যৌন নির্যাতনের কোনরুপ সুযোগ নেই, এমনকি স্ত্রীর সম্মতিতেও তার সাথে শুধু নিজের চাহিদা পুরনে ও স্ত্রীর চাহিদার প্রতি লক্ষ না রেখে যৌনাচার করা নিষেধ।

বিদ্বেষীরা কোরানের আরেকটি আয়াত পেচিয়ে মিথ্যাচার করে, যেটা দিয়ে তারা প্রমান করতে চায় ইসলামে নারীর অবস্থান পুরুষের থেকে নীচে এবং ইসলামে স্ত্রীকে মারার অধিকার দেয়।
ভুল ব্যাখাকারীরা আয়াতটি বাংলাতে এভাবে প্রচার করে,

“পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।“ [ সুরা নিসা ৪:৩৪ ]
এবার কোরানের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ইংরেজী অনুবাদক মাওলানা ইউসুফ আলীর অনুবাদটি দেখি,
Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has given the one more (strength) than the other, and because they support them from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient, and guard in (the husband's) absence what Allah would have them guard. As to those women on whose part ye fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (Next), refuse to share their beds, (And last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them Means (of annoyance): For Allah is Most High, great (above you all).

অর্থাৎ এখানে স্বামীকে স্ত্রীর পালনকর্তা ও রক্ষাকর্তা বলা হয়েছে, অর্থাৎ স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং তাকে যেকোন বিষয় থেকে রক্ষা করার যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর, এবং আল্লাহ পুরুষকে নারী হতে একটা দিক থেকে শ্রেষ্টত্ব বা বেশি জিনিস দিয়েছে আর সেটা হচ্ছে পেশীশক্তি বা বাহুবলের শক্তি। এটা আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারব না যে প্রকৃতিগতভাবে পুরুষরা নারী হতে দৈহিকভাবে শক্তিশালী। আর এখানে পুরুষের এই শ্রেষ্টতাই বা এগিয়ে থাকার কথাই বলেছে এবং এজন্য পুরুষকে নারীর রক্ষাকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুরুষরা নারী হতে মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ এমন বলেনি, কারন কোরান বলে, নারী ও পুরুষ আল্লাহর নিকট মর্যাদায় একে অন্যের সমান। (কোরান ৩/১৯৫)।

এরপরে আসে আয়াতটিতে নারী প্রহারের বিষয়, আয়াতটিতে আছে “ন্যায়নিষ্ঠ নারী অনুগত হবে এবং স্বামীর অবর্তমানে নিজের সতীত্ব ও সম্পদ রক্ষা করবে। যদি তাদের মধ্যে অসততা ও দুশ্চরিত্র আচরন দেখা যায় তবে প্রথমে তাকে ভতসনা করবে। তাতে যদি সে না মানে তবে তার শয্যা পরিত্যাগ করবে। তাতেও যদি না মানে তবে প্রহার করবে।”

অর্থাৎ স্ত্রী যদি ঘরের ধন সম্পদ রক্ষা না করে, নিজের সতীত্ব রক্ষা না করে অর্থাৎ সে দুশ্চরিত্র হয় তবে কোরান প্রথমে স্বামীকে উপদেশ দিচ্ছে তাকে তিরস্কার করতে এহেন আচরনে। দ্বিতয় উপায় দিচ্ছে শয্যা পরিত্যাগ করতে এবং সর্বশেষ প্রহারের শব্দটি আসছে।

আমাদের সমাজে পরকীয়ার বা দুশ্চরিত্রার আচরনের বলি হিসেবে মানুষ একে অপরকে খুন করে ফেলে,রক্তারক্তি কান্ড ঘটায়, সেক্ষেত্রে কোরান দিচ্ছে অত্যন্ত সহনশীল একটি পন্থা।
আর হ্যা এখানে প্রহার বলতে আমরা যা বুঝি তা বুঝানো হয় নি। হাদিস অনুসারে এটি অত্যন্ত মৃদু হবে, মুখমন্ডলে হবে না, গায়ে কোণ দাগ পড়তে পারবে না, ইবনে আব্বাস এটার উদাহরন দিয়েছেন যেন মেসওয়াক দিয়ে কেউ কাউকে আঘাত করার ন্যায়, যেন সে ব্যাথাও না পায়। অর্থাৎ এটি একটি প্রতিকী প্রহার মাত্র। অনেকটা রাগ প্রকাশের মত। আমরা যেমন রাগ প্রকাশে একটা বই বা জিনিসপত্র ছুড়ে মারি কাউকে আঘাত না করে, অনেকটা সেরকম।

একই সাথে অনেক অনুবাদক এখানে প্রহারের কথাই লেখেনি, কারন এখানে প্রহার বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহার হয়েছে তা হচ্ছে idribuhunna যার আরেক অর্থ হয় ত্যাগ করা বা ছেড়ে দেয়া।

যেমন Laleh Bakhtiar আয়াতের অনুবাদ করেছে,

But those whose resistance you fear, then admonish them and abandon them in their sleeping place, then go away from them;


Ahmad Shafaat অনুবাদ করেছে,

As for those (women) on whose part you fear ill-will and nasty conduct, admonish them (first), (next) leave them alone in beds (and last) beat or separate them (from you).


অর্থাৎ এটি কোণ রিয়েল প্রহার নয়, কারন স্বাভাবিকভাবে স্ত্রীকে প্রহার করা হাদিসের বহু জায়হায় বারন,

Narrated Mu'awiyah al-Qushayri: "I went to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) and asked him: What do you say (command) about our wives? He replied: Give them food what you have for yourself, and clothe them by which you clothe yourself, and do not beat them, and do not revile them. (Sunan Abu-Dawud, Book 11, Marriage (Kitab Al-Nikah), Number 2139)"


Narrated Mu'awiyah ibn Haydah: "I said: Apostle of Allah, how should we approach our wives and how should we leave them? He replied: Approach your tilth when or how you will, give her (your wife) food when you take food, clothe when you clothe yourself, do not revile her face, and do not beat her. (Sunan Abu-Dawud, Book 11, Marriage (Kitab Al-Nikah), Number 2138)"


এবার প্রশ্ন আসতে পারে রিয়াল প্রহার হোক বা প্রতিকী প্রহার স্ত্রীকে কেন দিল না স্বামীর প্রতি তা করতে?

এটার জবাব হতে পারে স্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই কোরান তা দেয় নি। কারন পুরুষ যদি দুশ্চরিত্র হয় এবং তাকে স্ত্রী যদি প্রহার করতে যায়, তবে উলটো স্ত্রীই উক্ত স্বামী হতে শারীরিকভাবে আক্রমন ও নির্যাতন এর শিকার হতে পারে কারন স্ত্রী শারীরিকভাবে তার হতে দুর্বল। তাই লজিকাল ভাবেই কোরান নারীকে এরকম কিছু করতে বলেনি যাতে উলটো সে বিপদে পড়তে পারে বা নির্যাতিত হয়।
আর দুশ্চরিত্র বা ব্যাভিচারের বিষয় ? সেক্ষেত্রে কোরান হাদিস নারী পুরুষ উভয়কেই এ ব্যাপারে ব্যাভিচারের বিভিন্ন শাস্তি সমানভাবে আরোপ করে রেখেছে। তাই পুরুষ দুশ্চরিত্র হলে সেই হিসেবে সে শাস্তি পাবে।

আর নারী যদি মনে করে তার হক নষ্ট হচ্ছে, তবে উক্ত স্বামীর সাথে আলোচনা করে তালাক চাওয়া কিংবা কাজী বা আদালতের কাছে বিচারের প্রেক্ষিতে বিবাহ হতে বিচ্ছেদ এর অধিকারও তার রয়েছে।

যাই হোক লেখাটির মুল উদ্দেশ্য নারীর প্রতি কোণ রকমের সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, বৈষম্য বা তার কোন হক নষ্ট করা ইসলাম কখনো সাপোর্ট করে না, এটা বুঝানো। যারা নারীবাদের আড়ালে এসব নিয়ে প্যাচায়, তাদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া জরুরী।

আরও পড়ুনঃ

ইসলাম কি স্ত্রী নির্যাতনের অনুমতি দেয়?? (ইসলামবিদ্বেষীদের অজ্ঞতার জবাব)

http://uniqueislamblog.blogspot.com/2018/11/blog-post.html?m=1

Comments

Popular posts from this blog

মানহাজ ও মাযাহাব নিয়ে যত দ্বন্দ্বের জবাব....

[Special thanks to brother Mainuddin Ahmad for providing some important reference] . মানহাজ অর্থ পথ (path) অথবা পদ্ধতিগত বা নিয়মগত বা প্রণালিগত বিদ্যা (Methodology)। মানহাজ বললে তাই তাকে দুই ভাবে ভাবা হয় - ১) সহিহ মানহাজ, ২) ভ্রান্ত বা বাতিল মানহাজ। . সহিহ মানহা...

কৃষ্ণ কি আল্লাহর নবী ছিল?

এই প্রশ্নটা আমাকেও করা হয়েছে সম্ভবত কয়েকবার। কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা বড়ই জটিল। কারণ এর কোনো যথাযথ উত্তর আমাদের জানা নেই। যদি কৃষ্ণের গোপীদের সাথে লীলার কাজকে সত্য বলে...

ভগবতগীতার বর্ণভেদ নিয়ে ভক্তদের ভণ্ডামির জবাব

============================ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ৷ তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্৷৷১৩ অর্থ:  "প্রকৃতির তিনটি গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি মনুষ্য সমাজে চারটি বর্ণ...